امام حسین ع
মুহাররাম মাসের চাঁদ উঠার সাথে সাথেই জান্নাতের নেতা ইমাম হোসাইন (আঃ) এর ত্যাগের কথা মনে পড়ে যায়। এজিদ ও তার বাহিনী ইমাম হোসাইন (আঃ) ও তাঁর সাথীদের ওপর যে অত্যাচার করেছে ইতিহাসে তার কোন নজির নেই।
কারবালাই ইমাম হোসাইন (আঃ) নিজের সাথী সন্তানসহ সব কিছু উৎসর্গ করেছেন। তাঁর এ ফেদাকারীর কারণেই ইসলাম আজ পর্যন্ত টিকে আছে।
কারবালায় ইমাম হোসাইন (আঃ) ও তাঁর সাথীদের প্রতি এমন জুলুম করা হয় যে পৃথিবীতে তার কোন নজির খুজে পাওয়া যাবে না। এজিদ ছিল বেদীন ও অত্যন্ত নিষ্ঠুর। ক্ষমতা ব্যতিত তার নিকট কোন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।
মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেনঃ নিশ্চয় ইমাম হোসাইন হেদায়াতের আলোকবর্তীকা ও মুক্তির তরী। মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ইসলামকে নিয়ে এসেছেন আর ইমাম হোসাইন তাকে স্থায়ীত্ব দান করেছেন।
কারবালাই ইমাম হোসাইন (আঃ) নিজের সাথী সন্তানসহ সব কিছু উৎসর্গ করেছেন। তাঁর এ ফেদাকারীর কারণেই ইসলাম আজ পর্যন্ত টিকে আছে।
গিবত বা পরচর্চা করা হতে বিরত থাকতে হবে। সত্য বলাকেই গিবত বলা হয়ে থাকে। আর যদি কাউরো সম্পর্কে কেউ মিথ্যা বলে তাহলে তাকে বোহতান বলা হয়।
আশুরার বিপ্লব আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, অসম্মানজনক জীবনের চেয়ে সম্মানজক মৃত্যু উত্তম। অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করা যাবে না।
ইমাম হোসাইন (আঃ) মহানবি হজরম মুহাম্মাদ (সাঃ) এর আদর্শকে জীবিত করার জন্য কিয়াম করেছিলেন। তাঁর কিয়াম ছিল মিথ্যা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
আশুরা ও এন্তেজার হচ্ছে একটি পাখির দুটি ডানার ন্যায়। একটি লাল ডানা আর অপরটি হচ্ছে সবুজ ডানা। এ দুটি প্রেনণার মাধ্যমেই মোসলমানরা তাদের আর্দকে জীবিত রাখতে পারে।
হজরত আব্বাস (আ.) হচ্ছেন ইমাম হোসাইন(আ.) এর ভাই এবং হজরত ইমাম আলি (আ.) এর সন্তান। তিনি কারবালায় ইমাম হোসাইন (আ.) এর সাথে গমন করেন এবং শত্রুদের হাতে শহিদ হন।
কুফার জনগণ ইমাম হোসাইন (আ.) কে দাওযাত করে প্রায় 20 হাজার পত্র লেখে। তারা জানায় যে আমরা আপনার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা আপনাকে আমাদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করতে চায়।
ইমাম হোসাইন (আ.) কারবালার মাঠে নিজের সাথী ও সন্তানসহ উৎসর্গ হওয়ার মাধ্যমে ইসলামের হেফাজত করেছেন। কেননা এজিদ ইসলাম ধর্মে বিকৃতি ঘটিয়েছিল।
ইমাম হোসাইন (আ.) জান্নাতের সরদার। তিনি রাসুলে আকরাম (সা.) এর নাতি। তিনি মাসুম বা নিষ্পাপ, বিধায় যেকোন প্রকার ভুলের উর্ধে।
ইমাম হোসাইন (আ.) কোরআনের বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করতেন। কারবালার মাঠে সর্বশেষ রাতে সারা রাত কোরআন পড়েছেন ও এবাদত করেছেন। এমনকি তাঁর কাটা মাথা হতেও কোরআনের আওয়াজ আসছিল।
ইমাম হোসাইন (আ.) যদি কিয়াম না করতেন তাহলে ইসলাম বিকৃত হয়ে যেত। হালাল ও হারামের মাঝে কোন পার্থক্য থাকত না।
ইমাম হোসাইন (আ.) শিক্ষা দিয়েছেন যে কিভাবে সম্মানের সাথে জীবন যাপন করতে হয়। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে অপমান জনক জীবণের চেয়ে সম্মান জনক মৃত্যু উত্তম। কারবালায় বরবারীর ওপর রক্তের বিজয় হয়েছে।
ইমাম হোসাইন (আ.) এর সাথীরা বিশেষ বৈশিষ্টের অধিকারী ছিলেন। তাঁরা জান্তেন যে কারবালায় গেলে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে হবে তবুও তাঁরা তাদের ইমামকে ছেড়ে যাননি।
ইমাম হোসাইন (আ.) শিক্ষা দিয়েছেন যে কিভাবে জীবন যাপন করতে হয়। তিনি কখনো মিথ্যার নিকট আত্মসমর্পন করেননি। তিনি বলেছেনঃ অপমান জনক জীবনের চেয়ে সম্মান জনক মৃত্যু উত্ত।
ইমাম হোসাইন (আ.) মাসুম বা নিষ্পাপ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তৃতীয় ইমাম ও রাসুলে আকরাম (সা.) এর নাতি ছিলেন। তিনি বেহেশতের সরদার হবেন।
কারবালার যুদ্ধের পূর্বের রাতও ইমাম হোসাইন ও তাঁর সাথীরা এবাদতের মাধ্যমে কাটিয়েছেন। Bএমকি কারবালর মাঠে যুদ্ধের সময়ও ইমাম হোসান (আ.) নামাজের জামাআত প্রতিষ্ঠিত করেছেন।