بصیرت سیاسی اجتماعی
আবু তালিব ছিলেন আব্দুল মুত্তালিবের সন্তান এবং আমিরুল মু’মিনীন আলী (আ.) এর পিতা। মুসলমানদের অনেকেই মনে করেন তিনি রাসূল (স.) এর রেসালাতে বিশ্বাসী ছিলেন এবং ইসলামের প্রাথমিক যুগের বিভিন্ন সমস্যার মুখে ও বিভিন্ন সংকটময় মুহূর্তে রাসূল (স.) এর একনিষ্ঠ সাহায্যক
হজরত ইমাম মোহাম্মাদ বাকের (আ.) সন ৫৭ হিজরি রোজ শুক্রবার মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন ইমাম জয়নুল আবেদিন (আ.) এবং তাঁর মাতা ছিলেন ফাতেমা বিনতে ইমাম হাসান। ইমাম বাকের (আ.) ছিলেন প্রথম ইমাম, যিনি বাবা মা উভয়ের দিক থেকেই ছিলেন আলাভি।
জীবনের স্রোতোধারার অনিবার্য সঙ্গী হলো মানবজাতি ৷ 'নর' এবং 'নারী' মানবজাতির এই জীবনধারাকে প্রবাহমান গতি দিয়েছে সেই সৃষ্টির আদি মানব আদমের যুগ থেকে ৷ বর্তমান বিশ্বের ৬১০ কোটি মানুষ যুগ-যুগান্তের ধারাবাহিক উত্তরাধিকার এখন ৷ মানুষ সম্পর্কে প্রসিদ্ধ একটি বক্তব
ইসলাম ধর্ম মানুষকে আশাবাদী হতে বলে। এ কারণে ঈমানদার ব্যক্তিরা হতাশ ও নিরাশ হন না। পবিত্র কুরআনেও বারবারই এ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আর পবিত্র কুরআনই হচ্ছে একমাত্র জীবন বিধান,যা মানুষের জন্য প্রকৃত কল্যাণ ও সুখ নিশ্চিত করে। এই জীবন বিধানে মানুষের ছো
যখন মানুষ জানতে পারবে যে, সে তার জীবনের গত হয়ে যাওয়া দিনগুলোতে আল্লাহকে সঠিক ভাবে চিনতে পারেনি এবং যে পবিত্র সত্ত্বা তাকে সকল প্রকার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য নেয়ামত দান করেছেন তার শুকুর আদায় করতে অবহেলা করেছে।
ইসলামে আকিদাগত বিষয়গুলোর মধ্য হতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রাজআত, যা কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। অবশ্য এ বিষয়টির প্রতি শুধু মুসলমানরাই বিশ্বাস রাখে না বরং খৃষ্টান ও ইহুদিসহ প্রায় সব ধর্মের অনুসারীরাই এতে বিশ্বাস করে। উল্লেখ্য যে রাজআত অতীতের উম্মতের
যেকোন নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ নওরোজে আনন্দ-উৎসব পালনের রেওয়াজ থাকলেও আরবী নববর্ষের ক্ষেত্রে তা ঘটেনা। পহেলা মহররম এলেই বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের মনে ১০ই মহররমের কারাবালার হৃদয় বিদারক ঘটনার কথা নতুন করে ভেসে ওঠে, নেমে আসে শোকের ছায়া। হ্যাঁ মহররমের ১০ ত
আমরা যদি হাদিসের প্রতি দৃষ্টিপাত করি তাহলে দেখতে পাই যে, ইসলাম ধর্মে সন্তাদের সুন্দর নামকরণের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। কেননা একটি সুন্দর নাম মানুষের ব্যাক্তিত্বের উপরে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। অনুরূপভাবে একটি অসুন্দর নামও মানুষের ব্যাক্তিত্বকে নষ্
পবিত্র কোরআন হজরত মোহাম্মাদ (সা.) এর যুগেই সংকলিত হয়েছিল এবং এ কারণেই শিয়ারা বিশ্বাসী যে, কোরআনের একটি সূরা, আয়াত, হুরুফ এমনকি একটি নোকতাও বিকৃত হয়নি এবং রাসুল (সা.) এর যুগ থেকে নিয়ে আজও তা অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু আমরা বিভিন্ন পুস্তকে কিছু রেও
যেহেতু বনি উমাইয়্যা ও বনিআব্বাসের খেলাফতকালে খলিফারা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন সব কাজ করেছিল যাতে করে প্রকৃত ইসলামথেকে মানুষ দুরে সরে যায় এবং মানুষের মাঝে প্রকৃত ইসলামের প্রচার নাহয়।
আব্দুল ওহাবের ভ্রান্ত আকিদার বিরুদ্ধে মুসলিম জনগোষ্ঠি তো বটেই, এমনকি তার পিতা এবং আপন ভাইও ঐ মতবাদ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার ভাই শায়খ সোলাইমানের জীবনকথায় এসেছে আব্দুল ওহাবের পিতা জীবিতকালে ছেলের এ ধরনের আকিদা প্রচারের ব্যাপারে বাধা দিয়েছিলেন। তবে হিজরি
আব্দুল আযিযের সন্তানদের মধ্যে সর্বপ্রথম ক্ষমতায় আসীন হয়েছিল তার নাম ছিল সাউদ। তার পরের বাদশা ছিল ফয়সাল বিন আব্দুল আযিয। কিন্তু ফয়সালের বাদশাহীর সময় সাউদি পরিবারে অভ্যন্তরীণ মতানৈক্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় এবং এক পর্যায়ে ফয়সাল বিন আব্দুল আযিযকে হত্যা
কারবালায় হামলার এই বিপর্যয়কর ঘটনায় মুসলিম বিশ্বে ওহাবিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিলো। সমকালীন কবিগণ এই হত্যাকাণ্ড এবং ইমাম হোসাইন (আ) এর মাযারের সম্মান ও পবিত্রতা বিনষ্ট করার ঘটনা নিয়ে বহু মর্সিয়া রচনা করেছিলেন। ওহাবিরা বারো বছর ধরে মাঝে
ইসলামী বিরোধী তৎপরতা প্রত্যেক যুগেই পরিচালিত হয়ে আসছে। তাই নবী করিম (সাঃ) যখনই ইসলামের আহকামসমূহ যার উৎস ও ভিত্তি ছিল আল্লাহর ওহী ও কোরআনের আয়াতসমূহ জনগণের সামনে উপস্থাপন করতেন, দেখা যেত উম্মতে মুহাম্মদীর (সাঃ) মধ্যে কোন কোন দূর্বল ঈমানধারী ব্যক্তি আপত্তি
বেলায়েতে ফকীহ ও মারজাইয়্যাতের মধ্যে সম্পর্ক কী? শিয়া সংস্কৃতিতে বেলায়েত মারজাইয়্যতের একটি অংশ। বিখ্যাত ও মহান মারজাগণ জনগণকে কেবলমাত্র ঐশী আইন ও নীতিমালার প্রতি পরিচালিত করেননি বরং নির্দিষ্ট সামাজিক সমস্যাবলী সম্পর্কেও জনগণকে পথ নির্দেশনা দান করেছেন এমন
উন্নয়ন আধুনিক বিশ্বে অতি পরিচিত একটি বিষয়। এর সংজ্ঞা নিয়ে নানা মত থাকলেও সাধারণভাবে উন্নয়ন বলতে এমন কাংখিত অবস্থায় উপনীত হবার প্রক্রিয়াকে বোঝায়, যে অবস্থায় উপনীত হলে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান ইসলামী চিন্তাবি
হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) এর শাহাদাতের পর পুরো মুসলিম বিশ্বের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে ইয়াজিদ। হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)-এর প্রতি সাধারণ মানুষের আবেগ বুঝতে পারে ধূর্ত ইয়াজিদ। ক্ষমতায় টিকে থাকতে হলে সব কিছুই কৌশলে ম্যানেজ করতে হয়। সেই পথেই এগুলো ইয়াজিদ।
সন ১১ হিজরী ৩রা জামাদিউস সানী রোজ মঙ্গলবার হজরত ফাতেমা যাহরা (সা.আ.) এর শাহাদত বরণ করেন। রাসুল (সা.) এর ওফাতের পরে তিনবার হজরত ফাতেমা যাহরা (সা.আ.)ও হজরত আলী (আ.)এর ঘরে মুসলমানরা হামলা করে এবং পর্যায়ে তারা হজরত ফাতেমা (সা.আ.)এর ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। শুধুমা
৫ই জামাদিউল আওয়াল হজরত জয়নাব(সা.আ.) এর জন্মদিবস: হজরত জয়নাব (সা.আ.) ৫ অথবা ৬ হিজরিতে মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। এছাড়াও তাঁর জন্ম তারিখ সম্পর্কে ইতিহাসে একাধিক মতামত বর্ণিত হয়েছে যেমন: সন ৬ হিজরি শাবান মাসের প্রথম দিনগুলোতে, ১লা শাবান, ৩০শে শাবান, রমজান মাসে,
কারবালাতে ইমাম হুসাইন (আ.)এর শাহাদতের ঘটনার পরে আলোচিত ঘটনাসমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাবিয়া বিন ইয়াযিদের খেলাফত ত্যাগ। ইবনে হাজার আসকালানী তার গ্রন্থে মাবিয়া বিন ইয়াযিদের খেলাফত ত্যাগের ঘটনাটি এরূপভাবে বর্ণনা করেছেন: