عرفان اسلامی
১-রমজান মাস হচ্ছে খোদার নিকটবর্তি হওয়ার মাস। ২-রমজান মাসে অধিক কোরআন তেলাওয়াত করা উত্তম। ৩-রাসুল (সা.) বলেছেনঃ শরীরের জাকাত হচ্ছে রোজা রাখা। ৪-আলী (আ.) বলেছেনঃ রোজার মাধ্যমে মানুষের একনিষ্ঠতাকে পরীক্ষা করা হয়।
১-রমজান মাসের মহিমান্বিত রজনী হচ্ছে শবে ক্বদর। ২-কোরআনে শবে ক্বদর সম্পর্কে সূরা ক্বদর নাযিল হয়েছে। ৩-লাইলাতুল ক্বদর হাজার রাত্রি অপেক্ষা উত্তম। ৪-শবে ক্বদরে ফেরেস্তারা নাযিল হয়। ৫- শবে ক্বদরে দোয়া কবুল করা হয়।
শুধুমাত্র শেষ নবির উম্মতের জন্যই রোজা ফরজ করা হয়নি বরং অতীতের সকল উম্মতের জন্যই রোজা ফরজ করা হয়েছিল। রোজা এসেছে আমাদেরকে আত্মসংযমী করার জন্য।
পবিত্র কোরআন আমাদের হেদায়াতের জন্য আল্লাহ তায়ালা প্রেরণ করেছেন। এ আসমানী গ্রন্থ অধ্যায়ন করা ও অনুধাবন করা একান্ত প্রয়োজন। এ পবিত্র গ্রন্থ মানুষের হৃদয়কে আলোকিত করে।
১-লাইলাতুল কদর হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। ২-সূর্যাস্তের পরে গোসল করা উত্তম। ৩-যে ব্যাক্তি এই রাতে জাগ্রত থাকবে তার গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। ৪-শবে ক্বদরে ১০০ রাকাত নামাজ পড়ার বিশেষ গুরত্ব রয়েছে।
প্রত্যেক ব্যক্তিকে মৃত্যুর পূর্বে ওসিয়ত করে যাওয়া উচিত যে, তার রেখে যাওয়া সম্পদ কিভাবে তার ওয়ারিসরা ব্যয় করবে। ওসিয়ত মুস্তাহাব কিন্তু কেউ যদি ৠণী হয় তাহলে তার ওপর ওসিয়ত করা ওয়াজিব।
সুরা ফাতেহা, সর্ব প্রথম পরিপূর্ণ সুরা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে। আমরা নামাজসহ বিভিন্ন স্থানে এ সুরাটিকে অধিক তেলাওয়াত করে থাকি। এ সুরাটিকে সাবউল মাসানীও বলা হয়ে থাকে।
১-গ্বাদীরের দিনে একটি সৎ কর্ম করলে ৮০ মাসের সৎ কর্মের সওয়াব পাওয়া যায়। ২-ইমাম (আ.) গণ এই দিনে রোযা রাখতেন। ৩-গ্বাদীরের দিনের রোযা ১০০টি গ্রহণযোগ্য হজ্জ ও ওমরার সমতুল্য। ৪-গ্বাদীরের অন্যতম ইবাদত হচ্ছে দোয়া করা।
বেহেশত হচ্ছে শুধু শান্তির স্থান। সেখানে কাউকে কোন সীমাবদ্ধতার মাঝে থাকতে হবে না। সেখানে নেককার বান্দারা স্থান পাবে।
কিয়ামতের দিন শাফাআতকারী হবেন মহা নবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এবং নিষ্পাপ ইমামগণ। আল্লাহ পাক যাকে শাফাআতের অনুমতি দিবেন তিনিই শুধু শাফাআত করতে পারবেন।
১- ইমাম হুসাইন (আ.) ছিলেন নাজাতদাতা। ২-আশুরার যিয়ারত পাঠ করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। ৩-ইমাম হুসাইন (আ.) ফিতরুস ফেরেস্তার শাফায়াত করেন। ৪- ইমাম হুসাইন (আ.) হচ্ছেন শহীদদের সর্দার
নবিগণের বংশ পবিত্র। তাঁদের পিতা-মাতা কখনো মুশরেক ছিলেন না। তারা এক আল্লাহর এবাদত করতেন। তাদের জীবন পবিত্র ছিল।
১-রাসুল (সা.) বিদায় হজ্জে ১০০টি উট সাথে নিয়ে যান। ২-বিদায় হজ্জে রাসুল (সা.) আবু দুজানাকে তাঁর স্থলাভিসিক্ত করে মদীনাতে রেখে যান। ৩-উম্মুল মুমিনিনরা বিদায় হজ্জে উপস্থিত ছিল। ৪-রাসুল (সা.) এর সাথে ১ লক্ষ ২৪ হাজার হাজী হজ্জে অংশগ্রহণ করেন।
আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন ধরণের রিজিক দান করেছেন। যেভাবে শরিরের জন্য খাদ্যের প্রয়োজন রয়েছে সেভাবে আত্মার জন্যও খাদ্যের প্রয়োজন রয়েছে। অত্মার খাদ্য হচ্ছে জিকর ও এবাদত।
মানুষ দুনিয়ার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হওয়ার কারণে আল্লাহকে ভুলে থাকে, অথচ দুনিয়া ক্ষনস্থায়ী। মানুষের অন্তর কলুষিত হলে আল্লাহকে ভুলে থাকে। আল্লাহর স্মরণ মানুষকে সৎকর্মশীল করে।
কিয়ামতকে স্মরণের মাধ্যমে মানুষ পাপ হতে দুরে থাকতে পারে। যদি কিয়ামত না থাকত থাহলে মানুষের জীবন বৃথা হয়ে যেত। কিয়ামতের দিন মানুষ সঠিক প্রতিদান পাবে।
আমাদের আমল সঠিক হওয়ার জন্য আকায়েদ বা বিশ্বাস সঠিক হওয়া প্রয়োজন। প্রত্যে ব্যক্তির আমল তার বিশ্বাস অনুযয়ী হয়ে থাকে। সুতরাং আমাদের আকায়েদ সঠিক করার জন্য চেষ্টা করা উচিত।
(১) হযরত আলী (আঃ) ও কোরআন সংকলন করেছিলেন। (২) ব্যাক্তিগত চিন্তার কারণে কোন জাতীকে কটুক্তি করা ঠিক না। (৩) উবাই ইবনে কা’আবের কোরআন সম্পর্কে মতামত। (৪) সূরা তওবার প্রকৃত নাম কি ছিল?
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করে তাকে সৎপথ প্রদর্শন করেছেন। আল্লাহকে অমান্যকারী বান্দারা জাহান্নামের অধিবাসী হবে।
কোরআন সর্ব শ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব। হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর চিরন্তন মোজেজা। কোরআন মানুষের জীবনের সব সমস্যার সমাধান দিতে পারে।