حضرت علی علیه السلام
১৮ ই জিলহজ এক মহাখুশির দিন। কারণ, এখন থেকে ১৪২৪ বছর আগে দশম হিজরির এই দিনে তথা ১৮ ই জিলহজ বিদায় হজ শেষে সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নাজেল হওয়ার পর বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর চাচাতো ভাই ও জামাতা আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)-কে নিজের উত্তরসূরি বা
আরবি অভিধানে গাদির’এর বিভিন্ন অর্থ বর্ণিত হয়েছে যেমন: কোন এলাকার নিচু স্থান যেখানে বৃষ্টি বা বন্যার পানি জমা হয় এবং সাধারণত উক্ত পানি গরমকাল পর্যন্ত থাকতো।
সর্বশেষ নবী মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) ২৩ বছর ধরে নবুওয়তের দায়িত্ব পালনের পর বলেছেন, 'নবুওয়তের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আর কোনো নবী আমার মতো এত কঠিন ও কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়েনি।
২৭শে রজব দিনের যিয়ারতটি শেইখ মুফিদ এবং সৈয়দ ইবনে তাউস তাদির স্বিয় গ্রন্থে এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, উক্ত দিনে ইমাম আলি (আ.) মাজারে কবর ঘরের দরজার কাছে দাড়িয়ে বলতে হবে: أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَ أَشْهَدُ أَنَّ مُح
নিঃসন্দেহে ১০ম হিজরীর ১৮ই জিলহজ্বে সংঘটিত গাদীরে খুমের ঘটনার পর হতে কবি সাহিত্যিকরা এ বিষয় ও ঐ দিনের ঘটনার উপর অসংখ্য সাহিত্য ও কবিতা রচনা করেছেন। সার্বিকভাবে মানবেতিহাসে বিশেষ করে ইসলামি ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা নজির নেহায়েত কম, যার প্রতি মানুষ এতটা গুরুত্
আল্লাহর রাস্তায় কঠোরতা রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَشْكُوا عَلِيّاً، فَو اللهِ إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِيذَاتِاللهِ، أَوْ فِي سَبِيلِ اللهِ. হে লোকসকল! আলীর বিরুদ্ধে নালিশ করতে যেও না। সে আল্লাহর কারণে অথবা তাঁর সন্তুষ্টির জন্যেই কঠ
শিয়ারা হযরত আলী (আ.) কে রাসূল (সা.) এর চেয়েও বড় মনে করে। আপনাদেরকেও দেখি শুধু হযরত আলীকে নিয়েই কথা বলেন এবং রাসূলের অন্য সাহাবীদের নিয়ে কোনো আলোচনাই করেন না। কেন? উত্তর: এ প্রশ্নের উত্তরকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: প্রথমত, এমন কোন শিয়া নেই যে হযরত আলী
পবিত্র কুরআনে আলী (আ.) ও বিশ্বনবী (সা.)'র পরিবারের এবং তাঁর বংশে জন্ম-নেয়া নিষ্পাপ সদস্যবৃন্দ তথা আহলে বাইতের নাম আসেনি? উত্তর: এক ব্যক্তি ইমাম জাফর আস সাদিক (আ.)-'র কাছে প্রশ্ন করেন যে সুরা নিসার ৫৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ, রাসূল এবং উলিল আমরের আনুগত্যের
আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজ উপলক্ষে গাদীরে খোম নামক স্থানে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, সে ভাষণের পর থেকে যারা প্রকৃত মুমিন, যারা আশেকে রাসূল (সা.), আশেকে আহলে বাইত (আ.) তারা প্রতিবছর অত্যন্ত গুরুত্ব ও মহব্বতের সঙ্গে
স্পষ্ট দলিল দ্বারা প্রমাণিত হয় যে "মাওল" এবং "ওয়ালী" শব্দের অর্থ হল মুসলিম উম্মাহর উত্তরাধিকারী ও অভিভাবক। এবং অন্য অর্থের সাথে সংগতি রাখে না। এখন নিম্নের বিষয়গুলির প্রতি লক্ষ্য করুন : ১) ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি যে রাসূল (সা.) হাদীসে গাদীর উপস্থাপন করতে
রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘আমি যাদের যাদের মাওলা, এই আলীও তাদের তাদের মাওলা’। যারা এই হাদিসটির “মাওলা” শব্দটি এই অর্থে ব্যবহার করেছেন যে, “আওলা” বা প্রধান, “আওলা” বা উন্নততর অর্থাৎ এমন এক ব্যক্তি যিনি অন্যতম বা প্রধান, সহজ ভাষায় যা বলা যায় যে, যিনি অভিভাবকত্ব
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর নবুয়্যতি মিশনের শুরু দিন হতে তাঁর জীবনের অন্তিম লঘ্ন পর্যন্ত হযরত আলী (আ.) তাঁর পাশে অবস্থান করেছেন। ছোটবেলা থেকেই নবী (স.) এর সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠা হযরত আলী (আ.) শত প্রতিকূলতার মাঝেও কখনই মহানবী (স.) কে নিঃসঙ্গ ত্যাগ করেন নি
বেহেশতী বৃক্ষশাখা হস্তে ধারণ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ مَنْ أَحَبَّ أََنْ يَسْتَمْسِكَ بِالْقَضِيبِ الاَحْمَرِ الَّذِي غَرَسَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ بِيَمِينِهِ، فَلْيَتَمَسَّكْ بِحُبِّ عَلِيِّ بْنِ أََبِي طَالِبٍ. আল্লাহ রাববুল আলামী
উম্মতের পিতা রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ حَقُّ عَلِيٍّ عَلَي الْمُسْلِمِينَ حَقُّ الوَالِدِ عَلَي الْوَلَدِ. মুসলমানদের ওপর আলীর অধিকার,সন্তানের ওপর পিতার অধিকারের ন্যায়।
হযরত আলী (আ.) তাঁর ৪ বছর ৯ মাসের শাসন আমলে খেলাফত প্রশাসনের স্তুপীকৃত অরাজকতা ও বিশৃংখলাকে সম্পূর্ণরূপে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যদিও সমর্থ হননি তবুও এ ক্ষেত্রে তিনটি মৌলিক সাফল্য অর্জিত হয়েছিল।
পৃথিবীতে মানুষের সুস্পষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি হলো অব্যাহতকর্মচাঞ্চল্য, এটা মানুষের ব্যক্তিজীবনের অবশ্যম্ভাবী একটি প্রয়োজনীয়তা। ইমাম আলী(আঃ) মানুষের অস্তিত্বের স্বরূপ সম্পর্কে গভীরভাবে দৃষ্টি রাখেন। এক্ষেত্রে তিনিআরেকটি বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশ
আলী (আঃ) বিশ্ব এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আল্লাহর নিদর্শন বলেমনে করেন। তিনি বিশ্বাস করেন,পৃথিবীর সকল কিছুই মানুষের উপকারে সৃষ্টি করা হয়েছেএবং মানুষের উচিত প্রকৃতির যথার্থ ব্যবহার করা। আল্লাহর অলি-আউলিয়া বা ধর্মীয়মনীষীগণও প্রাকৃতিক সম্পত তথা আল্লাহর নিয়া
নিঃসন্দেহে আমাদের শেষ নবী (সা.) হচ্ছেন সকল নবীদের সর্দার এবং সম্মান ও মর্যাদার দিক থেকেও তিনি ছিলেন সবার উর্দ্ধে। দ্বীনে ইসলাম দুনিয়ার বুকে আসার পরে সকল দ্বীন বাতিল হয়ে যায় এমনকি হজরত নূহ, হজরত ইব্রাহিম, হজরত মূসা, হজরত ঈসা (আ.) এর শরীয়ত সমূহও বাতিল হ