ইমাম মূসা কাযিম (আ.)- ৬
ইমাম মূসা কাযিম (আ.)- ৬
عِنْدَ قَبْرٍ حَضَرَهُ إِنَّ شَيْئاً هَذَا آخِرُهُ لَحَقِيقٌ أَنْ يُزْهَدَ فِي أَوَّلِهِ وَ إِنَّ شَيْئاً هَذَا أَوَّلُهُ لَحَقِيقٌ أَنْ يُخَافَ آخِرُهُ.
ইমাম মূসা কাযিম (আ.)একটি কবরের কাছে দাড়িয়ে বলেনঃ এটা হচ্ছে প্রত্যেক জিনীষের (মানুষের) শেষ পরিণতি। তাই উত্তম হচ্ছে প্রথম অবস্থাতে (পৃথিবীতে) তার ক্ষেত্রে আত্মনিগ্রহনীতি করা এবং তার প্রতি আসক্ত না হওয়া। আর যদি তার প্রথম পরিণতি এমনটি হয় তাহলে উচিত হবে যে তার শেষ পরিণতিকে ভয় করা। (মাআনিল আখবার, পৃষ্ঠা ২৪৬, হাদীস নং ৭, তোহফুল উক্বুল, পৃষ্ঠা ৪৩২, হাদীস নং ৯, বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৭৮, পৃষ্ঠা ৩২০)
মহান আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেকটি মানুষকে রূহ এবং নাফসের সমন্বয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি মানুষকে সম্পূর্ণরূপে কতৃত্ব দান করেছেন। মানুষ নিজের ইচ্ছায় হয় তার রূহকে অথবা তার নাফসকে শক্তিশালী করে। যদি মানুষের রূহ শক্তিশালী হয় তাহলে তার দুনিয়া এবং আখেরাত হবে ফুলের বাগনে স্বরূপ আর যদি সে তার নাফসকে শক্তিশালী করে তাহলে তার দুনিয়া এবং আখেরাত হবে অগ্নিকুন্ড স্বরূপ।
মানুষের রূহ তার শরীর থেকে আলাদা কিছূই না। যদি মানুষের শরীরর কোন ব্যাথ্যা পাই তাহলে রূহও সেই ব্যাথ্যাকে অনুভব করে উদাহরণ স্বরূপ বলতে পারি যদি কেউ কারো বাচ্চাকে মারে তখন বাচ্চার পিতা বা মাতা সে ব্যাথ্যা নিজের অন্তরে অনুভব করে। অনুরূপভাবে যদি কবরে মানুষ আযাব ভোগ করে তাহলে তার রূহও সে কষ্ট অনুভব করবে।
অনুরূপভাবে যদি মানুষের রূহ শক্তিশালী হয় তাহলে সে রূহ মানুষের শরীরের উপরে প্রভাব বিস্তার করে। আমরা ইতিহাস খুজলে এমন অনেক ঘটনা দেখতে পাব যে বিভিন্ন যুগে অনেক মুমিন মুসলমানেরা মারা গেছেন কিন্তু পরে যখন তাদের কবরকে খোড়া হয়েছে দেখো গেছে যে তখনও তাদের সে মৃত দেহ প্রথম অবস্থার ন্যায় অক্ষত রয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ আমরা বলতে পারিঃ হজরত হুর যিনি কারবালাতে শহীদ হয়ে গেছিলেন কিন্তু যখন তার কবরকে পূঃননির্মাণ করার জন্য পদক্ষেপ নেয় হয় তখন দেখা যায় তখনও তার দেহ অক্ষত রয়েছে। এরকম অনেক ঘটনা আছে যা আমরা ইতিহাস অধ্যায়ন করলে জানতে পারব।
তাই ইমাম কাযিম (আ.) তার হাদীসে বর্ণনা করেছেন যে মানুষ যেন আখেরাতের কথা ভুলে গিয়ে দুনিয়ার প্রতি আসক্ত না হয়ে পড়ে বরং দুনিয়ার কথাকে ভুলে আখেরাতের প্রতি আসক্ত হয়। তাহলেই সে পরকালে সফলকাম হতে পারবে।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন