قرآن

ইমাম আলি (আঃ) হিজরতের রাতে আল্লাহর সাথে বিনিময় করেছিলেন। তিনি রাসুল (সাঃ) এর বাসায় তাঁর চাদরের নিচে শুয়েছিলেন।
দ্বীন গ্রহণের ব্যাপারে প্রত্যেক ব্যক্তির সাধীনতা রয়েছে।তবে দ্বীন গ্রহণ করার পর তাকে দ্বীনী বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে।
কিয়ামতের দিন রাসুল (সাঃ) ও নিষ্পাপ ইমামগণ শাফাআত করবেন। শাফাআত প্রাপ্ত হওয়ার জন্য নেক আমলের অধিকারী হতে হবে।
কিয়ামত অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে কেননা মানুষ কিয়ামতের দিন তার ন্যায্য অধিকার প্রাপ্ত হবে। সেদিন কেউ কোনকিছু অস্বীকার করতে পারবে না।
হযরত ইবরাহিম (আঃ) নুমরুদকে তাওহিদের আদর্শে আহবান করেন কিন্তু সে দাওয়াত কবুল করে না। সে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং তাঁকে বিভিন্নভাবে কষ্ট দেয়।
আমাদেরকে আত্মিকভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে। যেভাবে শারিরিক সুস্থতার প্রয়োজন সেভাবে আত্মিক সুস্থতারও প্রয়োজন রয়েছে।
আমাদের অন্তরকে সুস্থ রাখার জন্য চেষ্টা করতে হবে। কেননা অন্তর অসুস্থ হলে শরিরও অসুস্থ হবে। আমারা সঠিকভাবে এবাদতও করতে পারব না।
নেককারদের আন্তর সর্বদা পরিস্কার থাকে। তারা সর্বদা আল্লাহর জিকর করে। কাউরো ক্ষতি করে না।
আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মানবজাতি হচ্ছে আল্লাহর প্রতিনিধি।
ইসলাম গোলামী প্রথাকে বিলুপ্ত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং সফল হয়েছে।যার কারণে এখন গোলামী প্রথার কোন অস্তিত্ব নেই।
কারবালায় এজিদি বাহিনী ইমাম হোসাইন (আঃ) কে সাথী ও সন্তানসহ শহিদ করেছে। ইমামের সাথীরা এখলাসের পরিচয় দিয়েছেন।
ভাল কাজ করলে ইহকালে ও পরকালে কল্যাণের অধিকারী হওয়া যাবে; অনুরূপ মন্দ কাজ করলেও তার ফলাফল ভোগ করতে হবে।
মানুষকে আল্লাহ তায়ালা খলিফা হিসেবে প্রেরণ করেছেন। প্রত্যেক মানুষের কিছু বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। সকলকে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।
ইসলাম ব্যক্তিকে মর্যাদা দিয়েছে। কেউ কাউকে অবমূল্যায়ন করার অধিকার রাখে না। নিজে সম্মান পেতে হলে অন্যকে সম্মান করতে হব।
মানুষ খলিফাতুল্লাহ বা আল্লাহর প্রতিদিধি। মানুষের মর্যাদা সকল সৃষ্টির উর্দ্ধে। মানুষের কর্মও শ্রেষ্ঠ হতে হবে।
ইমাম নির্ধারণের মাধ্যমে দ্বিন পূর্ণতা লাভ করেছে। ইমাম নির্ধারণ হওয়ায় কাফেররা নিরাশ হয়েছে। ইমাম নির্ধারণের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা ইসলাম ধর্মের প্রতি রাজি হয়েছেন। রাসুল (সা.) এর ইন্তিকালের পর ইমামতের পর্ব শুরু হয়েছে। ইমাম মেহদি (আ.) আগমনের মাধ্যমে ইসলাম সার
18 জিলহজ্জ গাদিরে খোম নামক স্থানে হজরত আলি (আ.) কে ইমাম হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এর পর আল্লাহর তরফ হতে আয়াত অবতীর্ণ হয় এবং ঘোষণা করা হয় যে আজ নিয়ামত পরিপূর্ণ করা হল।
কিয়ামত অবশ্যই বিদ্যমান রয়েছে। কিয়ামত না থাকলে মানুষের জীবন নিষ্ফল হয়ে যাবে। আমরা এ পৃথিবীতে অল্প কিছু দিন জীবনযাপন করি। কিন্তু কিয়ামত হবে স্থায়ী জীবনযাপনের স্থান।সেখানে মানুষ তার সঠিক প্রতিদান প্রাপ্ত হবে।
পবিত্র কোরআন শরিফ মানুষকে আলোর পথে দাওয়াত করে। এ গ্রন্থ হচ্ছে মহান আল্লাহর কালাম। আমরা সকলেই কোরআনের বিধানকে আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারবদ্ধ হব।
যারা আল্লাহ, রাসুল ও মোমিদেরকে কষ্ট দেয় তাদের প্রতি আল্লাহ, ফেরেশতা ও মোমিনগণ লানত বা অভিসম্পাত করে থাকেন।

পৃষ্ঠাসমূহ