ঐতিহাসিক গাদিরে খুম’এর বর্তমান ভৌগলিক অবস্থান
ঐতিহাসিক গাদিরে খুম’এর বর্তমান ভৌগলিক অবস্থান
এস, এ, এ
গাদির অর্থ:
আরবি অভিধানে গাদির’এর বিভিন্ন অর্থ বর্ণিত হয়েছে যেমন: কোন এলাকার নিচু স্থান যেখানে বৃষ্টি বা বন্যার পানি জমা হয় এবং সাধারণত উক্ত পানি গরমকাল পর্যন্ত থাকতো। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ৪৩)
সৌদি আরবে বন্যা আসার যে রাস্তা তা হচ্ছে পূর্বদিক হতে লোহিত সাগর পর্যন্ত। সে যুগে উক্ত পথে একাধিক নিচু স্থান ছিল যেখানে বন্যা অথবা বৃষ্টির কারণে পানি জমে থাকতো। আর উক্ত স্থানগুলো একটি জলাশয়ের আকার লাভ করতো এবং জনগণ তা থেকে পানি ব্যাবহার করতো। আর উক্ত জলাশয়ের মতো স্থানগুলোকে আরবেরা গাদির বলতো। আর সে যুগে উক্ত শুষ্ক প্রান্তরে তখন সেই পানি মুসাফির এবং সাধারণ মানুষের অনেক উপকারে আসতো। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ১১)
খুম অর্থ:
পবিত্র, হিংসা বিদ্বেষ বিহিন অন্তর। হয়তো সেখানে যে পানি একত্রিত হতো তা ছিল পবিত্র এবং পানের উপযুক্ত। হাজিদের হজ থেকে ফেরার পথে একত্রিত হওয়ার স্থান। হজের পরে হাজিরা তাদের পবিত্র অন্তর নিয়ে ফিরে আসতো এবং তাদের অন্তর থাকতো পরিষ্কার ও স্বচ্ছ। (মাদরেসে সাবযে গাদির, পৃষ্ঠা ২৭)
গাদিরে খুমের ভৌগলিক অবস্থান:
অভিধান বেত্তা, ভূগোলবিদ এবং ঐতিহাসিতদের মতে গাদিরে খুম হচ্ছে মক্কা ও মদিনার মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। মক্কা থেকে ২০০ কি:মি: এবং মদিনা থেকে ৩০০ কি:মি: দূরে জলাশয়ের ন্যায় একটি স্থান যাকে খুম বলা হতো এবং বর্তমানে তা গাদিরে খুম নামে পরিচিত। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ৪৫)
উত্তর ও দক্ষিণ দুই এলাকার মাঝামাঝি একটি স্থান যা পূর্বদিক থেকে পশ্চিম দিক বরাবর ছিল এবং তা লোহিত সাগরের সাথে বন্যার সময় মিশে যেত। উক্ত এলাকায় সামুর নামক এক ধরণের গাছ পরিলক্ষিত হতো। গাদিরে খুমের গুণাবলির মধ্যে অন্যতম ছিল যে, সেখানের পানি কখনও শুকিয়ে যেত না আর পানি থাকার কারণে তার আশেপাশে বিভিন্ন গাছ ছিল এবং তা ছিল মুসাফিরদের জন্য একটি আরামের জন্য উত্তম স্থান। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ১১)
বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ার পথে অনেক গাদির (জলাশয়) ছিল যা বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল। আর উক্ত গাদিরটি খুম নামে পরিচিত ছিল। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ৪৪)
ঐতিহাসিকদের মধ্যে গাদিরের স্থান নিয়ে কোন দ্বিমত নেই যে তা মক্কা ও মদিনার মধ্যবর্তি স্থানে অবস্থিত। গাদিরে খুম জোহফা উপত্যকায় অবস্থিত না জোহফা গ্রামে। জোহফা উপত্যকা গাদিরে খুম থেকে শুরু হয়েছে এবং লোহিত সাগরে যেয়ে মিশেছে। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ৪২, ৪৬)
কেন ইমামতকে পরিচয় করার জন্য গাদিরকে নির্বাচন করা হয়?
১- কেননা উক্ত স্থানটি ছিল হজ্জ থেকে ফিরে আসার পথে বিভিন্ন দিকে জনগণের আলাদা হওয়ার কেন্দ্রস্থল । উক্ত স্থানের পূর্বদিকে মদিনা, উত্তর দিকে সমুদ্র উপকূল ও শাম, পশ্চিম দিকে সমুদ্র এবং নৌকার মাধ্যেমে মিশর এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ সমূহে যাওয়ার স্থান। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ১৪)
আর এজন্য গাদিরে খুম ছিল হজরত আলি (আ.)কে ইমাম হিসেবে নির্বাচনের সবচেয়ে উত্তম স্থান। (পনযদা রুয ব গাদির, পৃষ্ঠা ৩১)
২- উক্ত স্থানে ৫টি সামুর নামক লম্বা চেটাল পত্রযুক্ত গাছ ছিল যা শুধুমাত্র মুরুভুমিতেই জন্মাতো। উক্ত গাছগুলো ছিল মুসফিরদের আরামের জন্য উত্তম স্থান স্বরূপ। (গুযারিশে লাহযে বে লাহযে আয ওয়াকে গাদির, পৃষ্ঠা ১৮)
আর উক্ত ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের জন্য গাদিরে খুম ছিল সবচেয়ে উত্তম স্থান। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ১৪)
৩- উক্ত ঘটনাটিকে ইতিহাসে স্মরণিয় করে রাখার জন্য ১৮ জিলহজ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অর্থাৎ সকল হাজিদের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে যাওয়ার পূর্বেই উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ৩৯- ৪২)
গাদিরে খুমের বিভিন্ন নাম সমূহ:
ইতিহাসে বিভিন্ন স্থানকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপরে ভিত্তি করে নামকরণ করা হয়েছে। সুতরাং গাদিরে খুমও ইতিহাসে বিভিন্ন নামে পরিচিতি অর্জন করেছে যেমন:
১- ওয়াদিয়ে খুম।
২- জোহফা।
৩- হাররা।
৪- গাদিরে জোহফা।
৫- গুরাবা। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ৪৫)
গাদিরে খুম থেকে জোহফা’এর দূরত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত:
গাদিরে খুম থেকে জোহফা’এর দূরত্ব হচ্ছে দুই অথবা তিন মাইল। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ৪৮)
১- বাকেরি, গাদিরে খুম থেকে জোহফা’এর দূরত্ব সম্পর্কে বলেছেন: তিন মাইল। কিন্তু জামাখসারি বলেছেন দুই মাইল আর এ দ্বারা বাকেরির কথাটিকে দূর্বল করে দিয়েছে।
২- ইয়াকুতে হামাওয়ি, তিনি বলেছেন: গাদিরে খুম থেকে জোহফা’এর দূরত্ব হচ্ছে দুই মাইল।
৩- ফিরোজাবাদি বলেছেন: গাদিরে খুম থেকে জোহফা’এর দূরত্ব হচ্ছে তিন মাইল।
৪- নাসরু আররাম বলেছেন: গাদিরে খুম থেকে জোহফা’এর দূরত্ব হচ্ছে এক মাইল।
উক্ত পথের দূরত্বের মধ্যে পার্থক্য হওয়ার কারণ হচ্ছে একেজন একেক পথের হিসাব করেছেন। কেউ হয়তো এলাকার পাশ দিয়ে হিসাব করেছে, আর যারা এলাকার মাঝখান দিয়ে হিসেব করেছে তারা দুই মাইল বলেছে এবং যারা এলাকার বাহির দিয়ে হিসেবে করেছে তারা তিন মাইল বলেছেন। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ৫০)
গাদির মসজিদ:
ইতিহাসে গাদিরে খুমের ঐতিহাসিক ঘটনার পরে সেখানে একটি মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। আর যেহেতু তা ছিল হেজাজের পথে তাই আজও পর্যন্ত তার চিহ্নাবলি বিলিন হয়ে যায়নি। যেখানে রাসুল (সা.) অবস্থান করেছিলেন, নামাজ আদায় করেছিলেন, খুতবা দিয়েছিলেন, ইমাম আলি (আ.)কে সকল মুসলমানদের জন্য খলিফা নির্বাচন করেছিলেন সেখানে একটি মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল যা জলাশয় এবং ঝর্ণার মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। উক্ত মসজিদটি রাসুল (সা.)’এর নামে নামকরণ করা হয়। বাকারি বলেন গাদির জলাশয় এবং ঝর্ণার মাঝেই রাসুল (সা.)’এর নামে মসজিদ তৈরি করা হয়। (মোজামে বোলদান, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৮৯)
হামাভি বলেছেন: গাদির জলাশয় এবং ঝর্ণার মাঝেই রাসুল (সা.)’এর নামে মসজিদ তৈরি করা হয়। (মাসালেবুন নাওয়াসেব, পৃষ্ঠা ৬৩, ৬৪)
ইবনে শাহর আশুব তিনি তার মাসালেব গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, গাদিরে রাসুল (সা.)’এর নামের উক্ত মসজিদটিকে হজরত উমর’এর নিদের্শে নিঃচিহ্ন করা হয়। (মাসালেবুন নাওয়াসেব, পৃষ্ঠা ৬৩)
অবশ্য পরে ইমাম আলি (আ.)’এর যুগে রাসুল (সা.)’এর স্মৃতিকে উজ্জিবিত করার লক্ষ্যে আবার উক্ত মসজিদটিকে পুণঃনির্মান করা হয়। কিন্তু ইমাম আলি (আ.)’এর মৃত্যুর পরে মাবিয়ার নির্দেশে আবার উক্ত সমজিদটিকে ভেঙ্গে ফেলা হয়। আবুল ফারাজে ইস্ফাহানি তার “আল আগানি” নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে, মাবিয়া ২০০ জন খারেজিদেরকে গাদিরে খুমে অবস্থিত গাছ সমূহ যেখানে হাজিরা বিশ্রাম গ্রহণ করতো তা সহ রাসুল (সা.) এবং ইমাম আলি (আ.)’এর স্মৃতিবিজড়িত সকল চিহ্নাবলিকে নিঃচিহ্ন করার নির্দেশ দান করে। (মাসালেবুন নাওয়াসেব, পৃষ্ঠা ৬৪)
কিন্তু মাবিয়ার মৃত্যুর পরে আবার তা তৈরি করা হয়। যা বর্তমানে হেজাজে যাওয়ার পথে প্রসিদ্ধ একটি স্থানের রূপলাভ করেছে। আহলে সুন্নাতের ভৌগলিকবিদ এবং ঐতিহাসিকগণ উক্ত স্থানকে চিহ্নিত করেন যেখানে রাসুল (সা.)’এর গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।
ইমাম বাকের (আ.) গাদিরের ঘটনা এভাবে বর্ণনা করছেন: রাসুল (সা.) হেজাজ যাওয়ার পথে ডানদিকে বর্তমান মসজিদে গাদিরের স্থানে আসেন। কেননা উক্ত স্থানটিকে হজরত জিব্রাইল (আ.) রাসুল (সা.)কে দেখিয়ে দেন। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৩৭, পৃষ্ঠা ২০১)
হেসান জাম্মাল নামক এক ব্যাক্তি বলে যে, একবার আমি ইমাম জাফর সাদিক (আ.)কে মদিনা থেকে মক্কা অভিমুখে নিয়ে যাচ্ছিলাম। যখন তিনি গাদিরে খুমে পৌছান তখন তিনি তাঁর বামদিকে তাকান এবং বলেন যে, উক্ত স্থানে দাড়িয়ে রাসুল (সা.) বলেছিলেন “আমি যার মওলা আলি তার মওলা.....” অতঃপর তিনি তাঁর অপর দিকে তাকিয়ে বলেন ওখানে কিছু লোকেরা তাবু লাগিয়েছিল যারা রাসুল (সা.)’এর উক্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের উক্ত ষড়যন্ত্রের কারণে আয়াতও নাযিল হয়েছিল। (কাফি, খন্ড ৪ পৃষ্ঠা ৫৫৬, ইসবাতুল হুদা, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১৬, বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ১০০, পৃষ্ঠা ২২৫)
আব্দুর রহমান বিন হেজাজ বলেন: একবার আমি ইমাম মূসা কাযিম (আ.)কে গাদির নামক উক্ত মসজিদে নামাজ পড়ার সওয়াব ও ফযিলত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন: উক্ত মসজিদে নামাজ পড় কেননা তার বিশেষ ফযিলত ও সওয়াব রয়েছে। (কাফি, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৫৬)
আলি ইবনে মাহযিয়ার আহওয়াযি বলেন যে, আমি গায়বাতের সুগরাতে (ইমাম মাহদি (আ.)’এর ছোট অন্তর্ধানকালিন সময়) ইমাম মাহদি (আ.)’এর সাথে সাক্ষাতের আশায় ২০ তম সফরে হজের উদ্দেশে মদিনা থেকে মক্কা অভিমুখে রওনা হই এবং যখন জোহফা নামক স্থানে পৌছায় তখন সেখানে একদিন অবস্থান করি। অতঃপর জোহফা থেকে গাদিরের পথে রওনা হই এবং যখন মসজিদে গাদিরে পৌছায় যা জোহফা থেকে কয়েক মাইল দূরে অবস্থিত। যখন আমি উক্ত মসজিদে পৌছায় তখন নামাজ আদায় করলাম এবং দীর্ঘ সময় ধরে দোয়া করলাম। (আল গায়বাত, পৃষ্ঠা ১৫৫, বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৫২, পৃষ্ঠা ৫, হাদিস নং ৪)
সামহুদি বলেন: গাদির নামক মসজিদটিকে অনেকবার পূণঃনির্মান করা হয়েছে তন্মধ্যে ভারতের শিয়া বাদশাহগণ কয়েকবার উক্ত কাজে অংশগ্রহণ করেছিলেন। (মাআলেমে মাক্কে ওয়া মাদিনে বাইনাল মাযি ওয়াল হাযের, পৃষ্ঠা ২৫৪)
উক্ত মসজিদটি বিভিন্ন ব্যাক্তিদের নির্দেশে ভাঙ্গা ব্যাতিত বন্যার কারণেও কয়েকবার ভেঙ্গে যায়। তার মধ্যে উসমানি যুগে বন্যায় গাদির মসজিদটির অনেকখানি অংশ ভেঙ্গে যায়। (মাআলেমে মাক্কে ওয়া মাদিনে বাইনাল মাযি ওয়াল হাযের, পৃষ্ঠা ২৫৩)
অবশেষে সৌদি ওহাবি সম্প্রদায়ের লোকজন বিদ্বেষের কারণে তা ভেঙ্গে দেয় এবং সম্পূর্ণরূপে নিঃচিহ্ন করে দেয়। তারা উক্ত রাস্তাটি গাদিরের স্থান থেকে অনেক দূরে নিয়ে যায় যেন সাধারণ মানুষেরা তা চিনতে না পারে। (গাদির কুজা আস্ত, পৃষ্ঠা ৫৯- ৬১)
বর্তমানে গাদিরে খুমের অবস্থান:
বর্তমানে গাদিরকে একটি পরিত্যক্ত এলাকাতে পরিণত করা হয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র একটি পানির উৎস রয়েছে। উক্ত স্থানটি বর্তমানে মক্কা থেকে ২০০ কি:মি: এবং জোহফার নিকট রাবেগ নামক শহর থেকে ২৬ কি:মি: দূরে অবস্থিত।
আহলে সুন্নাতের একজন ভুত্বত্তবিদ আতিক বিন গাইস বালাদি (বালাদি হচ্ছে গাদিরের নিকটতম একটি স্থান) সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে তাকে রাসুল (সা.)’এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পথ নির্ধারণ করার দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। সে উক্ত কাজে গাদিরে খুমের স্থানকেও সঠিকভাবে সনাক্ত করেন এবং উক্ত স্থানের ছোটখাট সকল বিষয়কে উল্লেখ করেন।
এছাড়াও শিয়া আলেম আল্লামা ডক্টর শেইখ আব্দুল হাদি ফাযলি গাদিরে খুমের স্থানকে সনাক্ত করেছেন।
বর্তমানে গাদিরে খুম বিভিন্ন নাম দ্বারা পরিচয় করানোর চেষ্টা করানো হচ্ছে। ইসলামের শত্রুরা যতই চেষ্টা করুক না কেন আজও গাদিরে খুমে পানির ঝর্ণা রয়েছে যার আকারে রাসুল (সা.)’এর যুগ থেকে খুব একটা পরিবর্তন সাধিত হয়নি এবং আজও গাদিরে খূম নিজের বুকে রাসুল (সা.)’এর স্মৃতি বিজড়িত চিহ্নাবলিকে নিজের বুকে আগলে রেখেছে।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন