اهل بیت علیهم السلام
لَا دِينَ لِمَنْ لَا مُرُوَّةَ لَهُ وَ لَا مُرُوَّةَ لِمَنْ لَا عَقْلَ لَهُ وَ إِنَّ أَعْظَمَ النَّاسِ قَدْراً الَّذِي لَا يَرَى الدُّنْيَا لِنَفْسِهِ خَطَراً أَمَا إِنَّ أَبْدَانَكُمْ لَيْسَ لَهَا ثَمَنٌ إِلَّا الْجَنَّةُ فَلَا تَبِيعُوهَا بِغَيْرِهَا
খোদার হুজ্জাত إِنَّ لِلّهِ عَلَی النّاسِ حُجَّتَینِ، حُجَّةً ظاهِرَةً وَ حُجَّةً باطِنَةً، فَأمّا الظّاهِرَةُ فَالرُّسُلُ وَ الاَْنْبِیاءُ وَ الاَْئِمَّةُ وَ أَمَّا الْباطِنَةُ فَالْعُقُولُ.»: মহান আল্লাহ মানুষের জন্য দুটি হুজ্জাত দান করেছেনঃ প্রকাশ্য হু
ইমাম মূসা কাযিম (আ.)একটি কবরের কাছে দাড়িয়ে বলেনঃ এটা হচ্ছে প্রত্যেক জিনীষের (মানুষের) শেষ পরিণতি। তাই উত্তম হচ্ছে প্রথম অবস্থাতে (পৃথিবীতে) তার ক্ষেত্রে আত্মনিগ্রহনীতি করা এবং তার প্রতি আসক্ত না হওয়া। আর যদি তার প্রথম পরিণতি এমনটি হয় তাহলে উচিত হবে যে
ইমাম (আ.) তাদেরকে বলেনঃ হজরত রাসুল (সা.) যে ঐশী জ্ঞান হজরত আলী (আ.) কে দান করেছিলেন উক্ত জ্ঞানটি তার পরবর্তি ইমামদের কাছেও পর্যায়ক্রমে পৌচেছে।
আজ হতে ১৩৭৪ বছর আগে ৬১ হিজরির ছয়ই মহররম কারবালার ময়দানে সত্য ও মিথ্যার উভয় শিবিরই জোরদার হয়েছিল নিজ নিজ সমর্থকদের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে। তবে কুফা ইমাম হুসাইন (আ.)’র কালজয়ী বিপ্লবের বিপক্ষে তথা মিথ্যার পক্ষে ঝুঁকে পড়েছিল।
বিশ্বনবী (সা.)বলেছেন : যে ব্যক্তি হালাল পথে জীবিকা আয় করতে লজ্জা পায় না, সে নিজেকে লাভবান করে ও তার খরচ হালকা হয়ে যায়। তার অহংকারও থাকে না। যে আল্লাহর দেয়া কম রুজিতে তুষ্ট থাকে আল্লাহ্ তার থেকে কম আমলেই সন্তুষ্ট হন। আর আল্লাহ দুনিয়া-প্রেমিকের আশা প্
ইসলামের পূর্বে দিন - তারিখ গণনার জন্য আরবদের এমন কোন ঐতিহাসিক উৎস ছিল না যাকে কেন্দ্র করে তারা কয়েক দশক বা শতাব্দীকে চিহ্নিত করতে পারত। অবশ্য তারা তারিখ গণনার জন্য এক দশক বা কয়েক দশকের মধ্যে ঘটমান গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসমূহকে উৎস করে তা কেন্দ্রিক সাময়িক তারিখ
নিঃসন্দেহে ১০ম হিজরীর ১৮ই জিলহজ্বে সংঘটিত গাদীরে খুমের ঘটনার পর হতে কবি সাহিত্যিকরা এ বিষয় ও ঐ দিনের ঘটনার উপর অসংখ্য সাহিত্য ও কবিতা রচনা করেছেন। সার্বিকভাবে মানবেতিহাসে বিশেষ করে ইসলামি ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা নজির নেহায়েত কম, যার প্রতি মানুষ এতটা গুরুত্
আল্লাহর রাস্তায় কঠোরতা রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَشْكُوا عَلِيّاً، فَو اللهِ إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِيذَاتِاللهِ، أَوْ فِي سَبِيلِ اللهِ. হে লোকসকল! আলীর বিরুদ্ধে নালিশ করতে যেও না। সে আল্লাহর কারণে অথবা তাঁর সন্তুষ্টির জন্যেই কঠ
শিয়ারা হযরত আলী (আ.) কে রাসূল (সা.) এর চেয়েও বড় মনে করে। আপনাদেরকেও দেখি শুধু হযরত আলীকে নিয়েই কথা বলেন এবং রাসূলের অন্য সাহাবীদের নিয়ে কোনো আলোচনাই করেন না। কেন? উত্তর: এ প্রশ্নের উত্তরকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: প্রথমত, এমন কোন শিয়া নেই যে হযরত আলী
পবিত্র কুরআনে আলী (আ.) ও বিশ্বনবী (সা.)'র পরিবারের এবং তাঁর বংশে জন্ম-নেয়া নিষ্পাপ সদস্যবৃন্দ তথা আহলে বাইতের নাম আসেনি? উত্তর: এক ব্যক্তি ইমাম জাফর আস সাদিক (আ.)-'র কাছে প্রশ্ন করেন যে সুরা নিসার ৫৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ, রাসূল এবং উলিল আমরের আনুগত্যের
(১) - হজরত আলী (আঃ) সকল সাহাবী ও আনছারদের জন্য এই তিনদিন অপেক্ষা করছিলেন যাতে সকলেই নবী সাঃ জানাজায় শরীক হতে পারেন কেননা অধিকাংশ তখন উপস্হিত ছিলোনা !!!
আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিদায় হজ উপলক্ষে গাদীরে খোম নামক স্থানে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, সে ভাষণের পর থেকে যারা প্রকৃত মুমিন, যারা আশেকে রাসূল (সা.), আশেকে আহলে বাইত (আ.) তারা প্রতিবছর অত্যন্ত গুরুত্ব ও মহব্বতের সঙ্গে
স্পষ্ট দলিল দ্বারা প্রমাণিত হয় যে "মাওল" এবং "ওয়ালী" শব্দের অর্থ হল মুসলিম উম্মাহর উত্তরাধিকারী ও অভিভাবক। এবং অন্য অর্থের সাথে সংগতি রাখে না। এখন নিম্নের বিষয়গুলির প্রতি লক্ষ্য করুন : ১) ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি যে রাসূল (সা.) হাদীসে গাদীর উপস্থাপন করতে
রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘আমি যাদের যাদের মাওলা, এই আলীও তাদের তাদের মাওলা’। যারা এই হাদিসটির “মাওলা” শব্দটি এই অর্থে ব্যবহার করেছেন যে, “আওলা” বা প্রধান, “আওলা” বা উন্নততর অর্থাৎ এমন এক ব্যক্তি যিনি অন্যতম বা প্রধান, সহজ ভাষায় যা বলা যায় যে, যিনি অভিভাবকত্ব
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর নবুয়্যতি মিশনের শুরু দিন হতে তাঁর জীবনের অন্তিম লঘ্ন পর্যন্ত হযরত আলী (আ.) তাঁর পাশে অবস্থান করেছেন। ছোটবেলা থেকেই নবী (স.) এর সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠা হযরত আলী (আ.) শত প্রতিকূলতার মাঝেও কখনই মহানবী (স.) কে নিঃসঙ্গ ত্যাগ করেন নি
বেহেশতী বৃক্ষশাখা হস্তে ধারণ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ مَنْ أَحَبَّ أََنْ يَسْتَمْسِكَ بِالْقَضِيبِ الاَحْمَرِ الَّذِي غَرَسَهُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي جَنَّةِ عَدْنٍ بِيَمِينِهِ، فَلْيَتَمَسَّكْ بِحُبِّ عَلِيِّ بْنِ أََبِي طَالِبٍ. আল্লাহ রাববুল আলামী
উম্মতের পিতা রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ حَقُّ عَلِيٍّ عَلَي الْمُسْلِمِينَ حَقُّ الوَالِدِ عَلَي الْوَلَدِ. মুসলমানদের ওপর আলীর অধিকার,সন্তানের ওপর পিতার অধিকারের ন্যায়।
হযরত আলী (আ.) তাঁর ৪ বছর ৯ মাসের শাসন আমলে খেলাফত প্রশাসনের স্তুপীকৃত অরাজকতা ও বিশৃংখলাকে সম্পূর্ণরূপে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যদিও সমর্থ হননি তবুও এ ক্ষেত্রে তিনটি মৌলিক সাফল্য অর্জিত হয়েছিল।