عرفان اسلامی
হজ্জ ফরজ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। যদি সে সব শর্ত পুরণ হয় তাহলে সে ব্যক্তির ওপর এক বার হজ্জে গমন করা ফরজ। হজ্জ এমনই এক এবাদত যে এক তা আনজাম দিলে সারা জীবন তার প্রভাব বিদ্যমান থাকে।
ইমাম রেজা (আঃ) হতে প্রচুর আধ্যাত্মিক, চরিত্র গঠন ও জ্ঞান সমৃদ্ধ হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এখানে তাঁর কছু সংখ্যক হাদিস বর্ণিত হল।
আল্লাহ তায়ালা মানব জাতিকে সৃষ্টির প্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে তাঁর এবাদত করা এবং দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হচ্ছে এহসান করা। অন্যের উপকারের মাধ্যমেই মানুষ অমর হয়ে থাকে।
আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের নিকট হতে পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকেন। যারা তার একনিষ্ঠ বান্দা তারা সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকে। পরীক্ষা হচ্ছে মানুষকে যাচাই করার মাপকাঠি।
পবিত্র কোরআনে অসিলা গ্রহণ করা সম্পর্কে বেশ কিছু আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। অসিলা গ্রহণ ও তাবাররুক গ্রহণ করা এমন একটি বিষয় যে, সর্বকালেই তা বিদ্যমান ছিল।
মোমিনের অন্তরে সর্বদা আল্লাহর স্বরণ রয়েছে। মোমিনরা বিভিন্ন পন্থায় আল্লাহকে স্বরণ করে থাকে; জিকিরের মাধ্যমে, দোয়ার মাধ্যমে, এবাদতের মাধ্যমে…।
আল্লাহর তরফ হতে সর্বদা জমিনে হুজ্জাত থাকবে। যখন পৃথিবীতে শুধুমাত্র দুইজন মানুষ ছিলেন তাঁদের মধ্য হতে একজনকে আল্লাহ তায়ালা নবি হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন।
ইমাম জয়নুল আবেদীন (আঃ) হতে প্রচুর মুনাজান এসেছে। এ মুনাজাতগুলোর মধ্য হতে একটি মুনাজান হচ্ছে মুনাজাতে রাজীন। এখানে এ মুজাতের প্রথম অংশ তর্জমা ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ বর্ণিত হলো।
সর্বদা আল্লাহর জমিনে তাঁর হুজ্জাত বিদ্যমান থাকতে হবে। এ হুজ্জাতগণ বান্দাদের আমলের ক্ষেত্রে সাক্ষ্য দান করবেন। এ যুগের হুজ্জাত হচ্ছেন ইমাম মেহদি (আঃ) তিনি আমাদের আমলের ক্ষেত্রে সাক্ষ্য দান করবেন।
ইমাম জয়নুল আবেদীন (আঃ) হতে প্রচুর মুনাজান এসেছে। এ মুনাজাতগুলোর মধ্য হতে একটি মুনাজান হচ্ছে মুনাজাতে রাগেবীন বা আশাকারীদের মুনাজাত। এখানে এ মুজাতের প্রথম অংশ তর্জমা ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ বর্ণিত হলো।
আল্লাহর নিদর্শনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা আমাদের প্রতি ওয়াজিব। যেমন- কাবা শরিফ, মদিনা শরিফ… হচ্ছে আল্লাহর নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। সম্মান ও মহব্বত ব্যতিত দ্বিন দিকে থাকতে পারে না।
আমরা প্রত্যেকটি কাজ এখলাস সহকারে করব। প্রত্যে ব্যক্তিকে তার এখলাস অনুযায়ী প্রতিদান দান করা হবে। আর রোজা হচ্ছে এখলাসের প্রমাণ। যে ব্যক্তি রোজা রাখে তার এখলাস রয়েছে। কেননা রোজা দেখানোর মত কোন এবাদত নয়।
ইসলামে হিজরতের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নবি ও রাসুলগণ এবং ইমাম ও ওলিগণ ইসলাম প্রচারের জন্য হিজরত করেছেন। বাংলাদেশের মানুষ ওলিগণের মাধ্যমেই ইসলাম পেয়েছে। আর এ কাণেই বাংলাদেশকে ওলিগণের দেশ বলা হয়ে থাকে।
ইমান ও সৎকর্ম সর্বদা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। ইমান ব্যতিত সৎকর্মেরর কোন মূল্য পাওয়া যাবে না। অপরদিকে সৎকর্ম বীহিন আমল ফল বীহিন বৃক্ষের ন্যায়।
ইমামগণ প্রকৃত পক্ষে কোরআন ও রাসুল (সা.) এর আদর্শ বা সুন্নাতকে তাঁদের নিজের ভাষায় প্রকাশ করেছেন। তাঁরা মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন যে কিভাবে আল্লাহর বিধান পালন করতে হয়।
আমরা সর্বদা মুক্তির পথে চলব। মুক্তির পথ হচ্ছে সরল পথ। এ পথে কোন বক্রতা নেই। আমাদেরকে রাসুল ও কোরআনের পথে চলতে হবে।
রমজান মাস কোরআনের মাস। এ মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। রমজান মাসকে কোরআনের বসন্তকাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ মাসে কোরআনের এক আয়াত তেলাওয়াত করলে অন্য মাসে এক খতমের সমপরিমান সওয়াব দান করা হয়ে থাকে।
শয়তান আল্লাহর দরবার হতে বিতাড়িত হওয়ার পর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে যে মানুষকে বিপথগামী করবে। সুতরাং শয়তান সর্বদা বিভিন্ন পন্থায় মানুষকে ধোকা দেয়ার জন্য চেষ্টা করে থাকে।
ইমাম জয়নুল আবেদীন (আঃ) হতে প্রচুর মুনাজান এসেছে। এ মুনাজাতগুলোর মধ্য হতে একটি মুনাজান হচ্ছে মুনাজাতে রাজীন। এখানে এ মুজাতের প্রথম অংশ তর্জমা ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ বর্ণিত হলো।
পবিত্র কোরআন মহা নবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর নবুওয়াতের চিরন্তন মোজেজা। আল্লাহর তরফ হতে পেরিত মোজেজার প্রতি কেউ হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে না।