মাসুম (আ.)দের নামে সন্তানদের নামকরণের ফযিলত
মাসুম (আ.)দের নামে সন্তানদের নামকরণের ফযিলত
এস, এ, এ
বর্তমান বিশ্বে সন্তানদের নামকরণের ক্ষেত্রে মুসলমানদের অনেকেই বিভিন্ন চিন্তাধারার উপরে ভিত্তি করে নিজেদের সন্তানদের নামকরণ করে থাকেন। কেউ বিশ্বে ব্যাপক আলোচিত ব্যাক্তির নামে সন্তানের নামকরণ করেন আবার অনেকে চলচিত্রের অভিনেতা বা অভিনেত্রিদের নামে সন্তানদের নামকরণ করেন। আবার অনেকে সন্তানদের এমন বৈচিত্র নামকরণ করেন যার কোন সুন্দর অর্থ নেই বা তা উচ্চারণ করতেও অন্যদের কষ্ট হয়। কিন্তু আমরা যদি হাদিসের প্রতি দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখতে পাই যে, ইসলাম ধর্মে সন্তাদের সুন্দর নামকরণের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কেননা একটি সুন্দর নাম মানুষের ব্যাক্তিত্বের উপরে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। অনুরূপভাবে একটি অসুন্দর নামও মানুষের ব্যাক্তিত্বকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই মুসলমানদের মাসুম (আ.)দের নামে নিজেদের সন্তানদের নামকরণ করা উচিত। নিন্মে এ সম্পর্কে কিছু হাদিস উল্লেখ করা হলো:
১- হজরত মাহাম্মাদ (সা.) বলেছেন: পিতার উপরে সন্তাদের তিনটি দাবি রয়েছে: এক: সুন্দর নাম তার জন্য নির্বাচন করা, দুই: তার লিখা পড়ার ব্যাবস্থা করা, তিন: সন্তান প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তার বিবাহের ব্যাবস্থা করা। (মাকরিমুল আখলাক, পৃষ্ঠা ২২০)
২- রাসুল (সা.) বলেছেন: তোমরা তোমাদের দ্বিনি ভাইদেরকে তাদের সুন্দর নাম দ্বারা সম্বোধন করো এবং তাদেরকে খারাপ উপাধি দ্বারা সম্বোধন করো না। (কানযুল উম্মাল, খন্ড ১৬, পৃষ্ঠা ৪২১, হাদিস নং ৪৫২১৯)
৩- রাসুল (সা.) বলেছেন: যদি কেউ কোন ব্যাক্তিকে খারাপ নাম দ্বারা সম্বোধন করে ফেরেস্তারা তার প্রতি লানত প্রেরণ করতে থাকে। (কানযুল উম্মাল, খন্ড ১৬, পৃষ্ঠা ৪২০)
৪- ইমাম আলি (আ.) বলেছেন: যে বংশের লোকদের নাম নবিদের নামে নামকরণ করা হবে আল্লাহ কিছূ ফেরেস্তাদেরকে নির্বাচন করবেন যারা সকাল সন্ধ্যা তাদের প্রশংসা করবে। (সাওয়াবুল আমাল ওয়া একাবুল আমাল, পৃষ্ঠা ৩০১)
৫- ইমাম হুসাইন (আ.) বলেছেন: যদি আমার ১০০ সন্তান থাকতো তাহলে আমি তাদের সকলের নাম আলি রাখতাম। (রওযাতুল মুত্তকিন, খন্ড ৮, পৃষ্ঠা ৬২৫)
৬- ইমাম বাকের (আ.) এক বাচ্চাকে জিজ্ঞাসা করেন তোমার নাম কি? ছেলেটি বলে মোহাম্মাদ। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করেন তোমার ডাক নাম কি সে বলে: আলি। ইমাম (আ.) বলেন: তোমার কাছ থেকে শয়তান অনেক দূরে থাকবে, কেননা যখন তোমাকে কেউ মোহাম্মাদ অথবা আলি বলে ডাকবে তখন শয়তানের অবস্থা তামা গলা পানির ন্যায় হয়ে যাবে। (ওসায়েলুশ শিয়া, খন্ড ১৫, পৃষ্ঠা ১২৬)
৭- ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন: যখন কোন ব্যাক্তিকে আমাদের শত্রুদের নামে ডাকা হয় তখন শয়তান আনন্দ এবং গর্বিতবোধ করে। (ওসায়েলুশ শিয়া, খন্ড ১৫, পৃষ্ঠা ১৩০)
৮- ইমাম কাযিম (আ.) বলেছেন: যে পরিবারের পুরুষদের নাম নাম আহমাদ, আলি, হাসান, হুসাইন, জাফর, তালিব, আব্দুল্লাহ এবং নারিদের ফাতেমা নামকরণ করা হবে সে ঘরে কখনও দারিদ্রতা এবং অভাব থাকবে না। (ওসায়েলুশ শিয়া, খন্ড ১৫, পৃষ্ঠা ১২৯)
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন