مقالات
পবিত্র কোরআনে ইমাম মাহ্দী (আ.)-এর সঙ্গীদের বৈশিষ্ট্যসমূহ- ২
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) এর শাহাদত ও এর পরবর্তী ঘটনাবলি
হযরত ইমাম সাদেক (আ.) হতে বর্ণিত: যখনই ইমাম হুসাইন (আ.) এর যিয়ারত করার ইচ্ছা করবে নিজেকে (মাহযুন) ব্যথিত, (গামনাক) শোকাবহ, মাথার চুল এলোমেলো, ধূলিময় বা ধুলোমাখা, ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত অবস্থা করে নাও, কেননা তিনি এরূপ অবস্থায়ই শহীদ হন।
কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনার পরে যখন উমর বিন সাআদ তার সৈন্যদেরকে নিয়ে কারবালার বাহিরে চলে যায়, তখন বণি আসাদ গোত্রের লোকজন যারা ঐ এলাকার কাছেই বসবাস করতো তারা কারবালাতে আসে এবং হুসাইনি শহিদদের লাশকে দাফন করে দেয়।
ইতিহাস সাক্ষী যে, কারবালার রক্তাক্ত ও নজিরবিহীন বিয়োগান্তক ঘটনা হযরত জয়নাবকে (সা.) দৃঢ়তর করেছিল। যে জয়নাব মদীনা থেকে বের হয়ে এসেছিলেন আর যে জয়নাব শাম নগরী থেকে মদীনাতে ফিরে আসেন এক রকম ছিলেন না বরং তিনি পরিপক্বতা ও আন্তরিকতায় ভরা ছিলেন।
উম্মে কুলসুম ছিলেন কুরাইশ বংশোদ্ভূত। তিনি হিজরতের পর মহানবী (সা.)-এর কাছে বাইআত গ্রহণ করেন। সত্যি বলতে কি, কারো পিতা-মাতা ও ভ্রাতাগণ যখন কুফরির মধ্যে জীবনযাপন করে তখন তার মধ্য থেকে মহানবী (সা.) ও তাঁর আদর্শের অনুসারী হওয়ার এক বিরাট মূল্য রয়েছে।
ইবনে হাযমে আন্দলোসি কুমাইলের বংশকে এইরূপ উল্লেখ করেছেন:কুমাইল বিন যিয়াদ বিন নাহিক বিন হাইসাম বিন সাআদ বিন মালিক বিন হারিস বিন সাহবান বিন সাআদ বিন মালিক বিন নাখাআ। (জুমহেরাতুল আনসাবুল আরাব, পৃষ্ঠা ৪১৫ )
ইমাম হুসাইন (আ.) এর জারী মোবারকের আকৃতি অন্যান্য ইমামদের তুলনায় পৃথক। এ প্রশ্নের উত্তরে বিভিন্ন রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে। শেইখ মুফিদ (রহ.) তার আল ইরশাদ নামক গ্রন্থে লিখেছেন যে, ইমাম হুসাইন (আ.) এর কবরের পায়ের অংশে বণী হাশিমের ১৭ জনকে দাফন করা হয়েছে।
ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজার যিয়ারতের পূর্বে তিন দিন রোজা রাখা হচ্ছে উত্তম। যিয়ারতের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বাহির হওয়ার সময় উত্তম হচ্ছে গোসল করা। ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজারের কাছে দাড়িয়ে বলতে হবে:
২০শে সফর হচ্ছে ইমাম হুসাইন (আ.) এর চল্লিশার দিন। উক্ত তারিখে ইমাম হুসাইন (আ.) এর অবশিষ্ট পরিবার পারিজনরা এবং মদিনা থেকে রাসুল (সা.) এর সাহাবি জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারি (রা.) উক্ত তারিখে কারবালায় উপস্থিত হন। উক্ত তারিখে ইমাম হুসাইন (আ.) এর যিয়ারত করা মু
শহীদদের নেতা ইমাম হুসাইন (আ.)এর পবিত্র মাথাকে কোথায় দাফন করা হয়েছিল এ সম্পর্কে শিয়া এবং সুন্নীদের মাঝে একাধিক মতামত বর্ণিত হয়েছে। নিন্মে তা উল্লেখ করা হলো:
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর এ তাইয়ার ছিলেন রাসুল (সা.) এর প্রবীনতম সাহাবীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ছিলেন প্রথম মুসলমান যিনি হাবাশায় জন্মগ্রহণ করেন এবং যখন তিনি হেজাজের ফিরে আসেন তখন তিনি রাসুল (সা.)’এর খেদমত করতে থাকেন। তাঁর বাবার মৃত্যুর পরে তিনি আব্বাস বিন আ
ইতিহাসে ২০ শে সফর ইমাম হুসাইন (আ.)-এর চল্লিশার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।বিভিন্ন রেওয়ায়েত সমূহে ইমাম হুসাইন (আ.)এর চল্লিশার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন ইমাম হাসান আসকারী (আ.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন মুমিনদের চিহ্ন হচ্ছে যে, তারা ইমাম হুসাইন (আ.)-এর চল্লিশা পালন
ইয়াজিদ-বাহিনীর হাতে ৬১ হিজরির দশই মহররম বা আশুরার দিনে বিশ্বনবী (সা.)’র দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)সহ তাঁর মহান পরিবারের (ইমাম সাজ্জাদ বা যেইনুল আবেদীন-আ.ছাড়া) প্রায় সব পুরুষ সদস্যসহ মোট ৭২ জন বীর মুসলিমের শাহাদতের পর বন্দী করা হয়েছিল নবী পরিবারের ন
ইমাম হুসাইন (আ.) এর শির মোবারক দাফনের সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। - কারো মতে ইমাম হুসাইন (আ.) এর শির মোবারক এজিদের নির্দেশে মদীনার দ্বায়িত্বশীল আমরু বিন সাঈদ বিন আসের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু সে বলে যে, আমি চাইনি যে ইমাম হুসাইন (আ.) এর শির মোবারক আমার কাছে পাঠ