مقالات
৬১ হিজরির ১২ই মহররম ইয়াজিদ সেনারা নবী পরিবার তথা ইমাম পরিবারের এবং ইমাম শিবিরের সকল নারী ও কন্যা শিশুকে বন্দী করে কুফায় নিয়ে যায়। এ সময় ইয়াজিদ সেনারা শহীদদের বিচ্ছিন্ন মাথা বর্শায় বিদ্ধ করে নিয়ে আসে তাদের সঙ্গে।
একটি সুশৃঙ্খল পরিবার গঠনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক ঔদার্য, সহনশীলতা, ধৈর্য ও ছাড় দেয়ার প্রবণতা যে কতো গুরুত্বপূর্ণ তা নিশ্চয়ই আমাদের আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয়েছে। পারিবারিক জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই মনে রাখতে হবে যে, শৃঙ্খলা বিধানই হলো মূল লক্ষ্য, বিশৃঙ্খল
যখন আমরা ওহাবিদের কর্মকান্ড এবং চিন্তাধারার প্রতি দৃষ্টিপাত করি তখন বুঝতে পারি যে, ওহাবীদের সাথে মুসলমানদের কোন সাদৃশ্যতা নেই বরং জাহেলিয়াত যুগের বর্বর জাতীর সাথে তাদের সাদৃস্যতা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওহাবি মতবাদ হচ্ছে ইসলামের নামে জাহেলিয়াত যুগের চিন্তাচেত
ইমাম হুসাইন (আ.) এর মদীনা থেকে কারবালার সফর ছিল একটি আধ্যাত্মিক সফর। তিনি উক্ত সফরে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন এবং উম্মতে মোহাম্মাদীকে সত্যর পথে আহবান জানান। নিন্মে বিভিন্ন স্থানের নাম এবং সেখানে সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করা হল
২৭শে রজব ইতিহাসের একটি অতিব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। কেননা ৪০ বছর বয়সে আল্লাহর নির্দেশে রাসুল (সা.) তার নবুওয়াতকে প্রকাশ করেন এবং উক্ত তারিখ থেকে কোরআনের আয়াত নাযিল হওয়া শুরু হয়। উক্ত দিনটি হচ্ছে মুসলমানদের জন্য ঈদের একটি দিন। যখন রাসুল (সা.) হেরা গুহা থেক
২৭শে রজব দিনের যিয়ারতটি শেইখ মুফিদ এবং সৈয়দ ইবনে তাউস তাদির স্বিয় গ্রন্থে এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, উক্ত দিনে ইমাম আলি (আ.) মাজারে কবর ঘরের দরজার কাছে দাড়িয়ে বলতে হবে: أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَ أَشْهَدُ أَنَّ مُح
আত্মহত্যা করা বা অন্যকে হত্যা করা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম এমনকি ঐ সমস্ত অস্ত্রের ব্যাবহার করা যা দ্বারা নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষকে হত্য করা হয় তাও ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম।
আবু তালিব ছিলেন আব্দুল মুত্তালিবের সন্তান এবং আমিরুল মু’মিনীন আলী (আ.) এর পিতা। মুসলমানদের অনেকেই মনে করেন তিনি রাসূল (স.) এর রেসালাতে বিশ্বাসী ছিলেন এবং ইসলামের প্রাথমিক যুগের বিভিন্ন সমস্যার মুখে ও বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্তে রাসূল (স.) এর একনিষ্ঠ সাহায্যক
হযরত আবু তালিব (আ.) ৪২ বছর হতে ৮৩ বছর পর্যন্ত রাসুল (স.) এর খেদমতে ছিলেন। তাঁর ঈমান আনয়ন ও তাঁর মুসলমান হওয়ার বিষয়ে ৭০টি স্বতন্ত্র গ্রন্থ রচিত হয়েছে। এ বিতর্কিত (তাঁর ঈমানের বিষয়) বাদ দিয়ে আমাদের উচিত তাঁর ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করা। সুন্নিদের কি
আবু তালিবের জন্মঃ রাসুল (সা.) এর জন্মের ৩৫ বছর পূর্বে আব্দুল মোত্তালেবের ঘরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতার নাম ছিল ফাতেমা। আবু তালিবের নামঃ সেই যুগে আরবদের নিয়ম ছিল ছেলে হলে তার নামের পূর্বে আবু এবং মেয়ে হলে তার নামের পূর্বে উম শব্দটি যোগ করা হতো। অনেক
মহানবী (স.) এর ওফাতের পর তার জীবন কিভাবে কেটেছে তা নিয়ে আদৌ কোন আলোচনা আমরা করি না। আমরা আদৌ কোনদিন জানতে চেষ্টা করেছি যে, তিনি কিভাবে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছিলেন? তাঁর পিতা আল্লাহর রাসূল (স.) এর ওফাতের পর তিনি কতদিন বেঁচে ছিলেন এ প্রশ্ন হয়তবা আমাদের
হজরত ইমাম মোহাম্মাদ বাকের (আ.) সন ৫৭ হিজরি রোজ শুক্রবার মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন ইমাম জয়নুল আবেদিন (আ.) এবং তাঁর মাতা ছিলেন ফাতেমা বিনতে ইমাম হাসান। ইমাম বাকের (আ.) ছিলেন প্রথম ইমাম, যিনি বাবা মা উভয়ের দিক থেকেই ছিলেন আলাভি।
আলী ইবনে মুগাইরা বলেনঃ একদা আমি ইমাম মূসা কাযিম (আ.) এর সাথে মিনার দিকে যাচ্ছিলাম হঠাৎ দেখি পথের মধ্যে এক মহীলার কাঁধে তার সন্তান বসে আছে এবং তারা উভয়েই খুব ক্রন্দন করছে। ইমাম (আ.) তাকে জিজ্ঞাসা করেন তুমি কেন ক্রন্দন করছ? যেহেতু মহীলাটি ইমাম কাযিম (আ.)
মুসাইব বলেঃ আপনি কি মনে করেন যে আমি সকল প্রহরীকে ফাঁকি দিয়ে আপনার হাতে পায়ে বাধা শিকলের তালা খুলে আপনাকে আমি কারাগারের বাইরে নিয়ে যেতে পারব? ইমাম বলেনঃ হে মুসাইব! তুমি কি খোদার দানৃকত অলৌকিক শক্তির প্রতি সন্দেহ পোষণ কর? মুসাইব বলেঃ না আমার মওলা আমি সন্
নিঃসন্দেহে অর্থ হচ্ছে মানুষের জীবন পরিচালনার মূল চাবিকাঠি। মানুষ অর্থ ছাড়া কখনই সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারে না। বিভিন্ন ধর্মের ন্যায় ইসলামে কখনই বলা হয়নি যে ফকিরের ন্যায় জীবন যাপন কর। হজরত আবু যার (রা.) এর খুব সুন্দর একটি কথা বলেছেনঃ দারিদ্
ইমাম মুসা ইবনে জাফর আল কাযিম (আ.)'র জন্ম হয়েছিল ১১৯ হিজরিতে। তাঁর পিতা ছিলেন বিশ্ববিশ্রুত ইমাম হযরত জাফর সাদিক (আ.); আর মায়ের নাম ছিল হামিদাহ (সালামাতুল্লাহ আলাইহা) । ক্রোধ বা রাগ সংবরণে এবং ধৈর্য ধারণের ক্ষেত্রে ইমাম মুসা কাযিম (আ.)'র অশেষ ক্ষমতা দেখে
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) বলেছেনঃ তিন প্রকারের মানুষ কেয়ামতের দিনে খোদার আরশের ছায়ায় অবস্থান করবে যখন খোদার আরশের ছায়া ব্যাতিত অন্য কোন ছায়া সেখানে থাকবে নাঃ যে তার মুমিন ভাইয়ের বিবাহের জন্য সাহায্যে করবে অথবা তার জন্য কোন সাহায্যেকারীর ব্যাবস্থা করবে অথ
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) বলেছেনঃ ভাল প্রতিবেশী গুণ এটা নয় যে অপরকে কষ্ট না দেয়া, বরং ভাল প্রতিবেশীর গুণ হচ্ছে অপরের খারাপ ব্যাবহার এবং হয়রানি ক্ষেত্রে ধৈর্য ধারণ করা । (উসুলে কাফি, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৬৭, হাদীস নং ৯) কিছু কিছু বিষয় রয়েছে যে, প্রতিবেশীদের অসা
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) বলেছেনঃ কৃপণ ব্যাক্তি হচ্ছে সে যে, খোদা যা ওয়াজিব করেছেন তা সম্পাদনে কার্পণ্যতা করে। (তোহফুল উকুল, পৃষ্ঠা ৪৩১, বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৭৩, পৃষ্ঠা ৩০৫, মাআনিল আখবার, পৃষ্ঠা ২৪৬, হাদীস নং ৭) কৃপণতা মানুষের নৈতিকতার বীপরিত একটি কাজ। কিন্ত
قَلِيلُ الْعَمَلِ مِنَ الْعَالِمِ مَقْبُولٌ مُضَاعَفٌ، وَ كَثِيرُ الْعَمَلِ مِنْ أَهْلِ الْهَوى وَ الْجَهْلِ مَرْدُود ইমাম কাযিম (আ.) বলেছেনঃ একজন আলেমের কম আমলকে একজন স্বেচ্ছাচারী এবং জ্ঞানহীন ব্যাক্তির অধিক আমলের তুলনায় বেশী প্রাধান্যতা দান করা হব