مقالات
শিয়াদের ১১তম ইমাম হযরত ইমাম হাসান বিন আলী আসকারী (আলাইহিস সালাম), শেইখ কুলাইনী’র বর্ণনার ভিত্তিতে ২৩২ হিজরীর পবিত্র রমজান অথবা রবিউস সানী মাসে জন্মগ্রহণ করেন। শাহাদাতের সময় তাঁর বয়স ছিল ২৮ বছর। ইবনে খাল্লাকান বর্ণনা করেছেন ২৩১ হিজরীর কোন এক মাসের বৃহস্
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সর্বোত্তম সৃষ্টি বা আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে। তাদেরকে চরম পূর্ণতা ও উন্নতির দিকে তথা বিশ্বের বুকে আল্লাহর প্রকৃত খলিফা বা প্রতিনিধির মর্যাদার পানে এগিয়ে নেয়ার জন্য যুগে যুগে পাঠিয়েছেন নবী-রাসূল এবং পথ-প্রদর্শক। মানব জাত
সন ৬৫ হিজরির উক্ত দিনে সুলাইমান বিন সুরাদের নেতৃত্বে প্রায় ১৬ হাজার তাওয়াবিন যারা ইমাম হুসাইন (আ.)এর রক্তের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আন্দোলন করেছিল। সুলাইমান বিন সুরাদ ছিল ইমাম আলি (আ.) এর অনুসারি। সে বিভিন্ন যুদ্ধে ইমাম আলি (আ.) এর পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি
একদা এক লোক ইমাম আলি নাক্বি (আ.) এর সমিপে উপস্থিত হয়। ইমাম তাকে জিজ্ঞাসা করেন তুমি কোথায় ছিলে? সে ইমাম (আ.) বলে: আমি ইমাম হুসাইন (আ.) এর যিয়ারত করতে গেছিলাম। ইমাম (আ.) তাকে বলেন: কেন তুমি আব্দুল আযিমের যিয়ারত করতে যাও না? কেননা তার যিয়ারত করলেও তুমি ইমাম
সৈয়দ ইবনে তাউস (রহ.) রবিউস সানী, জামাদিউল আওয়াল ও জামাদিউস সানী মাসে প্রথম দিনে দোয়া বর্ণনা করেছেন। ১লা রবিউস সানীতে এ দোয়াটি পাঠ করা মুস্তাহাব। দোয়াটি নিন্মরূপ: اللّهُمَّ أَنْتَ إِلهُ كُلِّ شَيْءٍ، وَ خالِقُ كُلِّ شَيْءٍ وَ مالِكُ كُلِّ شَيْءٍ وَ رَ
১ম রবিউস সানী তারিখের আমল সৈয়দ ইবনে তাউস (রহ.) হতে বর্ণিত হয়েছে ১ম রবিউস সানী তারিখে এ দোয়াটি পাঠ করা মুস্তাহাব। দোয়াটি নিন্মরূপ:
রাসুল (সা.)এর দাফন: ১লা রবিউল আওয়ালের মধ্যে রাতে রাসুল (সা.)এর পবিত্র দেহকে হজরত আলি (আ.) দাফন করেন। কেননা অন্যান্য ব্যাক্তিরা রাসুল (সা.)এর পবিত্র দেহকে ফেলে রেখে খেলাফত নির্বাচনের জন্য বণি সাকিফায় একত্রিত হয়েছিল। (তাবাকাত ইবনে সাআদ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৭৮)
রবিউল আউয়াল ( ربيع الأول ) ইসলামিক বর্ষপঞ্জির তৃতীয় মাস।সৈয়দ ইবনে তাউস তার “আল ইকবাল” নামক গ্রন্থে রবিউল আওয়াল মাসের ফযিল সম্পর্কে এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, উক্ত মাসটি হচ্ছে খুবই গুরুপূর্ণ একটি মাস। কেননা এ মাসে রাসুল (সা.) এ মাসে মক্কা থেকে মদিনার উদ্দেশ
কারবালার ঘটনার পরে মোখতার কারবালার শহিদদের রক্তের প্রতিশোধ নেয়া শুরু করে। কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওমরে সাআদের উপরে মোখতারে সাকাফির ক্ষোভ ছিল সবচেয়ে বেশি। যেহেতু মোখতার ও তার মাঝে বিদ্রোহ না করার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেহেতু মোখতার এমন একটি সুযোগে
ঈদ মানুষের জীবনে নিয়ে আসে অনাবিল আনন্দ। আর সেই ঈদকে কেন্দ্র করে সকল মুমিনরা এক স্থানে সকল ভেদাভেদকে ভুলে একত্রিত হয় এবং তাদের ঈমানী খুশির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। তেমননি একটি ঈদের নাম ঈদের যাহরা। যা সকল মুসলমানদের উৎযাপন করা উচিত। কিন্তু শুধুমাত্র আহলে বাইত (আ.)এ
একদা ইমাম রেযা ( আঃ ) সকালের নামায আদায় করলেন। নতুন জামা পরে তিনি মেহরাবে বসলেন। মনে হচ্ছিল যেন তিনি জানতেন কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। তাঁর চেহারা অন্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি উজ্জল দেখাচ্ছিল। ইমান আর প্রেমের পৃথিবী যেন তাঁর চোখগুলোতে তরঙ্গায়িত হচ্ছিল।
আহলে সুন্নাতের অনেক বিজ্ঞ আলেমগণ নবী, আউলিয়া, সালেহিন এবং মুমিন বান্দাদের কবর যিয়ারতে কোন রকমের বাধা দান করেননি। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মাথা ব্যাথা হচ্ছে ওহাবি বা সালাফিদের।
মানুষের প্রত্যেকটি ভাল কাজের বিনিময় রয়েছে এবং তার প্রতিদান অনেকে এ দুনিয়াতে আবার অনেকে পরকালে উপলব্ধি করবে। আবার এমনও অনেক সৎ কাজ রয়েছে যা মানুষেরা সম্পাদন করে কিন্তু তাদের নিয়ত বা ভুল সম্পাদনের কারণে তার পূর্ণ সওয়াব অর্জন করা থেকে তারা বঞ্চিত হয়। কিন্তু
ইমাম রেযা (আ.) স্বীয় যুগের বণি হাশিমের সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত এবং সকলের শ্রদ্ধাভাজনের পাত্র ছিলেন। আহলে সুন্নাতের ঐতিহাসিকদের দৃষ্টিতে তাঁর ব্যাক্তিত্ব এমন পর্যায়ের ছিল যে, তিনিই হচ্ছেন সে যুগের প্রকৃত ও উপযুক্ত খেলাফতের অধিকারি।
আহলে বাইত (আ.)’এর অষ্টম ইমাম ছিলেন ইমাম রেযা (আ.)। তাঁর যুগের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট ছিল। অনুরূপভাবে বিশেষ কিছু সমস্যাবলিও বিদ্যমান ছিল। তবে ইমাম রেযা (আ.)’এর যুগে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল তাদের অনুসারিদের মধ্যে অভ্যন্তরিণ ক্রন্দোল। এক্ষেত্রে ইমাম রেযা (আ.)’এর দূ
ইরানের ইসলামি ইতিহাসে যে সকল ঘটনা ঘটেছে তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মদিনা থেকে মার্ভ’এর অভিমুখে ইমাম রেযা (আ.)’এর সফর। উক্ত সফরের কারণে ইরানের মাটি আহলে বাইত (আ.)’এর বেলায়াতের একটি কেন্দ্র বিন্দুতে রূপান্তিরিত হয়।
খতিবে বাগদাদি আবা সালত (রহ.)’এর বংশ পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন যে, আব্দুস সালাম বিন সালেহ বিন সুলাইমান বিন আইয়ুব বিন মাইসারা আবু সালত হারাওয়ি ছিলেন আব্দুর রহমান বিন সামারা’এর(سمره) দাশ। আব্দুর রহমান বিন সামারা ছিলেন কুরাইশ বংশভূত।
আবা সালত হারভি (রহ.)এর নাম ছিল আব্দুস সালাম বিন সালেহ বিন সুলাইমান আইয়ুব বিন মুইয়াসসার। তবে তিনি আবা সালত হারভি নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন।। তাঁর পিতা অথবা দাদা হয়তো হারাত নামক স্থানে জিবন যাপন করতেন আর এ কারণেই হয়তো তাঁকে হারভি বলা হতো। এক যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার প