امام کاظم علیه السلام
আলী ইবনে মুগাইরা বলেনঃ একদা আমি ইমাম মূসা কাযিম (আ.) এর সাথে মিনার দিকে যাচ্ছিলাম হঠাৎ দেখি পথের মধ্যে এক মহীলার কাঁধে তার সন্তান বসে আছে এবং তারা উভয়েই খুব ক্রন্দন করছে। ইমাম (আ.) তাকে জিজ্ঞাসা করেন তুমি কেন ক্রন্দন করছ? যেহেতু মহীলাটি ইমাম কাযিম (আ.)
মুসাইব বলেঃ আপনি কি মনে করেন যে আমি সকল প্রহরীকে ফাঁকি দিয়ে আপনার হাতে পায়ে বাধা শিকলের তালা খুলে আপনাকে আমি কারাগারের বাইরে নিয়ে যেতে পারব? ইমাম বলেনঃ হে মুসাইব! তুমি কি খোদার দানৃকত অলৌকিক শক্তির প্রতি সন্দেহ পোষণ কর? মুসাইব বলেঃ না আমার মওলা আমি সন্
নিঃসন্দেহে অর্থ হচ্ছে মানুষের জীবন পরিচালনার মূল চাবিকাঠি। মানুষ অর্থ ছাড়া কখনই সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারে না। বিভিন্ন ধর্মের ন্যায় ইসলামে কখনই বলা হয়নি যে ফকিরের ন্যায় জীবন যাপন কর। হজরত আবু যার (রা.) এর খুব সুন্দর একটি কথা বলেছেনঃ দারিদ্
ইমাম মুসা ইবনে জাফর আল কাযিম (আ.)'র জন্ম হয়েছিল ১১৯ হিজরিতে। তাঁর পিতা ছিলেন বিশ্ববিশ্রুত ইমাম হযরত জাফর সাদিক (আ.); আর মায়ের নাম ছিল হামিদাহ (সালামাতুল্লাহ আলাইহা) । ক্রোধ বা রাগ সংবরণে এবং ধৈর্য ধারণের ক্ষেত্রে ইমাম মুসা কাযিম (আ.)'র অশেষ ক্ষমতা দেখে
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) বলেছেনঃ তিন প্রকারের মানুষ কেয়ামতের দিনে খোদার আরশের ছায়ায় অবস্থান করবে যখন খোদার আরশের ছায়া ব্যাতিত অন্য কোন ছায়া সেখানে থাকবে নাঃ যে তার মুমিন ভাইয়ের বিবাহের জন্য সাহায্যে করবে অথবা তার জন্য কোন সাহায্যেকারীর ব্যাবস্থা করবে অথ
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) বলেছেনঃ ভাল প্রতিবেশী গুণ এটা নয় যে অপরকে কষ্ট না দেয়া, বরং ভাল প্রতিবেশীর গুণ হচ্ছে অপরের খারাপ ব্যাবহার এবং হয়রানি ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা । (উসুলে কাফি, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৬৭, হাদীস নং ৯) কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যে, প্রতিবেশীদের অসা
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) বলেছেনঃ কৃপণ ব্যাক্তি হচ্ছে সে যে, খোদা যা ওয়াজিব করেছেন তা সম্পাদনে কার্পণ্যতা করে। (তোহফুল উকুল, পৃষ্ঠা ৪৩১, বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৭৩, পৃষ্ঠা ৩০৫, মাআনিল আখবার, পৃষ্ঠা ২৪৬, হাদীস নং ৭) কৃপণতা মানুষের নৈতিকতার বীপরিত একটি কাজ। কিন্ত
قَلِيلُ الْعَمَلِ مِنَ الْعَالِمِ مَقْبُولٌ مُضَاعَفٌ، وَ كَثِيرُ الْعَمَلِ مِنْ أَهْلِ الْهَوى وَ الْجَهْلِ مَرْدُود ইমাম কাযিম (আ.) বলেছেনঃ একজন আলেমের কম আমলকে একজন স্বেচ্ছাচারী এবং জ্ঞানহীন ব্যাক্তির অধিক আমলের তুলনায় বেশী প্রাধান্যতা দান করা হব
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) বলেছেনঃ যখন একজন মুমিন মারা যায়, তখন ফেরেস্তারা যেখানে সে ইবাদত করতো এবং আসমানী যে পথে তার আমল উর্ধ্বগমন করতো সেখানে ক্রন্দন করে এবং ইসলামে তার শূন্যস্থান কোন জিনীষের বিনিময়ে পূর্ণ হয় না কেননা মুমিনগণ হচ্ছে ইসলামের চারিপাশে পরিবেষ্
لَا دِينَ لِمَنْ لَا مُرُوَّةَ لَهُ وَ لَا مُرُوَّةَ لِمَنْ لَا عَقْلَ لَهُ وَ إِنَّ أَعْظَمَ النَّاسِ قَدْراً الَّذِي لَا يَرَى الدُّنْيَا لِنَفْسِهِ خَطَراً أَمَا إِنَّ أَبْدَانَكُمْ لَيْسَ لَهَا ثَمَنٌ إِلَّا الْجَنَّةُ فَلَا تَبِيعُوهَا بِغَيْرِهَا
খোদার হুজ্জাত إِنَّ لِلّهِ عَلَی النّاسِ حُجَّتَینِ، حُجَّةً ظاهِرَةً وَ حُجَّةً باطِنَةً، فَأمّا الظّاهِرَةُ فَالرُّسُلُ وَ الاَْنْبِیاءُ وَ الاَْئِمَّةُ وَ أَمَّا الْباطِنَةُ فَالْعُقُولُ.»: মহান আল্লাহ মানুষের জন্য দুটি হুজ্জাত দান করেছেনঃ প্রকাশ্য হু
ইমাম মূসা কাযিম (আ.)একটি কবরের কাছে দাড়িয়ে বলেনঃ এটা হচ্ছে প্রত্যেক জিনীষের (মানুষের) শেষ পরিণতি। তাই উত্তম হচ্ছে প্রথম অবস্থাতে (পৃথিবীতে) তার ক্ষেত্রে আত্মনিগ্রহনীতি করা এবং তার প্রতি আসক্ত না হওয়া। আর যদি তার প্রথম পরিণতি এমনটি হয় তাহলে উচিত হবে যে
ইমাম (আ.) তাদেরকে বলেনঃ হজরত রাসুল (সা.) যে ঐশী জ্ঞান হজরত আলী (আ.) কে দান করেছিলেন উক্ত জ্ঞানটি তার পরবর্তি ইমামদের কাছেও পর্যায়ক্রমে পৌচেছে।