شهداء و علماء و اولیاء الهی
কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনার পরে যখন উমর বিন সাআদ তার সৈন্যদেরকে নিয়ে কারবালার বাহিরে চলে যায়, তখন বণি আসাদ গোত্রের লোকজন যারা ঐ এলাকার কাছেই বসবাস করতো তারা কারবালাতে আসে এবং হুসাইনি শহিদদের লাশকে দাফন করে দেয়।
ইতিহাস সাক্ষী যে, কারবালার রক্তাক্ত ও নজিরবিহীন বিয়োগান্তক ঘটনা হযরত জয়নাবকে (সা.) দৃঢ়তর করেছিল। যে জয়নাব মদীনা থেকে বের হয়ে এসেছিলেন আর যে জয়নাব শাম নগরী থেকে মদীনাতে ফিরে আসেন এক রকম ছিলেন না বরং তিনি পরিপক্বতা ও আন্তরিকতায় ভরা ছিলেন।
উম্মে কুলসুম ছিলেন কুরাইশ বংশোদ্ভূত। তিনি হিজরতের পর মহানবী (সা.)-এর কাছে বাইআত গ্রহণ করেন। সত্যি বলতে কি, কারো পিতা-মাতা ও ভ্রাতাগণ যখন কুফরির মধ্যে জীবনযাপন করে তখন তার মধ্য থেকে মহানবী (সা.) ও তাঁর আদর্শের অনুসারী হওয়ার এক বিরাট মূল্য রয়েছে।
ইবনে হাযমে আন্দলোসি কুমাইলের বংশকে এইরূপ উল্লেখ করেছেন:কুমাইল বিন যিয়াদ বিন নাহিক বিন হাইসাম বিন সাআদ বিন মালিক বিন হারিস বিন সাহবান বিন সাআদ বিন মালিক বিন নাখাআ। (জুমহেরাতুল আনসাবুল আরাব, পৃষ্ঠা ৪১৫ )
ইয়াজিদ-বাহিনীর হাতে ৬১ হিজরির দশই মহররম বা আশুরার দিনে বিশ্বনবী (সা.)’র দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)সহ তাঁর মহান পরিবারের (ইমাম সাজ্জাদ বা যেইনুল আবেদীন-আ.ছাড়া) প্রায় সব পুরুষ সদস্যসহ মোট ৭২ জন বীর মুসলিমের শাহাদতের পর বন্দী করা হয়েছিল নবী পরিবারের ন
মিশরে দাফন সম্পর্কে যে দলিলগুলোর অবতারণা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি দলিল হচ্ছে রেওয়ায়াত। নাসাবে উবাইদিলি তার আখবারুল যেয়নাবাত নামক গ্রন্থে ৬টি রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন। যার দ্বারা এটা স্পষ্ট হয় যে, হজরত জয়নাব (সা.আ.) কে মিশরে দাফন করা হয়েছিল।
ইতিহাসের এজিদের স্ত্রী হিন্দ ছিল একটি ইয়াহুদি পরিবারের কন্যা এবং তারা স্বপরিবারে মদিনায় বসবাস করতো। তার বাবার নাম ছিল সুহাইল বিন আমরু। সে জন্মগতভাবেই ইন্দ্রিবৈকল্য রোগে আক্রান্ত ছিল এবং শত চিকিৎসার পরেও সে সুস্থ হচ্ছিল না। অবশেষে তাকে ইমাম আলি (আ.) এর ঘরে
নাফে বিন হেলাল জামালি ছিলেন ইমাম হুসাইন (আ.) একজন সাহাবী। তিনি ছিলেন কুফাবাসী। তিনি ছিলেন একাধারা কোরআনের কারি, হাদিস বর্ণনাকারী এবং হজরত আলী (আ.) এর সাহাবি। তিনি জামাল, সিফফিন এবং নাহরাওয়ানের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
নামঃ হাবীব বিন মাযাহীর বা হাবীব বিন রোআব বিন আশতার বিন হাজওয়ান বিন ফাক্বআস বিন তারীফ বিন আমরু বিন কাইস বিন হারেস বিন সাআলাবা বিন দুদান বিন আসাদ বিন আসাদী কেনদী ফাক্বআসী। (আয়ানুশ শিয়া, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৫৩)
হজরত কাসিম (আ.)এর পিতার নাম ছিল হজরত হাসান মুজতবা (আ.) এবং মাতার নাম ছিল রোমেলা, নুফাইলা বা নাজমা বলে উল্লেখিত হয়েছে। ইতিহাসের কোথাও তাঁর জন্মতারিখ নিদৃষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি তবে প্রসিদ্ধ হচ্ছে যে তিনি ৪৮ হিজরি ৫ই রমজান মদিনায় জন্মগ্রহণ করেন। হজরত কাসিম
ওমর বিন সাআদ যখন আহলে বাইত (আ.) কে কুফার দিকে রওনা করে তখন সে নির্দেশ দেয় যে বন্দিদেরকে উটের উপরে আরোহন করানো হোক কিন্তু তাদের উটের উপর থেকে পর্দা সরিয়ে নেয়া হয়। হজরত জয়নাব (সা.আ.) এর ওমর সাআদের রূঢ় আচরণের কারণে রাগান্বিত হন এবং বলেন:
নামঃ হাবীব বিন মাযাহীর বা হাবীব বিন রোআব বিন আশতার বিন হাজওয়ান বিন ফাক্বআস বিন তারীফ বিন আমরু বিন কাইস বিন হারেস বিন সাআলাবা বিন দুদান বিন আসাদ বিন আসাদী কেনদী ফাক্বআসী। (আয়ানুশ শিয়া, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৫৩)
ফিতরুস মালায়েকা ছিল খোদার আরশ বহণকারী খোদার কোন এক নির্দেশ পালনে দেরী করাতে তার ডানা ভেঙ্গে যায় এবং সে এক দ্বীপে আটকা পড়ে এবং সে সেখোনে ৭০০ বছর খোদার ইবাদত করতে থাকে। যখন ইমাম হুসাইন (আ.) জন্মগ্রহণ করেন তখন আল্লাহ তায়ালা হজরত জিব্রাইলকে এক হাজার ফেরেস