حضرت فاطمه زهرا ( س )
ইতিহাসে বর্ণিত হয়েছে যে,প্রথম খলিফা যখন খোলাফতের ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন তখন ফাতিমাকে বঞ্ছিত ও দখলচ্যুত করে ফদক রাষ্টায়ত্ব করেছিলেন।ঐতিহাসিকগন লিখেছেনঃ “ নিশ্চয়ই,প্রথম খলিফা ফাতিমার কাছ থেকে ফদক কেড়ে নিয়েছেন”
(১) একনিষ্ঠতার ফল: হযরত ফাতেমা যাহরা (সালামুল্লাহ আলাইহা) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি নিজের ইবাদতকে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর দরবারে পেশ করে (এবং শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে ইবাদত করে) মহান আল্লাহ তার জন্য সর্বোত্তম কল্যাণ অবতীর্ণ করেন।’ (তোহাফুল উকুল,
উম্মুল মোমেনিন আয়েশা বললেন: "হযরত ফাতেমা (সা.) এলেন, তিনি হাটছিলেন, সেই খোদার কসম যিনি ছাড়া অন্য কোন খোদা নেই, তাঁর পথ চলার ধরণের সাথে রাসুল (সা.) এর পথ চলার কোন পার্থক্য নেই। যখন আল্লাহর রাসুল (সা.) তাঁকে দেখলেন বললেন: আমার কন্যাকে দু'বার সাবাস। ফাতেমা
একজন মুমিন ব্যক্তির জীবনের সর্বাপেক্ষা প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সুসম্পর্ক স'াপন করা। আল্লাহর ওলিদের জীবনে দোয়া এক বিশেষ স্থানকে দখল করে আছে।
আমিরুল মু’মিনীন হযরত আলী (আ.) এর নিকট হযরত ফাতেমা যাহরা (সা. আ.) এর মর্যাদা ও স্থান এ বিষয়টি তাঁর (আ.) দৃষ্টিতে নারীর স্থানের বিষয়টিকে স্পষ্ট করে এবং এ বিষয়ের প্রমাণস্বরূপ যে, একজন নারী এমন সুউচ্চ স্থানে পৌঁছাতে সক্ষম যে, স্বয়ং ইমামের গর্বের কারণ হতে
১) বেহেশ্ত হচ্ছে মায়েদের পায়ের নিচে। ২) প্রত্যেকেরই দুর্ভাগ্য কিংবা সৌভাগ্যের গোড়াপত্তন ঘটে মায়ের গর্ভে। ৩) মা-ই হলেন তার সন্তানের ইহকালীন এবং পরকালীন সৌভাগ্য নিশ্চিত করার প্রশিক্ষক।
ওফাতকালে হযরত আলী (আ.)’র প্রতি হযরত ফাতেমা জাহরা (সা.আ.)'র ওসিয়্যৎ
- খোদার প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন। - খোদার তৌহিদের সাক্ষ্য প্রদান। - হজরত মোহাম্মাদ (সা.) এর রেসালাতের প্রতি সাক্ষ্য প্রদান। - কোরআনের প্রতি ইশারা যা খোদার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত অঙ্গীকার। - মানুষের হেদায়াতের জন্য ইসলামী আহকাম।