مقالات
হজরত আলী আকবর (আ.) ছিলেন ইমাম হুসাইন (আ.) এর সন্তান। তার মাতার নাম লাইলা বিনতেআবি মাররা বিন উরওয়া বিন মাসউদ সাক্বাফি। তিনি ৩৩ হিজরীতে মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে ইমাম হুসাইন খুব ভালবাসতেন।
হজরত আলী আকবর ৪৩ হিজরী শাবান মাসের ১১ তারিখে মদীনা মুনাওয়ারাতে জন্মগ্রহণ করেন।(মুসতাদরাকে সাফিনাতুল বিহার, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ৩৮৮) তার পিতার নাম ইমাম হুসাইন বিন আলী বিন আবি তালিব (আ.) এরবং মাতার নাম লাইলা বিনতে আবি মাররা বিন উরওয়া বিন মাসউদ সাকাফি।(আলামুন
হজরত মুলিম হচ্ছেন আওসাজার পুত্র। (আবসারুল আয়ন, পৃষ্ঠা ১০৭) তিনি ছিলেন কুফাবাসী এবং হজরত ইমাম আলী ও হুসাইন (আ.) এর সাহাবী।(মাক্বতালুল হুসাইন মোকাররাম, পৃষ্ঠা ১৭৭)
হজরত যোহাইর বিন কাইন ছিলেন বাজালি গোত্রের একজন ব্যাক্তিত্ব যিনি কুফাতে জীবন যাপন করতেন। (তানকিহুল মাকাল, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৪৫২- ৪৫৩) তিনি ছিলেন কুফার একজন সাহসী, ভদ্র, বিনয়ি ব্যাক্তি। বিভিন্ন যুদ্ধে তার কৃতিত্ব রয়েছে। (আবসারুল আয়ন ফি আনসারিল হুসাইন, পৃষ্ঠা
কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.) এর সাথে কারবালা প্রান্তরে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর যে ৫ জন সম্মানিত সাহাবী শহীদ হয়েছিলেন তারা হলেন : (১) আনাস বিন হারাস কাহেলী; সকল ঐতিহাসিক তার কথা উল্লেখ করেছেন।
রাসুল (সা.) হজরত ফাতেমা যাহরা (সা.আ.) কে কিছু সম্পদ উপহার স্বরূপ দান করেছিলেন। কিন্তু রাসুল (সা.)এর ওফাতের পরে হজরত ফাতেমা যাহরা (সা.) হজরত আলি (আ.) কে ওসিয়ত করেন তিনি যেন তার মৃত্যুর পরে তা বিভিন্ন মুমিন ও মুমিনাদেরকে উক্ত সম্পদগুলো দান করেন।
হজরত জয়নাব (আঃ) ৫ই জমাদিউল আওয়াল, অষ্টম হিজরীতে মদিনায় জন্ম গ্রহণকরেন। পিতামহ: হজরত আবুতালিব, পিতামহী: হজরত ফাতিমা বিনতে আসাদ, পিতা:হজরত আমিরুল মোমেনিন আলী (আঃ), মাতা: হজরত ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ (আঃ)পদবী: হাশিম বংশের আকিলা (বুদ্ধিমতি)। উপাধি: উম্মে মক
ইমাম হুসাইন (আ.) এক কন্যার নাম ছিল ফাতিমা সুগরা। যখন ইমাম হুসাইন (আ.) মদীনা থেকে বিদায় নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন ফাতিমা সুগরা মদীনাতে একা থেকে যান।
হজরত ইমাম হুসাইন (আ.)’এর কাফেলায় শিশুদের অবস্থান ছিল আরেকটি উল্লেখযোগ্য একটি বিষয়। যার কারণে ইতিহাসে উক্ত কাফেলাটির গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। নিন্মে কারবালার কিছু শিশু শহীদদের বিবরণি উল্লেখ করা হলো
যুগে যুগে সত্যাশ্রয়ী ও নীতিনিষ্ঠদের ভূমিকা একই ছিল। তারা যে মত ও পথকে সত্য জ্ঞান করেছেন, শত প্রতিকূলতার মধ্যেও সেই নীতি, মত ও পথের উপর অবিচল থেকেছেন। নীতির প্রশ্নে তারা যেমন কারও সঙ্গে আপোষ করতেন না, তেমনি কে বা কারা এবং কতসংখ্যক লোক তাদের সঙ্গে রয়েছে, সে
হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)’র নেতৃত্বে কারবালার মহাবিপ্লব খোদাদ্রোহী ও মুনাফিক চরিত্রের অধিকারী উমাইয়া শাসকদের স্বরূপ উন্মোচন করেছিল। ইসলামের নামে ধর্মান্ধতা ও সন্ত্রাসবাদ চালু করেছিল ইয়াজিদি শাসক গোষ্ঠী। উমাইয়াদের রাজতান্ত্রিক ইসলামে বসেছিল দরবারি আলেমদের ম
কারবালা; শব্দটি শুনলেই মন কেঁদে ওঠে। স্বভাবতই মানুষ যখনই কোন হৃদয়বিদারক ঘটনা দেখে বা অপর কেউ তার জন্য বর্ণনা করে তখন সে মর্মাহত হয়। আফসোস করে। যদিও ঘটনার শিকার ঐ ব্যক্তিটির সাথে তার পরিবারিক কোন সম্পর্ক নাওথাকে। আজ প্রায় ১৪ শতাব্দি পার হতে চলল, তবুও কারবা
ইতিহাসের বর্ণনামতে ২৪শে জিলহজ্ব তারিখে রাসুল (সা.) নাজরানের নাসারাদের সাথে মুবাহিলা করার জন্য গেছিলেন। রাসুল (সা.) তার পরিধানের চাদরের মধ্যে হজরত আলী, ফাতিমা,হাসান ও হুসাইন (আ.) নিয়ে নেন এবং বলেন: হে আল্লাহ প্রত্যেক নবীর আহলে বাইত ছিল এবং এরা আমার আহলে বা
“অতঃপর তোমার কাছে জ্ঞান (কুরআন) এসে যাওয়ার পরও যদি কেউ (খ্রিস্টান) তোমার সঙ্গে তার (ঈসা)সম্পর্কে তর্ক-বিতর্ক করে, তাহলে বল- (আচ্ছা ময়দানে)এসো, আমরা আহ্বান করি আমাদের পুত্রদের এবং তোমাদের পুত্রদের এবং আমাদের নারীদের ও তোমাদের নারীদের এবং আমাদের নিজেদের
প্রচুর সংখ্যক হাদীস বর্ণনাকারী তাদের হাদীস গ্রন্থে এবং ঐতিহাসিক ও মুফাসসিরগন তাদের ইতিহাস ও তাফসীরের কিতাবসমূহে সুস্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করেছেন যে,হযরত ফাতেমা আয যাহরা (আ.),নাজরানের খৃষ্টান পাদ্রীদের সাথে নবী (সা.)-এর চ্যালেঞ্জের আহবানে অংশগ্রহণকারী আহলে বাইত
২৪ শে জিলহজ্ব ঐতিহাসিক মোবাহিলার দিন। ১০ই হিজরীর এই দিনে নাজরানের খ্রিস্টান প্রতিনিধিদের সাথে রাসূলে খোদার মোবাহেলা সংঘটিত হয়েছিল। ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে একটি পার্বত্য অঞ্চলের নাম নাজরান। নাজরানের ৭৩টি ছোট শহরে প্রায় ৪০ হাজার খ
১৮ই জিলহজ্বে রাত: ঈদে গ্বাদিরের রাত একটি মহিমান্বিত এবং মর্যাদাপূর্ণ রাত। সৈয়দ ইবনে তাউস (রহ.) তাঁর ইকবালুল আমাল নামক গ্রন্থে ১২ রাকাত নামাজ উল্লেখ করেছেন নামাজটি পড়ার নিয়ম: প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে ১০ বার সুরা ইখলাস ও ১বার আয়াতুল কুরসী পাঠ করতে হ
১৮ ই জিলহজ এক মহাখুশির দিন। কারণ, এখন থেকে ১৪২৪ বছর আগে দশম হিজরির এই দিনে তথা ১৮ ই জিলহজ বিদায় হজ শেষে সুরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াত নাজেল হওয়ার পর বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর চাচাতো ভাই ও জামাতা আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)-কে নিজের উত্তরসূরি বা
আরবি অভিধানে গাদির’এর বিভিন্ন অর্থ বর্ণিত হয়েছে যেমন: কোন এলাকার নিচু স্থান যেখানে বৃষ্টি বা বন্যার পানি জমা হয় এবং সাধারণত উক্ত পানি গরমকাল পর্যন্ত থাকতো।
সর্বশেষ নবী মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.) ২৩ বছর ধরে নবুওয়তের দায়িত্ব পালনের পর বলেছেন, 'নবুওয়তের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আর কোনো নবী আমার মতো এত কঠিন ও কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়েনি।