مقالات
ঈসা (আ.)-এর একজন হাওয়ারীর বংশধর শামউন (রা.) মহানবী (সা.)-কে অনেক জটিল বিষয়ে প্রশ্ন করে সেসবের জবাব পেয়ে সন্তুষ্টচিত্তে তাঁর প্রতি ঈমান এনেছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি রাসূল (সা.)-কে বলেন: আমাকে সংবাদ দিন সত্যবাদী, মুমিন, ধৈর্যশীল, তওবাকারী, কৃতজ্ঞ, বিনয়ী,
মুশরিকরা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা মনে করত। এ আয়াতে বলা হচ্ছে, কাফের-মুশরিকরা আল্লাহ ও ফেরেশতা সম্পর্কে অদ্ভুত ধারণা পোষণ করত অথচ এরাই নিজেদের ক্ষেত্রে কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়াকে অপমানজনক মনে করত। তাদের কারো স্ত্রী যদি কন্যা সন্তান জন্ম দিত তাহলে লজ্জা
যেকোন নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ নওরোজে আনন্দ-উৎসব পালনের রেওয়াজ থাকলেও আরবী নববর্ষের ক্ষেত্রে তা ঘটেনা। পহেলা মহররম এলেই বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের মনে ১০ই মহররমের কারাবালার হৃদয় বিদারক ঘটনার কথা নতুন করে ভেসে ওঠে, নেমে আসে শোকের ছায়া। হ্যাঁ মহররমের ১০ ত
সব জ্বিন এবং মানুষ মিলে যদি চেষ্টা করে তারপরও কুরআনের মত একটি আয়াতও সৃষ্টি করতে পারবে না। আর এ আয়াতে আল্লাহ বলেন: কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল, আল্লাহ এই কিতাবে মানব জীবনের সঙ্গে জড়িত সব বিষয়কে সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় বর্ণনা করেছেন। এটি কুরআ
যাবুরই আজামÂ (পার্সিয়ান সাম্স) কবি ইকবাল লাহোরির অপর একটি কাব্য গ্রন্থ। যাবুর একটি ঐশী গ্রন্থের নাম। বনী ইসরাইলীদের নবী হযরত দাউদ ( আ ) এর ওপর এই আসমানী কিতাবটি নাযিল হয়েছিল। হযরত দাউদ (আ) খুব সুন্দর কণ্ঠে এই গ্রন্থটি পাঠ করতেন। ইকবাল তাঁর একটি ফার্সি ক
আমরা সবাই জানি, সাতটি রঙের সমন্বয়ে রংধনু সৃষ্টি হয়। একইভাবে আমাদের প্রতিদিনের খাবারের মেন্যুতে নানা রঙের খাবার রাখার প্রতি ইঙ্গিত করে রংধনু খাবারের কথা বলছেন পুষ্টিবিদরা। অবশ্যই কৃত্রিম রঙসমৃদ্ধ কোনো খাবারের কথা বোঝাতে চাননি পুষ্টবিদরা। তারা ফল-মূল ও শা
এ আয়াত থেকে আমাদের মনে রাখা দরকার: এক. কুরআন মানুষকে সুপথ দেখানোর জন্য নানা ব্যক্তি ও জাতির দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে এবং উপমাও ব্যবহার করেছে। দুই. যার মধ্যে সত্যকে মেনে নেয়ার মানসিকতা নেই সে সত্য বক্তব্যের মোকাবেলায় বিতর্ক করতেই থাকবে। তাকে যতই উপমা বা দৃষ
মহরম মাসের ১ লা তারিখে ইতিহাসে ঘটেছিল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। যেমন, হযরত ইদ্রিস নবীর (আ.) জান্নাত গমন, মক্কায় কাফের নেতাদের পক্ষ থেকে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এবং তাঁর অনুসারীদের ওপর অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবরোধ আরোপের মত কয়েকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘট
আমরা যদি হাদিসের প্রতি দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখতে পাই যে, ইসলাম ধর্মে সন্তাদের সুন্দর নামকরণের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কেননা একটি সুন্দর নাম মানুষের ব্যাক্তিত্বের উপরে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। অনুরূপভাবে একটি অসুন্দর নামও মানুষের ব্যাক্তিত্বকে নষ্
পয়গাম্বার (সা.) বলেনঃ « لا یَجتَمِعُ أربَعُونَ رَجُلاً فِی أمرٍ واحِدٍ إلّا استَجابَ الله تَعالی لَهُم حَتّی لَو دَعَوا عَلی جَبَلٍ لَأزالُوهُ » চল্লিশ জন পুরুষ একই কাজে, কাজ সহজ হওয়ার জন্যে দলীয় ভাবে দোয়া করে না কিন্তু এই যে মহান আল্লাহ্ তাদের দোয়
সূরা হাজ্জের ৭৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا ارْكَعُوا وَاسْجُدُوا وَاعْبُدُوا رَبَّكُمْ وَافْعَلُوا الْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ (77) “হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু কর,সেজদা কর,তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর এবং সৎকাজ সম্পা
এ বিষয়টি স্পষ্ট করতে প্রথমে যে প্রশ্নটি সমাধান করতে হবে তা হল ইরানিরা কিভাবে শিয়া মাযহাবের অনুসারী হয়েছে? সর্বপ্রথম মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) এর যুগে ইরানে পত্র প্রেরণ মারফত ইরানের বাদশাহকে ইসলামের প্রতি আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং ১৬ হিজরীতে দ্বিতীয় খলিফা উম
আয়াতুল্লাহ সুবহানী তাবলিগ (ধর্ম প্রচারের) করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন: অন্যান্য আহবানকারী যে ইসলামের প্রচার করছে যদি তোমরাও সেই ইসলামের প্রচার করো তবে তোমার দেশের জনগণ তাতে তুষ্ট হবে না। সুতরাং কিতাব (কুরআন), সুন্নত এবং বুদ্ধিবৃত্তি হতে প্রকৃত ইসলামক
১লা জামাদিউস সানির আমল সমূহ সৈয়দ ইবনে তাউস (রহ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে উক্ত মাসের প্রথমাংশে দিকে ৪ রাকাত নামাজ পাঠ করা উত্তম। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং ২৫ বার সুরা কদর এবং দ্বিতিয় রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে ১ বার সুরা তাকাসুর, ২৫
ওহাবি মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওহাব 'কাশফুশ শাব্হাত' নামক গ্রন্থে দাবি করেছেন, 'শাফায়াত' এবং 'তাওয়াসসুল' শির্কের প্রকারভেদ। এ কারণে বহু মুসলমানকে মুশরিক বলে অভিহিত করেছে।এই ফের্কার দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামের অপরাপর ফের্কার সাথে সম্পূর্ণ পৃথক
আহলে বাইতের মা’সুম ইমামগণের ধারাবাহিকতায় হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আ.) ছিলেন ষষ্ঠ ইমাম। তাঁর মাধ্যমে জাফারী মাজহাবের ফিকাহ্ব্যাপক প্রসার ও সুবিন্যস্ত রূপ লাভ করে বিধায় শিয়া মাযহাব ‘জাফারীমাযহাব’ হিসেবেও পরিচিত লাভ করে ।
প্রকৃতপক্ষে আলসাউদ তেষট্টি বছরে ব্যাপক স্থবির হয়ে পড়ে। আব্দুল আযিয বিন আব্দুর রহমানের আগমন পর্যন্ত এই স্থবিরতার ধারা অব্যাহত থাকে। আব্দুল আযিযের আগমনে সাউদ বংশের শক্তি যেমন ফিরে আসে তেমনি বিচ্যুত ঐ ওহাবি মতবাদের চর্চাও পুনরায় বৃদ্ধি পায়। আব্দুল আযিয ব
কুয়েতের আহলে সুন্নাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ডক্টর রেফায়ি "ওহাবি ভাইয়ের প্রতি পরামর্শ" নামক গ্রন্থে ওহাবি আলেমদের উদ্দেশ্যে লিখেছেনঃ তোমরা নবীজীর প্রথম হাবিবা বা সহধর্মিনী উম্মুল মুমিনিন হযরত খাদিজাতুল কোবরা (সা) এর ঘর ধ্বংস করার অনুমতি দিয়েছো এবং কোনোরক
ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে দৃষ্টি দিলে উল্লিখিত উত্তরের চেয়ে সঠিক উত্তর আমাদের হস্তগত হয়। এ বিষয়টি ‘হযরত মহানবী (স.) এর সুন্নত (হাদীস) লিপিবদ্ধ করণের’ বিষয়ের প্রতিই প্রত্যাবর্তন করে। আপনারা অবগত যে, প্রথম খলিফার (আবু বকর) যুগ হতে আল্লাহর রাসূল (স.) এর হাদীস লিপ
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ছিলেন একাধারে নতুন জাতি, রাষ্ট্র ও নতুন সভ্যতার রূপকার৷ সম্পূর্ন প্রতিকূল পরিবেশে বা স্রোতের সম্পূর্ণ বিপরীতে তৎকালীন আরব সমাজের জাহেলী প্রথা ও রীতি এবং বৈষম্যমূলক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোগুলোকে ভেঙ্গে-চুরে রাজনৈতিক, সামাজ