حضرت علی ع
ইমাম আলি (আ.) তাঁর জীবণের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ মানুষের খেদমত করে কাটিয়েছেন। তিনি রাতের অন্ধকারে এতিম ও দরিদ্রদের শিয়রে খাবার পৌছিয়ে দিতেন। তিনি নিজে সাধারণ খাবার খেতেন কিন্তু অন্যদেরকে ভাল খাবার দান করতেন।
১-আলী (আ.) কে কষ্ট প্রদান হচ্ছে খোদা ও রাসুল (সা.) কে কষ্ট প্রদানের সমতুল্য। ২-আলী (আ.) কে গালমন্দ হচ্ছে রাসুল (সা.) কে গালমন্দ করা। ৩-আলী (আ.) এর সাথে যুদ্ধ করা হচ্ছে রাসুল (সা.) এর সাথে যুদ্ধ করার সমতুল্য। ৪- আলী (আ.) কে পরিত্যাগ করা হচ্ছে রাসুল (সা.) ক
১-রাসুল (সা.) এই দিনকে ঈদ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ২-ইমাম (আ.) গণ এই দিনটিকে ঈদ হিসেবে উৎযাপন করতেন। ৩-ইমাম সাদিক্ব (আ.) এর মতে সবচেয়ে বড় ঈদ হচ্ছে, ঈদে গ্বাদীর। ৪-গ্বাদীর দিবসে দ্বীনে ইসলাম পূর্ণতা লাভ করে।
জিলহজ্জ গাদিরে খোম নামক স্থানে হজরত আলি (আ.) কে ইমাম হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এর পর আল্লাহর তরফ হতে আয়াত অবতীর্ণ হয় এবং ঘোষণা করা হয় যে
১-আলী (আ.) কে রাসুল (সা.) মুসলমানদের খলিফা নির্বাচন করেন। ২-আলী (আ.) কে সর্বপ্রথম হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব অভিনন্দন জানান। ৩-সকল সাহাবীরা আলী (আ.) এর হাতে বাইয়াত করেন। ৪-গ্বাদীরের বাইয়াত তিনদিন যাবৎ অনুষ্ঠিত হয়।
হজরত আলি (আ.) সকল ক্ষেত্রে সর্ব শ্রেষ্ঠ বীর ছিলেন। তিনি আল্লাহ ব্যতিত কাউকে ভয় পেতেন না। তিনি পবিত্র কাবা শরিফে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং মসজিদে শাহাদত বরণ করেছেন।
ইমাম আলি (আ.) হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ সাহাবা। তিনি রাসুলে আকরাম (সা.)-এর পবিত্র আহলে বাইতের একজন সদস্য। তিনি মহা নবির নিকট হতে সব কিছু শিক্ষা করেছেন।
13 ই রজব হজরত ইমাম আলি (আ.) পবিত্র কাবা শরিফে জন্ম গ্রহণ হরেন। তাঁর পিতার নাম আবু তালেব এবং মাতার নাম ফাতেমা বিনতে আসাদ। তিনি ছিলেন রাসুলে আকরাম (সা.) এর ওয়াসি।
ইমাম আলি (আ.) জীবেনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে রাসুল (সা.) কে সহযোগিতা করেছেন। তাঁর ইমান এত শক্ত ছিল যে তিনি কখনো নিজের প্রাণের মায়া করেননি। হিজরতের রাতে চল্লিশটি তরবারীর নিচে ঘুমিয়ে ছিলেন।
রাসুল (সা.)এর নিকট সাহাবারা এসে অহেক আলোচনা করার মাধ্যমে সময় নষ্ট করতেন বিধায় আল্লাহর তরফ হতে নির্দেশ আসে যে আলোচনা করতে হলে সাদকা দিতে হবে কিন্তু সাদকা দেন না শুধু আলি (আ.) ব্যতিত।
রাসুল (সা.)এর পর বারজন ইমাম আল্লাহর তরফ হতে নির্ধারিত হয়েছে। সর্ব প্রথম ইমাম হচ্ছেন হজরত আলি (আ.) আর সর্বশেষ ইমাম হচ্ছেন হজরত মেহদি (আ.)।
আহলে বাইত (আ.) আল্লাহর নিকট হতে জ্ঞান লাভ করেছেন। তাঁরা মাসুম বা নিষ্পাপ। তাঁরা কখনো কোন ভুল করেন না। সর্ব প্রথম ইমাম হচ্ছেন হজরত আলি (আ.) এবং সর্ব শেষ ইমাম হচ্ছেন হজরত মেহদি (আ.)।
মক্কায় হজ্জ পালন শেষে রাসুল আকরাম (সাঃ) সকল হাজিকে তাঁর সাথে মক্কা হতে বের হয়ে আসার নির্দেশ দেন। ১৮ ই জিলহজ্জ গাদিরে খোম নামক স্থানে গিয়ে কাফেলা পৌঁছে। রাসুল (সাঃ) সকলকে দাড়াতে বলেন। সকলে একত্রিত হলে তিনি সেখানে লক্ষাধিক হাজির সামনে আলি (আঃ) কে তার ওয়াসি
মক্কায় হজ্জ পালন শেষে রাসুল আকরাম (সাঃ) সকল হাজিকে তাঁর সাথে মক্কা হতে বের হয়ে আসার নির্দেশ দেন। ১৮ ই জিলহজ্জ গাদিরে খোম নামক স্থানে গিয়ে কাফেলা পৌঁছে। রাসুল (সাঃ) সকলকে দাড়াতে বলেন। সকলে একত্রিত হলে তিনি সেখানে লক্ষাধিক হাজির সামনে আলি (আঃ) কে তার ওয়াসি
হজরত আলি (আ.) যত যুদ্ধে গিয়েছেন সকল স্থানে ইসলামের বিজয় হয়েছে। আলি (আ.) যেমন একজন রণবীর ছিলেন তেমন অন্যান্য ক্ষেত্রেও বীর ছিলেন।
১৩ ই রজবে হজরত আলি (আ.)-এর জন্ম হয়। তিনি হচ্ছেন হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর সর্বোত্তম সাহাবা এবং তাঁর ওয়াস। রাসুল (সা.)-এর বেসাতের 10 বছর পূর্বে আলি (আ.) জন্মগ্রহণ করেন।
হজরত আলি (আ.) সর্ব প্রথম পুরুষ মুসলমান ছিলেন। তিনি সর্বদা রাসুলে আকরাম (সা.) কে সহযোগিতা করেছেন। হিজরতের সময় রাসুলে আকরাম (সা.)-এর বিছানায় তাঁর চাদর পরিধান করে শুয়ে থেকে তাঁকে শত্রুদের আক্রমন থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
উহুদের যু্দ্ধে হজরত আলি (আ.) বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর প্রশংসাই আসমান হতে ধ্বনি আসে “লা ফাতা ইল্লাহ আলি, লা সাইল ইল্লাহ জুলফিকার” অর্থাৎ আলি ব্যতিত কোন বিজয় নেই এবং জুলফিকার ব্যতিত কোন তরবারী নেই।
হজরত আলি (আ.) সর্ব প্রথম পুরুষ মুসলমান এবং তিনি হাউজে কাউসারে সকলের পূর্বে রাসুলে আকরাম (সা.) –এর নিকট এসে উপস্থিত হবেন। তিনি সেদিন আহল্লাহর অনুমতি ক্রমে নেক বান্দাদেরকে শাফাআত করবেন।