হজরত আব্দুল আযিম হাসানি (আ.)’এর সংক্ষিপ্ত জীবনি
হজরত আব্দুল আযিম হাসানি (আ.)’এর সংক্ষিপ্ত জীবনি
এস, এ, এ
নাম: আব্দুল আযিম, প্রসিদ্ধ হচ্ছেন সাইয়্যেদুল কারিম।(আল যারিয়া ইলা তাসানিফিশ শিয়া, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৫২)
পিতা: আব্দুল্লাহ বিন আলি বিন হাসান বিন যায়দ বিন হাসান (আ.) বিন আলি ইবনে আবি তালিব (আ.)।
মাতা: ফাতেমা বিনতে উকবা বিন কাইস। (মুনতাকেলাতুত তালেবিয়া, পৃষ্ঠা ১৫৭)
উপনাম: আবুল কাসিম, আবুল ফাতহ।
জন্ম তারিখ: রোজ বৃহঃস্পতিবার, ৪ঠা রবিউলস সানি, ১৭৩ হিজরি, খলিফা হারুনর রশিদ’এর যুগে জন্মগ্রহণ করেন।
জন্মস্থান: মদিনা, তাঁর পূর্বপুরুষ ইমাম হাসান (আ.)’এর বাড়িতে।
বয়স: ৭৯।
মৃত্যু: ২৫৪ হিজরি।
তিনি চারজন ইমাম (আ.)এর সানিধ্যে অর্জন করেছেন। তারা হচ্ছেন ইমাম মূসা কাযিম, রেযা, জাওয়াদ এবং হাদি (আ.)।
হজরত আব্দুল আযিম হাসানি (আ.) ইমাম হাসান (আ.)’এর বংশধর। তাঁর জন্ম তারিখ সম্পর্কে ইতিহাসে এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে যখন ইমাম মূসা কাযিম (আ.)’এর শাহাদত হয় তখন তাঁর বয়স ছিল ১০ বছর। অতএব তিনি ১৭৩ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন। ইমাম হাদি (আ.) শাহাদত বরণ করেন ২৫২ হিজরিতে আর তার দুই বছর পরেই অর্থাৎ ২৫৪ হিজরিতে তিনিও ইহলোকে পাড়ি জমান আর এই অনুযায়ি তার বয়স হচ্ছে ৭৯ বছর। (আল যারিয়া ইলা তাসানিফিশ শিয়া, খন্ড ৭, পৃষ্ঠা ১৬৯)
হজরত আব্দুল আযিম হাসানি (আ.)’এর স্ত্রী ছিলেন তাঁরই চাচাতো বোন অর্থাৎ হাসান বিন হাসান’এর কন্যা যার নাম ছিল খাদিজা। (মুনতাহিউল আমাল ফি তাওয়ারিখুন নাবি ওয়াল আল, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৫৮৫)
আর খাদিজা থেকে তার দুটি সন্তান জন্মলাভ করে একজনের নাম হচ্ছে মোহাম্মাদ এবং অপর জনের নাম হচ্ছে উম্মে সালামা। মোহাদ্দেমে কুম্মী লিখেছেন যে তাঁর সন্তান মোহাম্মাদ ছিলেন একজন মহৎ ব্যাক্তি এবং অতিরিক্ত ইবাদত বন্দেগির কারণে তিনি সকলের কাছে একজন ইবাদতকারি হিসেবে অতি সুপরিচিত ছিলেন। তিনি তাঁর কন্যাকে ওমর বিন ইব্রাহিমের সাথে বিবাহ দেন। আব্দুল আযিম (আ.)’এর বংশধারা তার মেয়ের পক্ষ থেকে অব্যাহত থাকে। কেননা তার সন্তান ইব্রাহিম’এর কোন সন্তান জন্মলাভ করেনি। (মুনতাহিউল আমাল ফি তাওয়ারিখুন নাবি ওয়াল আল, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৫৮৫)
হজরত আব্দুল আযিম হাসানি (আ.)’এর ফযিলত:
বিভিন্ন রেওয়ায়েতে হজরত আব্দুল আযিম হাসানি (আ.)’এর বিভিন্ন ফযিলত বর্ণিত হয়েছে।
১- তিনি ছিলেন রাসুল (সা.)’এর পবিত্র বংধরদের একজন এবং তাঁর চতূর্থ পিতৃপুরুষ ছিলেন ইমাম হাসান (আ.)।
২- হজরত আব্দুল আযিম হাসানি (আ.) ছিলেন তার যুগে হাসানি বংশের অন্যান্য সন্তানদের মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী। হাসানী বংশের লোকেরা সে যুগের অত্যাচারি শাষকদের বিরূদ্ধে অনেকবার বিরোধিতা করে এবং অনেকই উক্ত যুদ্ধে মারা যায় এবং অনেকই বন্দি হয়। (আব্দুল আযিম হাসানি, পৃষ্ঠা ৪১)
তিনি কখনই তার যুগের ইমামের অনুমতি ব্যাতিত কোন ধরণের যুদ্ধ বিগ্রহে অংশগ্রহণ করেননি। আর এ কারণেই অনেক ইমাম (আ.) তাঁর প্রশংসা করেছেন যেমন: ইমাম হাদি (আ.) তাঁর সম্পর্কে প্রশংসনীয় বাণী বর্ণনা করেছেন।
৩- আল্লাহ তাঁকে এত পরিমাণ আয়ু দান করেছিলেন যে, তিনি চারজন ইমাম (আ.)’এর সানিধ্যে অর্জন করতে পেরেছিলেন।
৪- যেহেতু সে যুগের অত্যাচারি খলিফার লোকজন তাঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল সেহেতু তিনি নিজেকে লুকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে রেই শহরকেই বেশী নিরাপদ বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু যখন শিয়ারা তার সম্পর্কে অবগত হয় তখন তারা তার বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। (আব্দুল আযিম হাসানি, পৃষ্ঠা ৩২)
আর তিনি এভাবেই খেলাফতের চাপ থাকা সত্বেও অসহায়, দুঃস্থ এবং দরিদ্রদেরকে সাহায্যে করতেন।
৫- রেই এলাকায় তিনি ছিলেন ইমাম হাদি (আ.)’এর পক্ষ থেকে নিযুক্ত উকিল।
হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.)’এর কেরামত সমূহ:
যখন মানুষ মাসুম ব্যাক্তিত্বদের সানিধ্যে অর্জন করবে তখন এমনিতেই তার অন্তরের আধ্যাতিক ও জ্ঞানের নূর সৃষ্টি হয়। যেমনটি ঘটেছিল হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.)’এর ক্ষেত্রে।
মরহুম আয়াতুল্লাহ হাজ সৈয়দ আহমাদ যানজানি তিনি মরহুম হাজ মোহাম্মাদ তেহরানি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, মরহুম হাজ মোহাম্মাদ তেহরান ‘এর বাবা বর্ণনা করেন যে, তার এক বন্ধু যার নাম ছিল হাদি খান যিনি তেনহরান এবং রেই শহরের রেলষ্টেষন দপ্তরে কাজ করতেন হঠাৎ তিনি ষ্টোক করেন এবং তার জিবীত লাশের মতো হয়ে যায়। সকলেই তাকে শেষবারের মতো দেখতে আসে এবং সকলেই নিরাশ হয়ে যায়। তার আত্মীয় স্বজনেরা তাকে সোমবার রাতে হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.)’এর মাজারে নিয়ে যায় এবং সে সেখানে সারা রাত ইবাদত করে, আল্লাহর কাছে মাসুম ইমাম (আ.)দের ওসিলা দিয়ে দোয়া চান এবং উক্ত অবস্থায় সে ঘুমিয়ে পড়ে তখন সে হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.)কে স্বপ্নে দেখে তিনি তাকে বলে আজকে চলে যাও এবং বৃহঃস্পতিবারে আমার এখানে এসো!
হাদি খানকে সেদিন ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বৃহঃস্পতিবারে তাকে আবার নিয়ে আসা হয়। সেইরাতেও তিনি পূর্বের রাতের ন্যায় ইবাদত করতে থাকেন। যখন সে ইবাদতের অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়ে তখন সে দেখতে পায় যে, হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.) এবং রাসুল (সা.) তার মাথার কাছে এসে দাড়িয়েছেন এবং হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.) রাসুল (সা.)কে বলেন ইয়া রাসুল (সা.) আপনি উক্ত লোকটিকে সুস্থ করে দিন। তখন রাসুল (সা.) হাদি খানকে বলেন হে ব্যাক্তি! তুমি উঠে দাঁড়াও কেননা তোমার আর কোন সমস্যা নেই!
যখন সে ঘুম থেকে জেগে উঠে তখন সে নিজেকে সুস্থ অবস্থায় দেখতে পাই এবং সে তিনদিন যাবত নিজ বাড়িতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে এবং আবার সে দপ্তরে কাজ শুরু করে দেয়। (আল কালাম ইয়াজুররুল কালাম, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ২১৩)
বিভিন্ন ওলামাদের দৃষ্টিতে হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.):
১- চতূর্থ শতাব্দির বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক “মোতামেদ ইবনে এবাদ” গ্রন্থের লেখক তিনি হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.) সম্পর্কে লিখেছেন যে, হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.) ছিলেন একজন দ্বিনদার, পহেজগার, আমানতদার এবং সত্যবাদির প্রতিমূর্তি এবং তিনি মাসুম (আ.) থেকে অনেক হাদিস বর্ণনা করেছেন। (সাফিনাতুল বিহার, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১২১, মুসতাদরাকে ওসায়েল, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৬১৩)
২- আহমাদ বিণ খালেদ বারক্বি তিনি হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.)কে একজন উত্তম হাদিস বর্ণনাকারি হিসেবে উল্লেখ করেন। (একাবুল আমাল, পৃষ্ঠা ৯২)
৩- শেইখ সাদুক্ব (রহ.) তিনি তাঁর “রোজা” নামক গ্রন্থ (যেখানে শাবান মাসের শেষের দিন এবং রমজান মাসের প্রথম দিন নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে) সেখানে তিনি একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন এবং তার শেষভাগে লিখেছেন যে, আমি উক্ত হাদিসটি শুধুমাত্র হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.) ছাড়া আর কাউকে বর্ণনা করতে শুনিনি। তিনি এমন একজন ব্যাক্তিত্ব ছিলেন যার প্রতি অবশ্যই সন্তুষ্ট ছিলেন। (মুসতাদরাকে ওসায়েল, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৬১৩)
৪- মরহুম হাজ মির্যা হুসাইন নূরি শেইখ আব্বাস কুম্মি’এর উস্তাদ “মোস্তাদরাকুল ওসায়েল” হচ্ছে তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ সমূহের মধ্যে অন্যতম। তিনি হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.) সম্পর্কে লিখেছেন যে, তিনি ছিলেন একজন রাসুল (সা.)’এর বংশের একজন অন্যতম ব্যাক্তিত্ব। (মুসতাদরাকে ওসায়েল, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৬১৩)
এছাড়াও অন্যান্য আলেমগণও ছিলেন হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.)’এর প্রসংশায় ছিলেন পঞ্চমুখ এবং তার যিয়ারত এবং সম্মান করার প্রতি অত্যান্ত গুরুত্ব দিতেন।
কেন হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.) রেই শহরে হিজরত করেন?
বিভিন্ন ইসলামি শহর সমূহে হুকুমতের অত্যাচার দিনদিন বেড়েই চলছিল এবং রাসুল (সা.)’এর আহলে বাইত (আ.)’এর পরিবারের সদস্যগণের অনেকই রেই শহরের দিকে হিজরত করেন এবং তাদের মধ্যে হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.) ছিলেন একজন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে, উক্ত শহরের এমন কি গুণাবলি ছিল যে, তিনি হিজরতের জন্য উক্ত শহরটিকে আশ্রয়স্থল হিসেবে নির্বাচন করেন?
ইতিহাসের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে বুঝা যায় যে, রেই শহরের লোকজন এমন একজন বিচক্ষণ নেতার অপেক্ষায় ছিল যে তাদেরকে সঠিক পথের নির্দেশনা দিবে। কেননা ৬৪ সাল পর্যন্ত এজিদ বিন মাবিয়া ইসলামি বিভিন্ন শহরগুলোতে বণি উমাইয়ার উদ্ভট সব চিন্তাধারা বাস্তবায়িত করতে চাচ্ছিল। আর তখন ইরাক এবং হেজাজ’এর মতো শহরবাসিরা বণি উমাইয়ার বিরোধিতা করে। আর রেই শহর ছিল সে যুগে এমন একটি শহর যেখানে বণি উমাইয়ার বিরোধিতা করা হতো। আর এ কারণেই কুফার গভর্ণর আমের বিন মাসউদ এবং মোহাম্মাদ বিন আমরু বিন আতারেদ কে শক্তিশালি সেনাবাহিনি দ্বারা রেই শহরের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করা হয়। আর এদিকে ফারখান রাযি’এর নেতৃত্বে রেই বাসীরা বণি উমাইয়ার বিরূদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং এক পর্যায়ে বণি উমাইয়ার সেনারা পরাজিত হয়ে কুফার দিকে পলায়ণ করে। (নাসেখুত তাওয়ারিখ, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৯৬)
আর এ থেকেই স্পষ্ট বুঝা যায় যে, কেন হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.) রেই শহরকে হিজরতের জন্য নির্বাচন করেন। তিনি ইমাম হাদি (আ.)’এর নির্দেশেই রেই শহরে হিজরত করেন। কেননা রেই শহর ছিল আহলে বাইত (আ.)’এর অনুসারিদের শহর।
হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.)’এর যিয়ারতের ফযিলত:
১- ইমাম রেযা (আ.) থেকে রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেছেন: যে ব্যাক্তি হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.)’এর যিয়ারত করবে সে বেহেস্তবাসি হবে। (মুসতাদরাকে ওসায়েল, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩৬৮)
২- এক ব্যাক্তি ইমাম হাদি (আ.)’এর খেদমতে উপস্থিত হয়। ইমাম (আ.) তাকে জিজ্ঞাসা করে তুমি কোথায় গেছিলে? সে উত্তরে বলে: আমি হুসাইন (আ.)’এর যিয়ারতের জন্য কারবালাতে গেছিলাম। তখন ইমাম (আ.) তাকে বলেন: এখন যদি তোমাদের কাছে হজরত আব্দুল আযিম হাসনি (আ.)’এর কবর থাকতো তাহলে তোমরা তাঁর যিয়ারত করে ইমাম হুসাইন (আ.)’এর কবর য়িারতের সমপরিমাণ সওয়াব অর্জন করতে পারতে।
হজরত আব্দুল আযিম হাসানি (আ.)’এর মৃত্যু:
হজরত আব্দুল আযিম হাসানি (আ.)’এর মৃত্যু সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত বর্ণিত হয়েছে যেমন: মরহুম মোল্লা বাকের মাযান্দারানি লিখেছেন যে, শত্রুরা তাঁকে সবসময় খুঁজে বেড়াতো। হয়তো শত্রুদের গুপ্তচরেরা গোপনে তাঁকে শহিদ করেছিল। (রূহ ওয়া রেইহান, পৃষ্ঠা ৪০১)
হজরত আব্দুল আযিম হাসানি (আ.) বেশ কিছুদিন শত্রুদের কারণে রেই শহরে জীবন যাপন করেছিলেন। আব্বাসিয় খেলাফতের লোকজন তাঁকে খুঁজে বড়োচ্ছিল। এমতাবস্থায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং কয়েকদিন তিনি অসুস্থ থাকেন এবং পরবাসি অবস্থায় তিনি মারা যান। যখন তিনি মারা যান তখন শিয়ারা তাকে গোপনে দাফন করে দেয় যেন আব্বাসিয় খলিফার লোকজন কিছুতেই বুঝতে না পারে যে তিনি মারা গেছেন। (তাহলিল আয যিন্দেগানি ইমাম হাদি (আ.), পৃষ্ঠা ২৮২, ২৮৩)
আরো একস্থানে বর্ণিত হয়েছে যে, হজরত আব্দুল আযিম হাসানি (আ.) সে যুগের তথাকথিত খলিফার ষড়যন্ত্রের কারণে রেই শহরে হিজরত করেন এবং সেখানে এক আহলে বাইত (আ.)’এর অনুসারির বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তিনি সেখঅনে অবস্থানকালে সারা দিন রোজা রাখতেন এবং সারা রাত ইবাদতে মশগুল থাকতেন। তিনি যখন ঘরের বাইরে আসতেন এবং বর্তমানে তাঁর কবরের সামনে যে কবর রয়েছে তার যিয়ারত করতেন।
কিছুদিন পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং উক্ত অসুস্থতার কারণে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। যখন লোকজন তাকে গোসল দেয়ার জন্য জামা খোলে তখন তারা একটি কাগজ পায়। উক্ত কাগজে লিখা ছিল আমার নাম আবুল কাসিম বিন আব্দুল্লাহ বিন আলি বিন হাসান বিন যায়দ, বিন হাসান বিন আলি বিন আবি তালিব। (মোজামে রেজালে হাদিস, খন্ড ১০, পৃষ্ঠা ৪৬)
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন