فقه و احکام
কিছু কিছু ক্ষেত্রে নামাজের শেষে সেজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়ে থাকে। যে সকল ক্ষেত্রে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয় সে ক্ষেত্রগুলো এ খানে বর্ণনা করা হলো।
আল্লাহর এবাদতসমূহের মাঝে নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবাদত। কিয়ামতের দিন যে ব্যক্তি নামাজের হিসাব প্রদানে সফল হবে সে ব্যক্তি আর অন্য কোন প্রদানে সমস্যার সম্মুখিন হবে না।
নামাজ পড়ার সময় কোন কোন ক্ষেত্রে নিয়ত পরিবর্তন করা যেতে পারে। এ বিষয়গুলো এখানে আলোকপাত করা হয়েছে।
নামাজের পর বিশষ কিছু অবস্থা রয়েছে। যদি তার ওপর সেজদায়ে সাহু অথবা নামাজে এহতিয়াত ওয়াজিব হয় তাহলে সালাম প্রদানের পরও নামাজের সবস্থাতেই থাকতে হবে।
পিতার যদি কাজা নামাজ থাকে তাহলে তা তার বড় সন্তানকে আদায় করতে হবে। নামাজ এমন এবাদত যে, সর্ব অবস্থায় তা আদায় করতে হয়।
নামাজের শুরুতে আমরা যে তাকবীর বলে থাকি তাকে তাকবীরাতুল এহরাম বলা হয়। তাকবীরাতুল এহরামের কিছু আহকাম রয়েছে তা এখানে বর্ণিত হলো।
নামাজের পূর্বে আজান ও একামত প্রদান করা মুস্তাহাব। আজান ও একামত প্রদানের অনেক ফজিলত রয়েছে।
আহকাম পালনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেয়া যাবে না। প্রত্যেক এবাদত আল্লাহর সন্তষ্টির জন্য আনজাম দিতে হবে।
কেবলা মুখী হয়ে নামাজ পড়া ওয়াজিব। নামাজ পড়ার পর কেউ যদি বুঝতে পারে যে সে অন্য দিকে হয়ে নামাজ পড়েছে তাহলে তাকে পুনরায় নামাজ পড়তে হব।
আমরা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী এবাদত করব। নিজের ইচ্ছানুযায়ী এবাদত করা যাবে না। আল্লাহর বিধান পাঁচ ভাগে বিভক্তঃ ওয়াজিব, হারাম, মুস্তাহাব, মোবাহ ও মাকরুহ।
পানি পানি দুই ধরণের; সাধারণ পানি ও মিশ্রিত পানি। যেমন, শরবত গোলাপ জল মিশ্রিত পানির অন্তর্ভুক্ত। মিশ্রিত পানি কোন কিছুকে পবিত্র করে না।
শরীয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে লজ্জা কোন শরয়ী ওজর নয়। যেমনঃ কোন ব্যক্তির যদি গোসল পরজ হয় তাহলে তাকে গোসল করে নামাজ পড়তে হবে। এখানে লজ্জা কোন শরয়ী ওজর নয়।
সুদ গ্রহণ করাকে জঘন্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুদ গহণ করা যে নিষিদ্ধ এ বিষয়টি শুধু ইসলামী শরিয়তেই উল্লেখ করা হয়নি বরং পূর্বের সকল শরিয়তে নিষিদ্ধ ছিল। পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে।
অল্প পানির বিধান ও সাধারণ পানির বিধানের মাঝে পার্থক্য রয়েছে। অল্প পানির সাথে অপবিত্র কোন কিছু মিশ্রণ হওয়ার সাথে সাথে তা অপবিত্র হয়ে যায়।
সকল মানুষ মুজতাহিদ নয়। যদি মুজতাহেদ হয় তাহলে সে ব্যক্তি নিজের ফাতওয়া অনুযায়ী আমল করতে পারবে। তবে মুজতাহেদ ওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে। আমাদেরকে মুজতাহেদের ফাতওয়া অনুযায়ী আমল করতে হবে।
যে সকল ক্ষেত্রে নামাজ পুনরায় পড়তে হয়ঃ সময় হওয়ার পূর্বে নামাজ পড়লে, কেবলার বিপরীত মুখ হয়ে নামাজ পড়লে, সফরে পূর্ণ নামাজ পড়লে, ইত্যাদি।
আল্লাহর বিধানসমূহের মাঝে এমন কিছু বিধান রয়েছে যা তাতক্ষনিকভাবে আনজাম দিতে হয় যেমন, সালামের উত্তর দেয়া ইত্যাদি। কিন্তু কিছু কিছু বিধানের জন্য হাতে অনেক সময় থাকে যেমন, কাজা রোজা রাখা ইত্যাদি।