قرآن
দুনিয়াতেই জালেমদের কঠিন শাস্তি সম্পর্কে আগের আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। আর এ আয়াতে জালেমদের এই ভুল ধারণা তুলে ধরা হয়েছে যে, তারা মনে করে আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবী এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করেছেন। এর পেছনে আল্লাহর মহত বা বড় কোনো উদ্দেশ্
এই আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন, শয়তানদের ষড়যন্ত্র ও প্ররোচনা যুগে যুগে তথা সব যুগেই ছিল। এই শয়তানদের বেশিরভাগই হল মানুষ। তারা ওহি বা কুরআনের বাণীর প্রতি মুমিনদের বিশ্বাসকে দুর্বল করতে চেয়েছে এবং চেয়েছে নবী-রাসূলদের কর্মসূচীকে দুর্বল করতে। খোদায়ী ধর্মগু
কিয়ামতে অবিশ্বাসী বহু মানুষ কোনো রকম দলিল প্রমাণ ছাড়াই কিয়ামত দিবসকে অস্বীকার করে। তারা মনে করে কিয়ামত অনুষ্ঠানের বিষয়টি অসম্ভব একটা ব্যাপার, এটা হতে পারে না। তারা আরো বলেঃ এটা কী করে সম্ভব যে মানুষ মরে যাবার পর মাটিতে পরিণত হয়ে যায়, তারপরও সেই মান
এই আয়াতে পুরস্কার এবং শাস্তি ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনটি নীতির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। প্রথম নীতি হিসেবে বলা হচ্ছেঃ তোমার ঈমান আনা কিংবা কুফরি করায় আল্লাহর কিচ্ছু যায় আসে না অর্থাৎ তাতে আল্লাহর কোনো লাভ ক্ষতি নেই। বরং তার লাভ ক্ষতির প্রভাব বা পরিণতি তোমার
মহান আল্লাহ আদম ও হাওয়াকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, তোমরা যেন শয়তানের ধোঁকায় না পড়। কারণ, সে তোমাদের শত্রু এবং সে তোমাদেরকে বেহেশত থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু তারপরও শয়তান তাদেরকে এত বেশি প্ররোচনা দেয় যে, তারা শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ গাছের ফ
ঈসা (আ.)-এর একজন হাওয়ারীর বংশধর শামউন (রা.) মহানবী (সা.)-কে অনেক জটিল বিষয়ে প্রশ্ন করে সেসবের জবাব পেয়ে সন্তুষ্টচিত্তে তাঁর প্রতি ঈমান এনেছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি রাসূল (সা.)-কে বলেন: আমাকে সংবাদ দিন সত্যবাদী, মুমিন, ধৈর্যশীল, তওবাকারী, কৃতজ্ঞ, বিনয়ী,
মুশরিকরা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা মনে করত। এ আয়াতে বলা হচ্ছে, কাফের-মুশরিকরা আল্লাহ ও ফেরেশতা সম্পর্কে অদ্ভুত ধারণা পোষণ করত অথচ এরাই নিজেদের ক্ষেত্রে কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়াকে অপমানজনক মনে করত। তাদের কারো স্ত্রী যদি কন্যা সন্তান জন্ম দিত তাহলে লজ্জা
সব জ্বিন এবং মানুষ মিলে যদি চেষ্টা করে তারপরও কুরআনের মত একটি আয়াতও সৃষ্টি করতে পারবে না। আর এ আয়াতে আল্লাহ বলেন: কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল, আল্লাহ এই কিতাবে মানব জীবনের সঙ্গে জড়িত সব বিষয়কে সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় বর্ণনা করেছেন। এটি কুরআ
এ আয়াত থেকে আমাদের মনে রাখা দরকার: এক. কুরআন মানুষকে সুপথ দেখানোর জন্য নানা ব্যক্তি ও জাতির দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে এবং উপমাও ব্যবহার করেছে। দুই. যার মধ্যে সত্যকে মেনে নেয়ার মানসিকতা নেই সে সত্য বক্তব্যের মোকাবেলায় বিতর্ক করতেই থাকবে। তাকে যতই উপমা বা দৃষ
সূরা হাজ্জের ৭৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا ارْكَعُوا وَاسْجُدُوا وَاعْبُدُوا رَبَّكُمْ وَافْعَلُوا الْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ (77) “হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু কর,সেজদা কর,তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর এবং সৎকাজ সম্পা
সূরা নাহলের ১২৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন- ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ (125) “(হ
সূরা ত্বোয়া-হা’র ১৩ ও ১৪ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন: وَأَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوحَى (13) إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي (14) “(হে মুসা) আমি তোমাকে (রাসূল হিসেবে)
সূরা মারিয়াম পবিত্র কুরআনের ঊনিশতম সূরা। এটি সূরা মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটিতে বেশ কয়েকজন নবীর প্রসঙ্গ এসেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হযরত যাকারিয়্যা, হযরত মারিয়াম, হযরত ইসা, হযরত ইয়াহিয়া, হযরত ইব্রাহিম, হযরত ইসমায়িল এবং ইদ্রিস (আ.)। মজার ব্যাপ
সূরা নাহলের ১৭ ও ১৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, أَفَمَنْ يَخْلُقُ كَمَنْ لَا يَخْلُقُ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ (17) وَإِنْ تَعُدُّوا نِعْمَةَ اللَّهِ لَا تُحْصُوهَا إِنَّ اللَّهَ لَغَفُورٌ رَحِيمٌ (18) "যিনি সৃষ্টি করেন, তিনি কি যে সৃষ্টি করে না তার সমতুল্য? তোম
সূরা হাজ্জের ৭২ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন- وَإِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آَيَاتُنَا بَيِّنَاتٍ تَعْرِفُ فِي وُجُوهِ الَّذِينَ كَفَرُوا الْمُنْكَرَ يَكَادُونَ يَسْطُونَ بِالَّذِينَ يَتْلُونَ عَلَيْهِمْ آَيَاتِنَا قُلْ أَفَأُنَبِّئُكُمْ بِشَرٍّ مِنْ ذَلِ
সূরা বনী ইসরাইলের ৬৮ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন- أَفَأَمِنْتُمْ أَنْ يَخْسِفَ بِكُمْ جَانِبَ الْبَرِّ أَوْ يُرْسِلَ عَلَيْكُمْ حَاصِبًا ثُمَّ لَا تَجِدُوا لَكُمْ وَكِيلًا (68) “তবে কি তোমরা নিশ্চিন্ত রয়েছো যে, তিনি তোমাদের স্থলে কোথাও ভূগর্ভস্থ করবে
সূরা ত্বোয়া-হা'র ১৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেছেন: وَلَا تَمُدَّنَّ عَيْنَيْكَ إِلَى مَا مَتَّعْنَا بِهِ أَزْوَاجًا مِنْهُمْ زَهْرَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا لِنَفْتِنَهُمْ فِيهِ وَرِزْقُ رَبِّكَ خَيْرٌ وَأَبْقَى (131) “(হে রাসূল) আমি অবিশ
সূরা হজ্জের ৩৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন- الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَالصَّابِرِينَ عَلَى مَا أَصَابَهُمْ وَالْمُقِيمِي الصَّلَاةِ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُونَ (35) “যাদের অন্তর আল্লাহর নাম স্মরণ করা হলে ভীত হয় এবং
সূরা ত্বোয়া-হা'র ১১৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন- وَلَقَدْ عَهِدْنَا إِلَى آَدَمَ مِنْ قَبْلُ فَنَسِيَ وَلَمْ نَجِدْ لَهُ عَزْمًا (115) "আমি এর আগে আদমের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম (যাতে সে শয়তানের ধোঁকায় না পড়ে) কিন্তু সে তা ভুলে যায়। তাকে