مقالات
মরহুম আয়াতুল্লাহ মোল্লা মোহাম্মাদ হাশেম খোরাসানি লিখেছেন যে, নাজাফ-এ আশরাফের একজন আলেম যার নাম ছিল “শাইখ মোহাম্মাদ আলি শামী” তিনি আমাকে বলেন: আমার মায়ের দাদা যার নাম ছিল সৈয়দ ইব্রাহিম দামেস্কি। তাঁর পূর্ব পুরুষ ছিলেন সৈয়দ মোতর্যা। তাঁর বয়স ছিল ৯০ বছর। তাঁ
হজরত সকিনা এবং হজরত রুকাইয়া উক্ত নাম দুটি নিয়ে ইতিহাসে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, ইমাম হুসাইন (আ.)’এর হজরত সকিনা এবং হজরত রুকাইয়া নামের কোন মেয়ে ছিল? যিনি তিন অথবা চার বছর বয়সে কারবালাতে উপস্থিত ছিলেন এবং দামেস্কে শাহাদত বরণ করেন?
১লা মহরম: শেয়াবে আবু তালিব: শেয়াবে আবু তালিবের ঘটনাটি উক্ত তারিখে সংঘটিত হয়। রাসুল (সা.) এর নবুওয়াত প্রাপ্তির পরে কুরাইশের কাফেরগণ একত্রিত হয়ে একটি চুক্তিনামা লিখে। তাতে উল্লেখ করা হয় যে, বণি হাশিমের লোকজনদের সাথে কোন প্রকারের কথা, একত্রে আহার, তাদের সা
আজ ১০ই মহররম আশুরার দিবাগত রাত। ইতিহাসের সবচেয়ে করুণ ও ভয়াল রাত। কারবালার শহীদদের পবিত্র দেহ থেকে শির ছিন্ন করে নেয়া হয়েছে এবং অশ্ববাহিনী ছুটিয়ে পবিত্র দেহগুলো দলিত মথিত করা হয়েছে । এরপর এজিদের বর্বর সেনারা ইমাম পরিবারের মহিলাদের তাবু লুট করে তাতে আগুন লা
মরুভূমির লাল সূযটা দিগন্তের ওপারে মুখ লুকানো । সে হয়তো লজ্জায় দুঃখে পালিয়ে বাঁচল । ইমাম শিবিরের করুণ আহাজারী, হয়তো তারও সহ্য হয়নি । পিপাসায় কাতর প্রাণ উষ্ঠাগত । কচি শিশুদের দুঃখে, পাষাণ হৃদয়ও বিচলিত হয় । কিন্তু নরাধম এজিদ বাহিনীর হৃদয়ে কোন দয়ামায়া নেই । ত
নামঃ আব্দুল্লাহ। পিতাঃ হুসাইন বিন আলী বিন আবি তালিব (আ.)। মাতাঃ রোবাব। জন্মঃ ১০ই রজব ৬০ হিজরী মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুঃ ছয় মাস বয়সে কারবালায় শহীদ হন।
১০ই মহরম আবা আব্দিল্লাহ হুসাইন (আ.)এর কষ্টের এবং ইমাম (আ.)গণ এবং তাঁদের অনুসারীদের জন্য দুঃখের দিন। আশুরার দিনে সকল পার্থিব কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা, খাদ্য সঞ্চয় না করা উত্তম বরং ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তাঁর আহলে বাইত (আ.) এর কষ্টকে স্মরণ করে এমনভাবে শোকানু
যতদিন পযন্ত হজরত খাদিজা জিবীত ছিলেন ততদিন পযন্ত রাসুল (সা.) অন্য কাউকে বিবাহ করেননি। অনুরূপভাবে যতদিন পযন্ত হজরত ফাতিমা (সা.আ.) জিবীত ছিলেন হজরত আলী (আ.) আর কাউকে বিবাহ করেননি। হজরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.) হজরত আলী (আ.) এর সাথে প্রায় ৯ বছর জীবন যাপন করেন এবং
৭৪ বছর বয়সী শেইখ আব্বাস, যিনি ৩৬ বছর হজরত আব্বাস (আ.) এর রওযার খাদেম ছিলেন, তিনি হজরত আব্বাস (আ.) এর রওযার নিচে পানি জমার কারণ সম্পর্কে বলেনঃ
হযরত আবুল ফজল আব্বাস বিন আলী (আ.) ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে অশ্রুভেজা ও রক্তমাখা নামগুলোর মধ্যে অন্যতম। অতি উচ্চ পর্যায়ের পৌরুষত্ব, মহানুভবতা, ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং বিশ্বনবী (সা.)'র পবিত্র আহলে বাইতের প্রতি চরম বা একনিষ্ঠ নিরঙ্কুশ আনুগত্যের জন্য ইতিহাসে তাঁর
হজরত কাসিম (আ.) এর সাথে হজরত ইমাম হুসাইন (আ.) এর কন্যার বিবাহের ঘটনা হচ্ছে ইসলামের শত্রুদের একটি রটনা এবং ষড়যন্ত্র এবং এ সম্পর্কে কোন সঠিক রেওয়ায়েত বিশ্বস্ত পুস্তক সমূহে লিপিবদ্ধ নেই।
হজরত আলী আকবর (আ.)’এর মায়ের নাম হচ্ছে লাইলা বিনতে আবি মাররা বিন উরওয়া বিন মাসউদ সাকাফি। এছাড়াও ইতিহাসে তার বিভিন্ন নাম উল্লেখ করা হয়েছে যেমনঃ লাইলা, মাররা, আমেনা ইত্যাদি।
হজরত আলী আকবর (আ.) ছিলেন ইমাম হুসাইন (আ.) এর কলিজার টুকরা। তিনি ছিলেন ইমাম হুসাইন (আ.) এর বড় সন্তান। তাঁর কথাবার্তা, সীরাত ছিল তার পূর্ব পুরুষ রাসুল (সা.) এর মতো। যারাই রাসুল (সা.) কে দেখার ইচ্ছা পোষণ করতেন তারাই তাকে নয়ন ভরে দেখতেন। যেমনভাবে তার বাবা ত
হুসাইনী শিবিরে একমাত্র হজরত আলী আকবর (আ.)ছিলেন সেই সৈনিক যিনি কারবালার ময়দান থেকে ফিরে আসেন। হজরত আলী আকবর (আ.) ছিলেন ইমাম হুসাইন (আ.) এমন এক সন্তান যিনি ছিলেন রাসুল (সা.) এর সদৃশ।
মরহুম মোকারারম লিখেছেন হজরত আলী আকবর (আ.) ১১ই শাবান ৩৩ হিজরী হজরত উসমানের হত্যার দুই বছর পূর্বে মদীনাতে জন্মগ্রহণ করেন। ইবনে ইদ্রিস তার সারায়ের নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে হজরত আলী আকবর (আ.) হজরত উসমান হত্যার দুই বছর পূর্বে জন্মগ্রহণ করেন।
হজরত আলী আকবর (আ.) হচ্ছেন ইমাম হুসাইন (আ.)’এর জৈষ্ঠ সন্তান। তার মাতার নাম লাইলা। কারবালায় হজরত আলী আকবর (আ.) উপস্থিত ছিলেন এবং এজিদি বাহিনীর বিরূদ্ধে জিহাদ করেন। কিন্তু তার বয়স সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করা হয়। নিন্মে তার কিছু দলিল উপস্থাপন করা হলো
হজরত আলী আকবর (আ.) এর বিবাহ হয়েছিল কিনা এ সম্পর্কে দুটি মত বর্ণিত হয়েছে। ১- কারো কারো মতে তাঁর বিবাহ হয়নি। ২- অনেকের মতে তাঁর বিবাহ হয়েছিল। কিন্তু তার স্ত্রী এবং সন্তানের কথাও কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু হজরত আলী আকবর (আ.) এর যিয়ারত নামাতে বর্ণি
নাম: আলী। উপনাম: আবুল হাসান। উপাধি: আলী আকবর। পিতার নাম: ইমাম হুসাইন (আ.)। মাতার নাম: লাইলা বিনতে আবি মাররা বিন উরওয়া বিন মাসউদ সাকাফি। জন্ম: ১১ই শাবান ৩৩ হিজরী, মদীনা, হজরত উসমান হত্যার দুই বছর পূর্বে। মৃত্যু: ১০ই মহরম, কারবালা। দাফনের স্থান: কারব
ঐতিহাসিকগণ বর্ণনা করেন যে, ওমর সাআদ’এর সৈন্যরা হজরত আলী আকবর (আ.)’এর চেহারা মোবারককে দেখে বলে (فتبارک الله احسن الخالقین)