فیلم
নবিগণের নুর পবিত্র। তারা কোন অপবিত্র স্থানে বসবাস করতে পারে না। নবিগণের বংশ অর্থাৎ পিতা-মাতা কখনো আল্লাহর সাথে শিরক করেননি ।
নবিগণ আল্লাহর তরফ হতে নির্ধারণ হয়ে থাকেন। সকল নবি এক আল্লাহর দাওয়াত দিয়েছেন। নবিগণের মাঝে কোন এখতেলাফ ন্ই।
আল্লাহ ন্যায় পরায়ন। তিনি দয়াবান। তিনি ক্ষমাশীল। আর এ গুণগুলো নবিগণের মধ্যেও রয়েছে; সুতরাং নবিগণ আল্লাহর তাজল্লি।
হজরত মুহাম্মাদ এর প্রতি চির সত্য আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি সর্বদা সত্যের দাওয়াত দিয়েছেন। তিনি আল আমিন উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন।
হজরত মুহাম্মাদ (সা.) পৃথিবীর সবচেয়ে দয়াবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সকলকে সম্মান করতেন। তাঁর কোন শত্রু অসুস্থ হলেও তিনি তাকে দেখতে যেতেন এবং তাকে হাদিয়া দিতেন।
নবি করিম (সা.) এর আনুগত্য করা আমাদের সকলের ওপর ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনের নির্দেশ অনুযায়ী যেভাবে আল্লাহর নির্দেশের আনুগত্য করতে হবে সেভাবে রাসুল (সা.) এরও আনুগত্য করতে হবে।
রাসুল (সা.)এর পর বারজন ইমাম আল্লাহর তরফ হতে নির্ধারিত হয়েছে। সর্ব প্রথম ইমাম হচ্ছেন হজরত আলি (আ.) আর সর্বশেষ ইমাম হচ্ছেন হজরত মেহদি (আ.)।
মুহাম্মাদ (সা.) উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। তিনি সকলের সাথে ভাল ব্যবহার করতেন। তাঁর হাত ও মুখের ভাষার মাধ্যমে কেউ কষ্ট পেত না।
হজরত মুহাম্মাদ (সা.) সম্পর্কে হজরত ঈসা (আ.) সুসংবাদ দিয়েছেন। কোরআন শরিফে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইহুদী ও খৃষ্টানরা যেভাবে তাদের সন্তানদেরকে চিনত সেভাবে হজরত মুহাম্মাদ (সা.) কেও চিনত কিন্তু তারা মানত না।
যত নবি আগমন করেছেন আল্রাহ তায়ালা তাদের নবুওয়াত প্রমাণ করার জন্য মোজেজা দান করেছেন। যারা সত্য অনুসদ্ধানী তারা নবিগণের দাওয়াত পাওয়ার সাথে সাথে তা গ্রহণ করে।
এটা স্পষ্ট যে হজরত মুহাম্মাদ (সা.) নবুওয়াত পাওয়ার পূর্বেও এবাদত করতেন; কিন্তু তিনি কোন শরিয়াত মোতাবেক আমল করতেন সেটা হচ্ছে জানার বিষয়।
১-রাসুল (সা.) হুজর বিন উদায়কে তার শাহাদতের খবরও দেন। ২-হুজর বিন উদায় ছিলেন আলী (আ.) এর একনিষ্ঠ সাহাবী। ৩-আলী (আ.) ছিলেন রাসুল (সা.) এর নাফস। ৪-মুসলমানেরা হুজরের শাহাদতের জন্য মাবিয়াকে দোষি করে।
হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর মর্যাদা পৃথিবীর সকল মানুষের উর্ধে। মহান আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রতি দরূদ প্রেরণ করেন এবং ঈমানদারগণকেও তাঁর প্রতি দরূদ প্রেরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
হজরত ইব্রাহিম (আ.) কে তৌহিদী বীর বলা হয়ে থাকে। তিনি তৌহিদ প্রচারের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ততকালীন অত্যাচারী শাসক নুমরূদ তাঁকে পরাভুত করার জন্য প্রচুর চেষ্টা করেছে কিন্তু সফল হয়নি।
হজরত মুহাম্মাদ (সা.) সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কখনো কোন ভুল করেননি। তাঁর মোজেজা ছিল আল কোরআন যে কিতাবে জ্ঞানের অত্যন্ত গুরুত্বাপ করা হয়েছে।