হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) দয়ার সাগর ছিলেন। তিনি কখনো কাউকে কষ্ট দেননি। তিনি সকলের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেন। তিনি সকলকে ক্ষমা করে দিতেন। কিয়ামতের দিন তিনি তাঁর উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন।

কোরআন শরিফের নির্দেশ অনুযায়ী পবিত্র আহলে বাইত (আঃ) এর প্রতি মহব্বত রাখতে হবে। হাদিসে সাকালাইনে বলা হচ্ছেঃ রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ আমার পর তোমরা কোরআন ও আহলে বাইতের আনুগত্য করবে।

আহলে কিতাবরা নবি (সা.) এর আগমনের খবর সম্পের্কে তাদের কিতাবে পড়েছিল। তারা পুরোপুরিভাবে আখেরী নবি সম্পর্কে অবগত ছিল এবং তাঁর অপেক্ষায় ছিল কিন্তু তিনি আগমনের পর তারা তাঁকে গ্রহণ করেনি।

আহলে বাইত (আ.) নাজাতের তরী। আহলে বাইত নুহ নবির নৌকার ন্যায়। যে ব্যক্তি তাতে আরোহণ করল সে মুক্তি পেল আর যে ব্যক্তি তাতে আরোহণ করল না সে ধবংশ হয়ে গেল।

অবশ্যই উলিল আমর বা নির্দেশ দাতা আল্লাহর তরফ হতে নির্ধারিত হতে হবে। উলিল আমর অবশ্যই নিষ্পাপ ও নির্ভুল হতে হবে। কেননা যে ব্যক্তি নিজে ভুল করে সে অন্য কে সঠিক পথে চলার নির্দেশ দিতে পারে না। যে একটি ভুল করে সে একাধিক ভুলও করতে পারে।

১- আয়াতে তাতহীর রাসুলের পরিবার আলী, ফাতিমা, হাসান হুসাইন (আ.) এর শানে নাযিল হয়? ২- উক্ত আয়াতটি উম্মে সালামা (রা.) এর ঘরে নাযিল হয়। ৩- সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতকে আয়াতে তাতহীর বলা হয়।

মুহাম্মাদ (সা.) কে রহমত স্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি সর্ব শ্রেষ্ঠ নবি। তাঁর প্রতি সর্ব শ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।

মুহাম্মাদ (সা.) সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ নবি। তাঁর পর আর কোন নবি আগমন করবে না। কিয়ামতের দিন তিনি তাঁর উম্মতকে সুপারিস করবেন।

আমরা রাসুল (সা.) কে দেখিনি কিন্তু তাঁর জিয়ারতের মাধ্যমে সান্নিধ্য অর্জন করতে পারি। রাসুলের জিয়ারতের অনেক ফজিলত রয়েছে।