عرفان اسلامی
কিয়ামতে অবিশ্বাসী বহু মানুষ কোনো রকম দলিল প্রমাণ ছাড়াই কিয়ামত দিবসকে অস্বীকার করে। তারা মনে করে কিয়ামত অনুষ্ঠানের বিষয়টি অসম্ভব একটা ব্যাপার, এটা হতে পারে না। তারা আরো বলেঃ এটা কী করে সম্ভব যে মানুষ মরে যাবার পর মাটিতে পরিণত হয়ে যায়, তারপরও সেই মান
হে আল্লাহ!) সমস্ত প্রশংসা তোমার এবং বদান্যতা, ক্ষমা, উচ্চতম মর্যাদা এবং মহানুভবতা এ সব কিছুই আপনার সাথে সম্পৃক্ত। আপনি যাকে ইচ্ছা তা দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা দান করা থেকে বিরত থাকেন। হে আমার খোদা! সৃষ্টিকর্তা, রক্ষক এবং আশ্রয়দাতা আমি আমার সুবিধা এবং অসুবি
এই আয়াতে পুরস্কার এবং শাস্তি ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনটি নীতির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। প্রথম নীতি হিসেবে বলা হচ্ছেঃ তোমার ঈমান আনা কিংবা কুফরি করায় আল্লাহর কিচ্ছু যায় আসে না অর্থাৎ তাতে আল্লাহর কোনো লাভ ক্ষতি নেই। বরং তার লাভ ক্ষতির প্রভাব বা পরিণতি তোমার
মেসাহুয যায়ের নামক গ্রন্থে কুফা মসজিদের আমল সমূহ সম্পর্কে এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, কুফা শহরে প্রবেশ করার পরে বলতে হবে: بِسْمِ اللَّهِ وَبِاللَّهِ وَفى سَبیلِ اللَّهِ وَعَلى مِلَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ علیه وَآلِهِ اَللّهُمَّ اَنْزِلْنى مُنْزَلا
১) সূর্য উদিত হয় এমন দিনগুলোর মধ্যে জুম’আর দিন হল সর্বোত্তম দিন। এ দিনে যা কিছু ঘটেছিল তা হলঃ (ক) এই দিনে আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, (খ) এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল, (গ) একই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল [মুসলিমঃ৮৫৪
মহান আল্লাহ আদম ও হাওয়াকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, তোমরা যেন শয়তানের ধোঁকায় না পড়। কারণ, সে তোমাদের শত্রু এবং সে তোমাদেরকে বেহেশত থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু তারপরও শয়তান তাদেরকে এত বেশি প্ররোচনা দেয় যে, তারা শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ গাছের ফ
ঈসা (আ.)-এর একজন হাওয়ারীর বংশধর শামউন (রা.) মহানবী (সা.)-কে অনেক জটিল বিষয়ে প্রশ্ন করে সেসবের জবাব পেয়ে সন্তুষ্টচিত্তে তাঁর প্রতি ঈমান এনেছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি রাসূল (সা.)-কে বলেন: আমাকে সংবাদ দিন সত্যবাদী, মুমিন, ধৈর্যশীল, তওবাকারী, কৃতজ্ঞ, বিনয়ী,
মুশরিকরা ফেরেশতাদেরকে আল্লাহর কন্যা মনে করত। এ আয়াতে বলা হচ্ছে, কাফের-মুশরিকরা আল্লাহ ও ফেরেশতা সম্পর্কে অদ্ভুত ধারণা পোষণ করত অথচ এরাই নিজেদের ক্ষেত্রে কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়াকে অপমানজনক মনে করত। তাদের কারো স্ত্রী যদি কন্যা সন্তান জন্ম দিত তাহলে লজ্জা
সব জ্বিন এবং মানুষ মিলে যদি চেষ্টা করে তারপরও কুরআনের মত একটি আয়াতও সৃষ্টি করতে পারবে না। আর এ আয়াতে আল্লাহ বলেন: কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল, আল্লাহ এই কিতাবে মানব জীবনের সঙ্গে জড়িত সব বিষয়কে সুন্দর ও মার্জিত ভাষায় বর্ণনা করেছেন। এটি কুরআ
এ আয়াত থেকে আমাদের মনে রাখা দরকার: এক. কুরআন মানুষকে সুপথ দেখানোর জন্য নানা ব্যক্তি ও জাতির দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে এবং উপমাও ব্যবহার করেছে। দুই. যার মধ্যে সত্যকে মেনে নেয়ার মানসিকতা নেই সে সত্য বক্তব্যের মোকাবেলায় বিতর্ক করতেই থাকবে। তাকে যতই উপমা বা দৃষ
পয়গাম্বার (সা.) বলেনঃ « لا یَجتَمِعُ أربَعُونَ رَجُلاً فِی أمرٍ واحِدٍ إلّا استَجابَ الله تَعالی لَهُم حَتّی لَو دَعَوا عَلی جَبَلٍ لَأزالُوهُ » চল্লিশ জন পুরুষ একই কাজে, কাজ সহজ হওয়ার জন্যে দলীয় ভাবে দোয়া করে না কিন্তু এই যে মহান আল্লাহ্ তাদের দোয়
সূরা হাজ্জের ৭৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا ارْكَعُوا وَاسْجُدُوا وَاعْبُدُوا رَبَّكُمْ وَافْعَلُوا الْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ (77) “হে মুমিনগণ! তোমরা রুকু কর,সেজদা কর,তোমাদের পালনকর্তার এবাদত কর এবং সৎকাজ সম্পা
১লা জামাদিউস সানির আমল সমূহ সৈয়দ ইবনে তাউস (রহ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে উক্ত মাসের প্রথমাংশে দিকে ৪ রাকাত নামাজ পাঠ করা উত্তম। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং ২৫ বার সুরা কদর এবং দ্বিতিয় রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে ১ বার সুরা তাকাসুর, ২৫
রজব মাসে ইমাম হুসাইন (আ.)এর যিয়ারত: ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজারে প্রবেশের পরে তাঁর কবরের সামনে দাঁড়িয়ে ১০০ বার বলতে হবে (اَللّهُ اَکبَرُ) অতঃপর বলতে হবে: اَلسَّلامُ عَلَیک یا بْنَ رَسُولِ اللَّهِ اَلسَّلامُ عَلَیک یا بْنَ خاتَمِ النَّبِیینَ اَلسَّلامُ عَ
সূরা নাহলের ১২৫ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন- ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ (125) “(হ
সূরা ত্বোয়া-হা’র ১৩ ও ১৪ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন: وَأَنَا اخْتَرْتُكَ فَاسْتَمِعْ لِمَا يُوحَى (13) إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي (14) “(হে মুসা) আমি তোমাকে (রাসূল হিসেবে)
কদরের রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের সমতুল্য। কিন্তু শবে কদরের রাত কোনটি তা অস্পষ্ট রাখা হয়েছে যাতে পুরো রমজানেই মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য ও গোনাহ মাফ করিয়ে নেয়ার জন্য সাধনা করে। বলা হয় শবে কদরে গোটা এক বছরের জন্য মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করা হ
নওরোজ শব্দটি হচ্ছে একটি ফার্সি শব্দ যার অর্থ হচ্ছে নতুন বছরের প্রথম দিন। দিনটি শিয়া মুসলমানরা উৎযাপন করে। ফারওয়ারা দিন হল ইরানি শামসি (সৌরবর্ষ) সনের প্রথম মাস। ২১ মার্চ পালিত হয় এ বিশেষ নববর্ষ উৎসব। নওরোজের প্রবর্তন করেছিলেন প্রাচীন পারস্যের প্রভাবশা
জামাদিউস সানির প্রথম তারিখের আমলসমূহ সৈয়দ ইবনে তাউস (রহ.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন: জামাদিউস সানি মাসের প্রথম অংশে ৪ রাকাত নামাজ পাঠ করা উত্তম। প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার পরে ১ বার আয়াতুল কুরসী এবং ২৫ বার সুরা ক্বদর পাঠ করেতে হবে এবং দ্বিতীয় রাকাত
জামাদিউল আওয়াল মাস শুরু হওয়ার পরে এ দোয়াটি পাঠ করতে হবে। দোয়াটি নিন্মরূপ: اللهمَّ اَنتَ اللهُ وَ اَنتَ الرَّحمانُ الرَّحیمُ، وَ انتَ المَلِکُ القُدوُسُ، وَ انتَ (اللهُ) السَّلامُ المُومنُ، وَ انتَ المُهَیمِنُ، و انتَ العَزیزُ و انتَ الجَبّارُ، و انتَ الم