اهل بیت علیهم السلام
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) ছিলেন ইমামতি ধারার বারোজন ইমামের মধ্যে ৬ষ্ঠ উত্তরাধিকার। তাঁর ডাক নাম ছিল আবু আবদুল্লাহ। তবে তিনি সাদিক, আল-ফাযিল ও আত-তাহির উপাধিতে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন ৫ম ইমাম মুহাম্মাদ বাকির (আ.)-এর পুত্র। তাঁর মাতা উম্মে ফারওয়া ছিলেন আ
বিশ্বনবী (সা.) মহান আল্লাহর নির্দেশে প্রিয় প্রথম নাতীর নাম রাখেন হাসান। হাসান শব্দের অর্থ সবচেয়ে ভাল বা উত্তম, পছন্দনীয় ইত্যাদি। ইমাম হাসান (আ.)'র সাত বছর বয়স পর্যন্ত মহানবী (সা.) বেঁচে ছিলেন। রাসূল (সা.) বহুবার প্রিয় এই নাতিকে কাঁধে নিয়ে বলেছেন, “হ
১৫ ই রমজান বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)'র বড় নাতি হযরত ইমাম হাসান মুজতবা (আ.)'র পবিত্র জন্ম-বার্ষিকী। মুসলিম বিশ্বের যোগ্য ইমাম হিসেবে তাঁকে গড়ে তুলেছিলেন স্বয়ং বিশ্বনবী (সা.), আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) ও হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.)। তাঁর জন্ম হয়েছিল মদীনায় হ
ইমাম হাসান (আ.) ৩য় হিজরী’র ১৫ই রমজানের রাতে মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আমিরুল মু’মিনীন হযরত আলী (আ.) ও নারীকূলের শিরোমনি হযরত ফাতেমা যাহরা (সা আ.) এর প্রথম সন্তান। হযরত মহানবী (স.) তাঁর জন্মের পর তাঁকে কোলে তুলে নিয়ে তাঁর বাম কানে ইকামত দেন। অতঃপর একট
মদীনার জান্নাতুল বাকিতে ইমাম হাসান (আ.)'র কবর (বাম দিক থেকে প্রথম প্রস্তরখণ্ড বরাবর) আজ হতে ১৪৩২ চন্দ্র-বছর আগে তৃতীয় হিজরির এই দিনে (১৫ রমজান) বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)'র সবচেয়ে বড় নাতি এবং তাঁর দ্বিতীয় নিষ্পাপ উত্তরসূরি হযরত ইমাম হাসান মুজতবা পবিত্র
রাসূলুল্লাহ (সা.) সব ক্ষেত্রেই তাঁর উম্মতের জন্য আদর্শ বা নমুনা। দৈনন্দিন জীবনে সব কাজে তাঁকে অনুসরণ করা উম্মতের জন্য অপরিহার্য। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে পরিদৃষ্ট হয় তাঁর নবুয়াতপূর্ব জীবনে। যার প্রথমটি ছিল চাচা আবু তালিবে
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র, বেহেশতী নারীদের নেত্রী হযরত ফাতিমার (সা.)কলিজার টুকরা এবং জ্ঞানের দরজা আমীরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)’র সুযোগ্য দ্বিতীয় পুত্র এবং ইসলামের চরম দূর্দিনের ত্রাণকর্তা ও শহীদদের নেতা হযরত ইমাম হোসাইন (আ.)।হিজর
উমাইয়া খলিফা হিশাম বিন আবদুল মালিক হজ করতে এসেছেন। কাবা ঘরের হাজরে আসওয়াদ বা কালো পাথরের কাছে হাজিদের প্রচন্ড ভীড়। খলিফা আবদুল মালিক কালো পাথরের কাছে যাবার জন্যে অনেক কষ্ট করেও ভীড় ঠেলে তেমন একটা এগুতে পারছিলেন না।
৬১ হিজরির ১২ই মহররম ইয়াজিদ সেনারা নবী পরিবার তথা ইমাম পরিবারের এবং ইমাম শিবিরের সকল নারী ও কন্যা শিশুকে বন্দী করে কুফায় নিয়ে যায়। এ সময় ইয়াজিদ সেনারা শহীদদের বিচ্ছিন্ন মাথা বর্শায় বিদ্ধ করে নিয়ে আসে তাদের সঙ্গে।
২৭শে রজব দিনের যিয়ারতটি শেইখ মুফিদ এবং সৈয়দ ইবনে তাউস তাদির স্বিয় গ্রন্থে এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, উক্ত দিনে ইমাম আলি (আ.) মাজারে কবর ঘরের দরজার কাছে দাড়িয়ে বলতে হবে: أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَ أَشْهَدُ أَنَّ مُح
মহানবী (স.) এর ওফাতের পর তার জীবন কিভাবে কেটেছে তা নিয়ে আদৌ কোন আলোচনা আমরা করি না। আমরা আদৌ কোনদিন জানতে চেষ্টা করেছি যে, তিনি কিভাবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছিলেন? তাঁর পিতা আল্লাহর রাসূল (স.) এর ওফাতের পর তিনি কতদিন বেঁচে ছিলেন এ প্রশ্ন হয়তবা আমাদের
আলী ইবনে মুগাইরা বলেনঃ একদা আমি ইমাম মূসা কাযিম (আ.) এর সাথে মিনার দিকে যাচ্ছিলাম হঠাৎ দেখি পথের মধ্যে এক মহীলার কাঁধে তার সন্তান বসে আছে এবং তারা উভয়েই খুব ক্রন্দন করছে। ইমাম (আ.) তাকে জিজ্ঞাসা করেন তুমি কেন ক্রন্দন করছ? যেহেতু মহীলাটি ইমাম কাযিম (আ.)
মুসাইব বলেঃ আপনি কি মনে করেন যে আমি সকল প্রহরীকে ফাঁকি দিয়ে আপনার হাতে পায়ে বাধা শিকলের তালা খুলে আপনাকে আমি কারাগারের বাইরে নিয়ে যেতে পারব? ইমাম বলেনঃ হে মুসাইব! তুমি কি খোদার দানৃকত অলৌকিক শক্তির প্রতি সন্দেহ পোষণ কর? মুসাইব বলেঃ না আমার মওলা আমি সন্
নিঃসন্দেহে অর্থ হচ্ছে মানুষের জীবন পরিচালনার মূল চাবিকাঠি। মানুষ অর্থ ছাড়া কখনই সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারে না। বিভিন্ন ধর্মের ন্যায় ইসলামে কখনই বলা হয়নি যে ফকিরের ন্যায় জীবন যাপন কর। হজরত আবু যার (রা.) এর খুব সুন্দর একটি কথা বলেছেনঃ দারিদ্
ইমাম মুসা ইবনে জাফর আল কাযিম (আ.)'র জন্ম হয়েছিল ১১৯ হিজরিতে। তাঁর পিতা ছিলেন বিশ্ববিশ্রুত ইমাম হযরত জাফর সাদিক (আ.); আর মায়ের নাম ছিল হামিদাহ (সালামাতুল্লাহ আলাইহা) । ক্রোধ বা রাগ সংবরণে এবং ধৈর্য ধারণের ক্ষেত্রে ইমাম মুসা কাযিম (আ.)'র অশেষ ক্ষমতা দেখে
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) বলেছেনঃ তিন প্রকারের মানুষ কেয়ামতের দিনে খোদার আরশের ছায়ায় অবস্থান করবে যখন খোদার আরশের ছায়া ব্যাতিত অন্য কোন ছায়া সেখানে থাকবে নাঃ যে তার মুমিন ভাইয়ের বিবাহের জন্য সাহায্যে করবে অথবা তার জন্য কোন সাহায্যেকারীর ব্যাবস্থা করবে অথ
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) বলেছেনঃ ভাল প্রতিবেশী গুণ এটা নয় যে অপরকে কষ্ট না দেয়া, বরং ভাল প্রতিবেশীর গুণ হচ্ছে অপরের খারাপ ব্যাবহার এবং হয়রানি ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা । (উসুলে কাফি, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৬৭, হাদীস নং ৯) কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যে, প্রতিবেশীদের অসা
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) বলেছেনঃ কৃপণ ব্যাক্তি হচ্ছে সে যে, খোদা যা ওয়াজিব করেছেন তা সম্পাদনে কার্পণ্যতা করে। (তোহফুল উকুল, পৃষ্ঠা ৪৩১, বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৭৩, পৃষ্ঠা ৩০৫, মাআনিল আখবার, পৃষ্ঠা ২৪৬, হাদীস নং ৭) কৃপণতা মানুষের নৈতিকতার বীপরিত একটি কাজ। কিন্ত
قَلِيلُ الْعَمَلِ مِنَ الْعَالِمِ مَقْبُولٌ مُضَاعَفٌ، وَ كَثِيرُ الْعَمَلِ مِنْ أَهْلِ الْهَوى وَ الْجَهْلِ مَرْدُود ইমাম কাযিম (আ.) বলেছেনঃ একজন আলেমের কম আমলকে একজন স্বেচ্ছাচারী এবং জ্ঞানহীন ব্যাক্তির অধিক আমলের তুলনায় বেশী প্রাধান্যতা দান করা হব
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) বলেছেনঃ যখন একজন মুমিন মারা যায়, তখন ফেরেস্তারা যেখানে সে ইবাদত করতো এবং আসমানী যে পথে তার আমল উর্ধ্বগমন করতো সেখানে ক্রন্দন করে এবং ইসলামে তার শূন্যস্থান কোন জিনীষের বিনিময়ে পূর্ণ হয় না কেননা মুমিনগণ হচ্ছে ইসলামের চারিপাশে পরিবেষ্