اهل بیت ع

১-ইমামের অনুগত্য থেকে অবাধ্য না হওয়া। ২- মিথ্যা সাক্ষ্য না দেওয়া। ৩-দূরাবস্থায় ধৈর্যশীল থাকা। ৪-মুমিন ভাইয়ের মানহানী না করা। ৫-অন্যায়ভাবে রক্তপাত না করা।
ইমাম মেহদি (আঃ) এর হুকুমতের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাঁর আগমণের মাধ্যমে নিষ্পাপ ও নির্ভুল শাসকের হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হবে। সকল ক্ষেত্রে ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্টিত হবে। কেউ কাউরো প্রতি অত্যাচার করতে পারবে না।
কারা বার খলিফার অন্তর্ভুক্ত? হজরত মুহাম্মাদ (সা.) তাঁর পরবর্তী যুগের জন্য বার জন খলিফা বা ওয়াসি নির্ধারণ করেছেন। এ বার জন খলিফার সকলেই নিষ্পাপ। তাঁরা যেকোন প্রকার ভুলের উর্ধে।
১-আল্লাহ সৎ পথ প্রদর্শন করেন। ২-কেউ অনু পরিমাণ সৎ কাজ করলেও তাও দেখতে পাবে। ৩-কেউ অনু পরিমাণ অসৎ কাজ করলেও তাও দেখতে পাবে। ৪-নিশ্চয় অপরাধিরা জাহান্নামের আযাবে চীরকাল থাকবে।
প্রত্যেক যুগে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ হতে জমিনে হাদি বা হেদায়াতকারী থাকতে হবে। বর্তমান যুগের হেদায়াতকরী কে? আমরা এ যুগে কার আনুগত্য কবর? আমরা কি কোন সাধারণ ব্যক্তির আনগত্য করতে পারব?
ইমাম মেহদি (আ.) হচ্ছেন আমাদের এ যুগের হেদায়াতকারী। তিনি বর্তমানে অদৃশ্যে রয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অদৃশ্যে রেখেছেন। আল্লাহর নির্দেশ হলেই তিনি আগমন করবেন।
১-ইমাম মাহদী (আ.)-এর জন্ম হয়েছে ২৫৫হিজরীতে৷ ২-যদি ইউনুস মাছের উদরে তসবীহ না পড়ত তাহলে তাকে কিয়ামত পর্যন্ত মাছের উদরে থাকতে হত। ৩-হাদীসের আলোকে হজরত নূহ ২৪৫০ বছর বেঁচে ছিলেন। ৪-প্রত্যেক মুসলমানই বিশ্বাস করেন যে, হযরত ঈসা (আ.) জীবিত রয়েছেন।
১-জনাব, আবু আ’মরো উসমান বিন সাঈদ আ’মরী। ২-জনাব, আবু জা’ফর মুহাম্মদ বিন উসমান বিন সাঈদ আ’মরী। ৩-জনাব, আবুল কাসেম হুসাইন বিন রুহ নওবাখতী। ৪-জনাব, আবুল হাসান আলী বিন মুহাম্মদ সামারী। ৫-ইমাম মাহ্দীর (আঃ) ৪জন প্রতিনিধি ছিলেন।
ইমামত, ইমাম মাহদি, হুজ্জাতুল্লাহ, খলিফা, খেলাফত,
আল্লাহর জমিন তাঁর হুজ্জাত বা হেদায়াতকারী ব্যতিত চলতে পারে না। যখন পৃথিবীতে মাত্র দুই জন মানুষ ছিলেন তখনও তাঁদের মাঝে এক জন নবি ছিলেন কিন্তু আজ পৃথিবীতে শত শত কোটি মানুষ রয়েছে, এত মানুষের জন্য কি হেদায়াতকারী প্রয়োজন নেই?
হজরত আব্বাস (আ.) হচ্ছেন ইমাম হোসাইন(আ.) এর ভাই এবং হজরত ইমাম আলি (আ.) এর সন্তান। তিনি কারবালায় ইমাম হোসাইন (আ.) এর সাথে গমন করেন এবং শত্রুদের হাতে শহিদ হন।
১- ইলমে গায়ব খোদার পক্ষ থেকে তার নবীদের জন্য উপহার স্বরূপ। ২- ঈসা (আ.) এর ৪টি মাকাম ছিল। ৩- ইমাম মাহদী (আ.) এর পিছনে ঈসা (আ.) নামাজ আদায় করবেন। ৪- আহলে বাইত (আ.) কে খোদা ইলমে গায়বে দান করেছেন।
আহলে বাইত (আ.) নাজাতের তরী। আহলে বাইত নুহ নবির নৌকার ন্যায়। যে ব্যক্তি তাতে আরোহণ করল সে মুক্তি পেল আর যে ব্যক্তি তাতে আরোহণ করল না সে ধবংশ হয়ে গেল।
রমজান মাসের 19 তারিখে ইরাকের কুফা নগরীতে মসজিদের মেহরাবে সেজদায় থাকা অবস্থায় ইমাম আলি (আ.) এর মাথায় বিষ মাখা তরবারী দ্বারা আঘাত করা হয় এবং রমজান মাসের 21 তারিখে তিনি শাহাদাত বরণ করেন।
ইমাম হাসান (আ.) অত্যন্ত উদার ব্যক্তি ছিলেন। তিনি নিজ হাতে দরিদ্রদেরকে দান করতেন। তাঁর নিকট কোন অভাবী ব্যক্তি সাহায্য কামনা করার পর খালি হাতে ফিরে যেত না। তিনি অত্যন্ত দয়াবান ও ক্ষমাশীল ছিলেন।
আখেরুজ্জামান বা শেষ যুগে আল্লাহর সর্বশেষ হুজ্জাম ইমাম মেহদি (আ.) আগমণ করবেন। তাঁর আগমণের পূর্বে এমন কিছু আলামত দেখা দিবে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা তাঁর জহুর সম্পর্কে অবগত হতে পারব।
আখেরুজ্জামান বা শেষ যুগে আল্লাহর সর্বশেষ হুজ্জাম ইমাম মেহদি (আ.) আগমণ করবেন। তাঁর আগমণের পূর্বে এমন কিছু আলামত দেখা দিবে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা তাঁর জহুর সম্পর্কে অবগত হতে পারব।
পবিত্র কোরআনে এমন কিছু আয়াত রয়েছে যেগুলোর বিধান এখনো আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ইমাম মেহদি (আ.) আগমনের মাধ্যমে এ আয়াতগুলোর বিধান বাস্তবে পরিণত হবে।
১-আবু তালিব হাবাশার বাদশাহকে ইসলামের দাওয়াত দেন । ২-আবু তালিব ফাতিমা বিনতে আসাদকে ইসলামের দাওয়াত দেন। ৩-তিনি জাফরকে রাসুল (সা.) এর সাথে নামাজ পড়তে বলেন। ৪-আবু তালিবের ঈমান ছিল আসহাবে কাহফের ন্যায়।
ইমাম হাসান (আ.) পবিত্র মদিনা নগরীতে তৃতীয় হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর নানা হচ্ছেন হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এবং পিতা হজরত আলী (আ.) এবং তাঁর মাতা হজরত ফাতেমা (আ.)। তিনি বেহেশতের যুবকদের সরদার।
১-মুসলমানদের ১২তম ইমাম হচ্ছে ইমাম মাহদী (আ.)। ২-ইমাম মাহদী (আ.) এর অন্তর্ধানকালীন সময়ে আমাদের করণীয় কি? ৩-রাসুল (সা.) বলেছেনঃ আমার উম্মতের সর্বোত্তম আমল হচ্ছে মাহদী (আ.) এর অপেক্ষা করা। ৪-ইয়াকুব (আ.) ইউসুফ (আ.) এর জন্য অপেক্ষা করেছিলেন।

পৃষ্ঠাসমূহ