اهل بیت علیهم السلام
আজ ইরানসহ বিশ্বের নানা অঞ্চলে পালিত হচ্ছে হযরত ফাতিমা মাসুমা (সালামুল্লাহি আলাইহা)'র শাহাদত বার্ষিকী। আজ থেকে ১২৩৪ চন্দ্র-বছর আগে ২০১ হিজরির এই দিনে (১০ ই রবিউস সানি) শাহাদত বরণ করেন বিশ্বনবী (সা.)'র আহলে বাইতের সদস্য ইমাম মুসা কাজিম (আ.)'র কন্যা ও ইমাম র
ইরাকের সামেরা শহরে ইমাম হাসান আসকারী (আ.)এর যিয়ারতের জন্য তাঁর কবরের কাছে দাঁড়িয়ে বলতে হবে: أَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا مَوْلاَيَ يَا أَبَا مُحَمَّدٍ الْحَسَنَ بْنَ عَلَى الْهَادِيَ الْمُهْتَدِيَ وَ رَحْمَةُ اللَّهِ وَ بَرَكَاتُهُ أَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ يَ
শিয়াদের ১১তম ইমাম হযরত ইমাম হাসান বিন আলী আসকারী (আলাইহিস সালাম), শেইখ কুলাইনী’র বর্ণনার ভিত্তিতে ২৩২ হিজরীর পবিত্র রমজান অথবা রবিউস সানী মাসে জন্মগ্রহণ করেন। শাহাদাতের সময় তাঁর বয়স ছিল ২৮ বছর। ইবনে খাল্লাকান বর্ণনা করেছেন ২৩১ হিজরীর কোন এক মাসের বৃহস্
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সর্বোত্তম সৃষ্টি বা আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে। তাদেরকে চরম পূর্ণতা ও উন্নতির দিকে তথা বিশ্বের বুকে আল্লাহর প্রকৃত খলিফা বা প্রতিনিধির মর্যাদার পানে এগিয়ে নেয়ার জন্য যুগে যুগে পাঠিয়েছেন নবী-রাসূল এবং পথ-প্রদর্শক। মানব জাত
একদা ইমাম রেযা ( আঃ ) সকালের নামায আদায় করলেন। নতুন জামা পরে তিনি মেহরাবে বসলেন। মনে হচ্ছিল যেন তিনি জানতেন কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। তাঁর চেহারা অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি উজ্জল দেখাচ্ছিল। ইমান আর প্রেমের পৃথিবী যেন তাঁর চোখগুলোতে তরঙ্গায়িত হচ্ছিল।
আহলে সুন্নাতের অনেক বিজ্ঞ আলেমগণ নবী, আউলিয়া, সালেহিন এবং মুমিন বান্দাদের কবর যিয়ারতে কোন রকমের বাধা দান করেননি। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মাথা ব্যাথা হচ্ছে ওহাবি বা সালাফিদের।
মানুষের প্রত্যেকটি ভাল কাজের বিনিময় রয়েছে এবং তার প্রতিদান অনেকে এ দুনিয়াতে আবার অনেকে পরকালে উপলব্ধি করবে। আবার এমনও অনেক সৎ কাজ রয়েছে যা মানুষেরা সম্পাদন করে কিন্তু তাদের নিয়ত বা ভুল সম্পাদনের কারণে তার পূর্ণ সওয়াব অর্জন করা থেকে তারা বঞ্চিত হয়। কিন্তু
ইমাম রেযা (আ.) স্বীয় যুগের বণি হাশিমের সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত এবং সকলের শ্রদ্ধাভাজনের পাত্র ছিলেন। আহলে সুন্নাতের ঐতিহাসিকদের দৃষ্টিতে তাঁর ব্যাক্তিত্ব এমন পর্যায়ের ছিল যে, তিনিই হচ্ছেন সে যুগের প্রকৃত ও উপযুক্ত খেলাফতের অধিকারি।
আহলে বাইত (আ.)’এর অষ্টম ইমাম ছিলেন ইমাম রেযা (আ.)। তাঁর যুগের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট ছিল। অনুরূপভাবে বিশেষ কিছু সমস্যাবলিও বিদ্যমান ছিল। তবে ইমাম রেযা (আ.)’এর যুগে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল তাদের অনুসারিদের মধ্যে অভ্যন্তরিণ ক্রন্দোল। এক্ষেত্রে ইমাম রেযা (আ.)’এর দূ
ইরানের ইসলামি ইতিহাসে যে সকল ঘটনা ঘটেছে তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মদিনা থেকে মার্ভ’এর অভিমুখে ইমাম রেযা (আ.)’এর সফর। উক্ত সফরের কারণে ইরানের মাটি আহলে বাইত (আ.)’এর বেলায়াতের একটি কেন্দ্র বিন্দুতে রূপান্তিরিত হয়।
আজ ১০ই মহররম আশুরার দিবাগত রাত। ইতিহাসের সবচেয়ে করুণ ও ভয়াল রাত। কারবালার শহীদদের পবিত্র দেহ থেকে শির ছিন্ন করে নেয়া হয়েছে এবং অশ্ববাহিনী ছুটিয়ে পবিত্র দেহগুলো দলিত মথিত করা হয়েছে । এরপর এজিদের বর্বর সেনারা ইমাম পরিবারের মহিলাদের তাবু লুট করে তাতে আগুন লা
মরহুম মোকারারম লিখেছেন হজরত আলী আকবর (আ.) ১১ই শাবান ৩৩ হিজরী হজরত উসমানের হত্যার দুই বছর পূর্বে মদীনাতে জন্মগ্রহণ করেন। ইবনে ইদ্রিস তার সারায়ের নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে হজরত আলী আকবর (আ.) হজরত উসমান হত্যার দুই বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন।
রাসুল (সা.) হজরত ফাতেমা যাহরা (সা.আ.) কে কিছু সম্পদ উপহার স্বরূপ দান করেছিলেন। কিন্তু রাসুল (সা.)এর ওফাতের পরে হজরত ফাতেমা যাহরা (সা.) হজরত আলি (আ.) কে ওসিয়ত করেন তিনি যেন তার মৃত্যুর পরে তা বিভিন্ন মুমিন ও মুমিনাদেরকে উক্ত সম্পদগুলো দান করেন।
কারবালা; শব্দটি শুনলেই মন কেঁদে ওঠে। স্বভাবতই মানুষ যখনই কোন হৃদয়বিদারক ঘটনা দেখে বা অপর কেউ তার জন্য বর্ণনা করে তখন সে মর্মাহত হয়। আফসোস করে। যদিও ঘটনার শিকার ঐ ব্যক্তিটির সাথে তার পরিবারিক কোন সম্পর্ক নাওথাকে। আজ প্রায় ১৪ শতাব্দি পার হতে চলল, তবুও কারবা
১৮ ই জিলহজ এক মহাখুশির দিন। কারণ, এখন থেকে ১৪২৪ বছর আগে দশম হিজরির এই দিনে তথা ১৮ ই জিলহজ বিদায় হজ শেষে সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নাজেল হওয়ার পর বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর চাচাতো ভাই ও জামাতা আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)-কে নিজের উত্তরসূরি বা
আরবি অভিধানে গাদির’এর বিভিন্ন অর্থ বর্ণিত হয়েছে যেমন: কোন এলাকার নিচু স্থান যেখানে বৃষ্টি বা বন্যার পানি জমা হয় এবং সাধারণত উক্ত পানি গরমকাল পর্যন্ত থাকতো।
সর্বশেষ নবী মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) ২৩ বছর ধরে নবুওয়তের দায়িত্ব পালনের পর বলেছেন, 'নবুওয়তের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আর কোনো নবী আমার মতো এত কঠিন ও কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়েনি।
নামঃ আলী। উপাধিঃ হাদী, নাক্বী। ডাক নামঃ আবুল হাসান পিতার নামঃ ইমাম জাওয়াদ (আ.)। মাতার নামঃ সামানে মাগরেবিয়েহ। জন্ম তারিখঃ ১৫ই জিলহজ্ব ২১২ হিজরী। জন্মস্থানঃ সেরিয়া নামক গ্রামে যা মদীনা মুনাওয়ারা থেকে ৬ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত।
ইমামগণ হলেন এমন মহান ব্যক্তিত্ব যাঁরা আল্লাহর মনোনীত।তাদেঁর কথাবার্তা,আচার-আচরণ,তাদেঁর মন-মানসিকতা,তাদেঁর পবিত্র জীবনাদর্শ ও উন্নত মানবিক সত্ত্বাই তা প্রমাণ করে। নিঃসন্দেহে এ ধরনের উন্নত নীতি-আদর্শবান ব্যক্তিত্বদের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং তাদেঁর জীবনা