اهل بیت ع
হজরত ফাতেমা (আঃ) এর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। তিনি নিষ্পাপ বা মাসুম। তিনি বেহেশতী মহিলাদের সরদার। তাঁর দুই সন্তান ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন (আঃ) বেহেশতী যুবকদের সরদার।
কারবালায় এজিদি বাহিনী ইমাম হোসাইন (আঃ) কে সাথী ও সন্তানসহ শহিদ করেছে। ইমামের সাথীরা এখলাসের পরিচয় দিয়েছেন।
হজরত ফাতেমা (আঃ) মাসুম বা নিষ্পাপ। তিনি মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মেয়ে। তিনি রাসুলের রেসালতি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। তাঁর সন্তুষ্টিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন এবং তাঁর অসন্তুষ্টিতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।
কারবালায় এজিদি বাহিনী ইমাম হোসাইন (আঃ) কে সাথী ও সন্তানসহ শহিদ করেছে। ইমামের সাথীরা এখলাসের পরিচয় দিয়েছেন।
আহলে বাইত (আঃ) রাসুল (সাঃ) এর রেসালতি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। তাঁদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করতে হবে এবং মহব্বত করতে হবে। আমরা যখন রাসুলের প্রতি দরূদ পাঠ করব তখন তাঁদের প্রতিও দরূদ পাঠ করব।
১-কারবালার মুসিবত হচ্ছে বড় মুসিবত। ২-সীমার ইমাম হুসাইন (আ.) এর গলা কাটে। ৩-হুসাইন (আ.) বলেছেনঃ পানি খাওয়ার সময় আমার কথা স্মরণ করবে। ৪-ইমাম রেযা (আ.) শাবীব কে বলেছেনঃ অন্যের দুঃখে দুঃখিত হয়ো।
ইমাম হোসাইন (আঃ) কারবালাই গমন করেন সৎপথে আদেশ ও অসৎপথে নিষেধ করতে। এজিদী বাহিনী ইমাম হোসাইন ও তাঁর সাথীগণের প্রতি হামলা করে এবং সকলকে নির্মমভাবে শহীদ করে।
হজরত আলী (আঃ) সর্বপ্রশম ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তিনি রাসুল (আঃ) এর ওয়াসী। তিনি ইসলামের পতাকাবাহী ছিলেন। তিনি মাসুম বা নিষ্পাপ ছিলেন।
মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মর্যাদার সাথে আল্লাহর কোন সৃষ্টির মর্যাদাকে তুলনা করা যেতে পরে না। তিনি কিয়ামতের দিন তাঁর উম্মতকে শফাআত করার অনুমতি প্রাপ্ত হবেন।
ইমামগণ মানুষকে আল্লাহর পথে আহবান করবেন। হজরত ইব্রহিম (আ.) আমাদের নাম রেখেছেন মুসলমান। হজরত ইব্রহিম (আ.) সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তাঁকে ইমামতের পদমর্যাদা দান করা হয়েছে। কোন অত্যাচারী ব্যক্তি ইমামতের পদ পাবে না।
হজরত আলী (আঃ) সর্বপ্রশম ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তিনি রাসুল (আঃ) এর ওয়াসী। তিনি ইসলামের পতাকাবাহী ছিলেন। তিনি মাসুম বা নিষ্পাপ ছিলেন।.
মহান আল্লাহ তায়ালা সব কিছু সৃষ্টির পূর্বে হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তাঁর আহলে বাইত (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন। এর পর তাঁদের নুর হতে সব কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে।
মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ব্যাবহার অত্যন্ত সুন্দর ছিল। তিনি সকলের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করতেন। এমনকি যে ব্যক্তি তাঁর পথে কাঁটা দিত সে অসুস্থ হলে তাকেও দেখতে যান।
ইমাম হাসান (আঃ) পবিত্র আহলে বাইতের দ্বিতীয় ইমাম। তিনি মোয়াবিয়ার শড়যন্ত্রে শহিদ হন। তাঁর পবিত্র রওজা মাদিনায় রয়েছে।
হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) দয়ার সাগর ছিলেন। তিনি কখনো কাউকে কষ্ট দেননি। তিনি সকলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেন। তিনি সকলকে ক্ষমা করে দিতেন। কিয়ামতের দিন তিনি তাঁর উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন।
ইমাম রেজা (আঃ) এর অনেক কারামত রয়েছে। প্রতি দিন লাখ লাখ লোক তাঁর মাজার জিয়ারত করতে আসে। তিনি পবিত্র আহলে বাইতের অষ্টম ইমাম। তাঁকে ইমামে রাউফ বা মেহেরবান ইমাম বলা হয়ে থাকে।
ইমাম মেহদি (আঃ) আগমনের সুসংবাদ পবিত্র কোরআন ও হাদিসে প্রদান করা হয়েছে। ইমাম আগমনের পর পৃথিবী হতে সকল অত্যাচার ও নীপিড়ন দূর হয়ে যাব। কেউ কাউরো অধিকার হরণ করতে পারবে না।
নবুওয়াত ও ইমামতের জন্য বয়স শর্ত নয়। যে কোন বয়সেই আল্লাহ তায়ালা যাকে নবুওয়াত দান করবেন তাঁকে দিতে পারেন। যেমন হজরত ইসা (আঃ) শিশু অবস্থাতেই নবুওয়াত প্রাপ্ত হয়েছেন।
মহানবি (সাঃ) দুনিয়া হতে বিদায় নিলেও তিনি আমাদের আমল সম্পর্কে খবর রাখেন। আমরা প্রতি নিয়ত নামাজে তাঁর প্রতি সালাম দিই। তিনি আবশ্যই আমাদের সালাম শ্রবণ করেন এবং তার উত্তর দেন। সুতরাং তাঁকে হায়াতুন নবী বলে জানি।
মহান আল্লাহর নির্দেশ হলেই হজরত ইমাম মেহদি (আঃ) এর আবির্ভাব ঘটবে। তাঁর আগমনের মাধ্যমে পৃথিবী হতে জুলুম চিরতরে বিদায় নিবে।পৃথিবীর সকল মানুষই তাঁর আগমনে অপেক্ষায় রয়েছে।