مقالات
'কুদস' শব্দের অর্থ পবিত্র। মসজিদে আকসাকে কুদস বলা হয়। মসজিদে আকসা মানে দূরবর্তী মসজিদ; এর অন্য নাম হচ্ছে বাইতুল মাকদিস, মসজিদে ইলিয়া, সালাম, উরুসালেম, ইয়াবুস। হিব্রু শব্দ 'বেথহামমিকদাস' থেকে মাকদিস, যার মূল শব্দ কুদস। মুসলমানদের কাছে জেরুজালেম শহর 'আল কুদ
রমজান মাসের শেষ জুমার দিনই মুসলিম বিশ্বে ‘জুমাতুল বিদা’ নামে পরিচিত। জুমাতুল বিদার গুরুত্ব অনুধাবন করার জন্য দুটো বিষয় আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন। ১- মাহে রমজানের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য। ২- সপ্তাহের ভেতরে জুমার দিনের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য। রমজান হচ্ছে পবিত্র ক
হজরত আলী (আ.) এর খেলাফতের সূচনা লগ্নে হাবীব বিন মুন্তাজাব ছিল ইয়ামেনের শাষক। ইমাম আলী (আ.) তাকে ইয়ামেনের জনগণের কাছ থেকে বাইয়াত নেয়ার জন্য চিঠি লিখেন। হাবীব ১০ জন উপযুক্ত ইয়ামেনবাসীকে আব্দুর রহমান বিন মুলজামের নেতৃত্বে কুফাতে প্রেরণ করেন। আব্দুর রহমা
ইবনে মুলজামের কবর সম্পর্কে ইবনে বাতুতা উল্লেখ করেছেন যে, যখন আমি কুফাতে যায় তখন কুফার পশ্চিম দিকে এক খন্ড মাটি দেখতে পাই যা ছিল অত্যান্ত কালো রংঙের আমি কৌতুহল বশত সেখানের লোকজনকে এর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম এবং বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে লাগলাম তখন সেখান
اَللّهُمَّ اِنّى اَسْئَلُكَ بِاسْمِكَ، يا اَللَّهُ يا رَحْمنُ، يا رَحيمُ يا كَريمُ، يا مُقيمُ يا عَظيمُ، يا قَديمُ يا عَليمُ، يا حَليمُ يا حَكيمُ، سُبْحانَكَ يا لا اِلهَ اِلاَّ اَنْتَ، الْغَوْثَ الْغَوْثَ، خَلِّصْنا مِنَ النَّارِ يا رَبِّ.
লাইলাতুল ক্বদর এমন একটি রাত যা হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। এ রাতের জন্য যতটা ফজিলত নির্ধারণ করা হয়েছে তা অন্য কোন রাতের জন্য নির্ধারিত হয়নি। এ রাতে ফেরেস্তাগণ ও রুহ (শ্রেষ্ঠ ফেরেস্তা) মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নির্দেশক্রমে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। আর যা কিছু
কালের গড্ডালিকা প্রবাহে নিমজ্জিত অধিকাংশ মানুষ আত্মার প্রশান্তির কথা ভুলে গেছে। পার্থিব অর্থ-বৈভবের লালসা, যশ ও খ্যাতির মোহ, নিরবচ্ছিন্ন আরাম-আয়েশের প্রত্যাশা প্রভৃতি হাজারো প্রবঞ্চনা বা কুহকিনী আশার ফাঁদ কেড়ে নিচ্ছে আধুনিক মানুষের জীবনের অতি মূল্যবান সময়
বিশ্বনবী (সা.) মহান আল্লাহর নির্দেশে প্রিয় প্রথম নাতীর নাম রাখেন হাসান। হাসান শব্দের অর্থ সবচেয়ে ভাল বা উত্তম, পছন্দনীয় ইত্যাদি। ইমাম হাসান (আ.)'র সাত বছর বয়স পর্যন্ত মহানবী (সা.) বেঁচে ছিলেন। রাসূল (সা.) বহুবার প্রিয় এই নাতিকে কাঁধে নিয়ে বলেছেন, “হ
১৫ ই রমজান বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)'র বড় নাতি হযরত ইমাম হাসান মুজতবা (আ.)'র পবিত্র জন্ম-বার্ষিকী। মুসলিম বিশ্বের যোগ্য ইমাম হিসেবে তাঁকে গড়ে তুলেছিলেন স্বয়ং বিশ্বনবী (সা.), আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) ও হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.)। তাঁর জন্ম হয়েছিল মদীনায় হ
ইমাম হাসান (আ.) ৩য় হিজরী’র ১৫ই রমজানের রাতে মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আমিরুল মু’মিনীন হযরত আলী (আ.) ও নারীকূলের শিরোমনি হযরত ফাতেমা যাহরা (সা আ.) এর প্রথম সন্তান। হযরত মহানবী (স.) তাঁর জন্মের পর তাঁকে কোলে তুলে নিয়ে তাঁর বাম কানে ইকামত দেন। অতঃপর একট
মদীনার জান্নাতুল বাকিতে ইমাম হাসান (আ.)'র কবর (বাম দিক থেকে প্রথম প্রস্তরখণ্ড বরাবর) আজ হতে ১৪৩২ চন্দ্র-বছর আগে তৃতীয় হিজরির এই দিনে (১৫ রমজান) বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)'র সবচেয়ে বড় নাতি এবং তাঁর দ্বিতীয় নিষ্পাপ উত্তরসূরি হযরত ইমাম হাসান মুজতবা পবিত্র
রাসূলুল্লাহ (সা.) সব ক্ষেত্রেই তাঁর উম্মতের জন্য আদর্শ বা নমুনা। দৈনন্দিন জীবনে সব কাজে তাঁকে অনুসরণ করা উম্মতের জন্য অপরিহার্য। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে পরিদৃষ্ট হয় তাঁর নবুয়াতপূর্ব জীবনে। যার প্রথমটি ছিল চাচা আবু তালিবে
আবূ ইবরাহিম মতান্তরে আবূ মুহাম্মাদ বা আবূ মুআবিয়াহ আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জান্নাতে (তার জন্য) ফাঁপা মুক্তা নির্মিত একটি অট্টালিকার সুসংবাদ দান করলেন; য
মক্কাবাসীর কাছে ‘তাহিরা’ বা ‘পবিত্র’ নামে খ্যাত খাদিজা (রা.)-এর ইন্তিকালের পর রাসূল (সা.) আরও একা হয়ে পড়েন। কারণ এর কিছু দিন আগে রাসূল (সা.) তার প্রিয় চাচা আবু তালিবকে হারান। দুই প্রিয় মানুষকে হারিয়ে রাসূল (সা.) এত বেশি শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন যে, ঐ বছরকে
“غلات” গোলাত’এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে অতিরঞ্জিত, মাত্রাধিক্য, নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করা। কেননা আরবি ভাষায় কোন জিনিষের দাম অতিরিক্তভাবে বেড়ে যাওয়াকে “غال” বলা হয়। (আল মুফরাদাত ফি এরাবিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩৬৫, আল মোজামুল ওয়াসেত, পৃষ্ঠা ৬৯০) বিভিন্ন ফেরকা পরিচিত
“মেলাল ওয়ান নাহল” নামক গ্রন্থে গোলাতদের ১০টি দলের কথা উল্লেখ করেছেন। (আল মেলাল ওয়ান নাহল, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ১৭৪, ১৯০) গোলাত মতাদর্শের অনুসারীরা মহান আল্লাহ, ইমাম এবং সাহাবিদের রূপক অর্থে ব্যাবহার করেছে। আর এ কারণে বিভিন্ন যুগে অনেক ব্যাক্তিত্বদেরকে হত্যা কর
ইমাম (আ.)গণ গোলাতদের দমনের ক্ষেত্রে তাদের অনুসারিদেরকে তাকওয়া এবং পরহেজগারির ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দান করতেন। মোফাযযাল বিন ওমর বলেন যে, আমি ইমাম সাদিক (আ.) থেকে শুনেছি তিনি বলেছেন: তোমরা ভ্রান্ত চিন্তাধারার মানুষদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখ। কেননা আমাদের
আল্লামা বাকের মাজলিসি (রহ.) রমজান মাসের ফযিলত সম্পর্কে “যাদুল মাআদ” গ্রন্থে প্রত্যেক দিনের নাম উল্লেখ করেছেন। বি:দ্র: নিন্মে বর্ণিত প্রত্যেকটি নামাজ দুই রাকাত করে পড়তে হবে। নামাজ সমূহ হচ্ছে নিন্মরূপ:
১ম রমজানের দোয়া اليوم الاوّل : اَللّـهُمَّ اجْعَلْ صِيامي فيهِ صِيامَ الصّائِمينَ، وَقِيامي فيهِ قيامَ الْقائِمينَ، وَنَبِّهْني فيهِ عَنْ نَوْمَةِ الْغافِلينَ، وَهَبْ لى جُرْمي فيهِ يا اِلـهَ الْعالَمينَ، وَاعْفُ عَنّي يا عافِياً عَنْ الْمجْرِمينَ . হে