فیلم
আন্যান্য এবাদতের দোয়াও একটি উত্তম এবাদত। দোয়া করার সময় তার আদব রক্ষা করা একান্ত প্রয়োজন। দোয়াকে মোমিনের প্রয়োজন মেটানোর ক্ষেত্রে উত্তম মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
অতিতের অনেক উম্মতের মাঝে রাজআত সংঘটিত হয়েছে। সর্বশেষ নবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতের মাঝেও রাজআত সংঘটিত হবে।
কোরআন শরিফ একমাত্র আসমানী গ্রন্থ যা যেকোন প্রকার তাহরিফ বা বিকৃতি হতে সংরক্ষীত রয়েছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত এর কোন প্রকার তাহরিফ হবে না।
আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন শুধু তিনিই শাফাআত করতে পারবেন। কিয়ামতের দিন মুক্তি পাওয়ার জন্য পূর্ণবান হতে হবে। কিয়ামতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার ইমামসহ ডাকা হবে। শাফাআত পাওয়ার জন্য ইমান ও সৎকর্মের অধিকারী হতে হবে। শাফাআত পাওয়ার জন্য নবির সুন্নাতের অনুস্বরণ
ইসলামী আকায়েদ বা ইসলামের মূল ভিত্তিকে দলিলের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে। আহকাম সম্পর্কিত বিষয়গুলো মুজতাহিদের নিকট হতে গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু আকায়েদ সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে, তাহলে বুঝতে পারব যে ইসলাম উত্তম মানবতার কথা বলে।
আনুহত্যের ক্ষেত্রে আমাদেরকে শুধু ফকিহর নির্দেশকে পালন করতে হবে। কেননা ফকিহ কোরআন ও হাদিস মন্থন করে আহকাম বর্ণনা করে থাকেন।
ইমাম হোসাইন (আ.) জান্নাতের সরদার। তিনি রাসুলে আকরাম (সা.) এর নাতি। তিনি মাসুম বা নিষ্পাপ, বিধায় যেকোন প্রকার ভুলের উর্ধে।
ইমাম হোসাইন (আ.) কোরআনের বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করতেন। কারবালার মাঠে সর্বশেষ রাতে সারা রাত কোরআন পড়েছেন ও এবাদত করেছেন। এমনকি তাঁর কাটা মাথা হতেও কোরআনের আওয়াজ আসছিল।
ইমাম হোসাইন (আ.) শিক্ষা দিয়েছেন যে কিভাবে সম্মানের সাথে জীবন যাপন করতে হয়। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে অপমান জনক জীবণের চেয়ে সম্মান জনক মৃত্যু উত্তম। কারবালায় বরবারীর ওপর রক্তের বিজয় হয়েছে।
ইমাম হোসাইন (আ.) এর সাথীরা বিশেষ বৈশিষ্টের অধিকারী ছিলেন। তাঁরা জান্তেন যে কারবালায় গেলে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে হবে তবুও তাঁরা তাদের ইমামকে ছেড়ে যাননি।
১- ইয়াকুব (আ.) এর সন্তানেরা তাঁর কাছে শাফায়াতের আবেদন জানায়। ২- ইব্রাহিম (আ.) খোদার কাছে শেফায়াতের আবেদন জানান। ৩- ওলী আউলীয়াদের শেফায়াত তাদের জীবদ্দশায় সীমাবদ্ধ নয়। ৪- রাসুল (সা.) তাঁর কবর যিয়ারতকারীর শেফায়াত করবেন।
কাবালার ঘটনার জন্য এজিদ পুরোপুরিভাবে দায়ী। কেননা সে খলিফা ছিল এবং সরাসরি তার নির্দেশে এ হত্যাজর্গ সংঘটিত হয়েছে। সে তার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এ কাজ করেছে।
কুফার জনগণ ইমাম হোসাইন (আ.) কে দাওযাত করে প্রায় 20 হাজার পত্র লেখে। তারা জানায় যে আমরা আপনার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা আপনাকে আমাদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করতে চায়।
ইমাম হোসাইন (আ.) মাসুম বা নিষ্পাপ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তৃতীয় ইমাম ও রাসুলে আকরাম (সা.) এর নাতি ছিলেন। তিনি বেহেশতের সরদার হবেন।
আমাদের অভিভাবক কে? আমরা কার নির্দেশ পালন করব? আমাদের নির্দেশদাতা কি কোন কোন সাধারণ ব্যক্তি হবে, না নিষ্পাপ হতে হবে এবং যে কোন প্রকার ভুলের উর্ধে হতে হবে।
আমরা মহত ব্যক্তিগণের শোক দিবস পালনের মাধ্যমে এবং তাঁদের জীবনী আলোচনার মাধ্যমে তাঁদের জীবন হতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি