فیلم

কুফার জনগণ ইমাম হোসাইন (আ.) কে দাওযাত করে প্রায় 20 হাজার পত্র লেখে। তারা জানায় যে আমরা আপনার অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা আপনাকে আমাদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করতে চায়।
ইমাম হোসাইন (আ.) কারবালার মাঠে নিজের সাথী ও সন্তানসহ উৎসর্গ হওয়ার মাধ্যমে ইসলামের হেফাজত করেছেন। কেননা এজিদ ইসলাম ধর্মে বিকৃতি ঘটিয়েছিল।
ইমাম হোসাইন (আ.) জান্নাতের সরদার। তিনি রাসুলে আকরাম (সা.) এর নাতি। তিনি মাসুম বা নিষ্পাপ, বিধায় যেকোন প্রকার ভুলের উর্ধে।
ইমাম হোসাইন (আ.) কোরআনের বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করতেন। কারবালার মাঠে সর্বশেষ রাতে সারা রাত কোরআন পড়েছেন ও এবাদত করেছেন। এমনকি তাঁর কাটা মাথা হতেও কোরআনের আওয়াজ আসছিল।
কিয়ামতের দিন শাফাআতকারী হবেন মহা নবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এবং নিষ্পাপ ইমামগণ। আল্লাহ পাক যাকে শাফাআতের অনুমতি দিবেন তিনিই শুধু শাফাআত করতে পারবেন।
ইমাম হোসাইন (আ.) যদি কিয়াম না করতেন তাহলে ইসলাম বিকৃত হয়ে যেত। হালাল ও হারামের মাঝে কোন পার্থক্য থাকত না।
ইমাম হোসাইন (আ.) শিক্ষা দিয়েছেন যে কিভাবে সম্মানের সাথে জীবন যাপন করতে হয়। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন যে অপমান জনক জীবণের চেয়ে সম্মান জনক মৃত্যু উত্তম। কারবালায় বরবারীর ওপর রক্তের বিজয় হয়েছে।
ইমাম হোসাইন (আ.) এর সাথীরা বিশেষ বৈশিষ্টের অধিকারী ছিলেন। তাঁরা জান্তেন যে কারবালায় গেলে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে হবে তবুও তাঁরা তাদের ইমামকে ছেড়ে যাননি।
ইমাম হোসাইন (আ.) শিক্ষা দিয়েছেন যে কিভাবে জীবন যাপন করতে হয়। তিনি কখনো মিথ্যার নিকট আত্মসমর্পন করেননি। তিনি বলেছেনঃ অপমান জনক জীবনের চেয়ে সম্মান জনক মৃত্যু উত্ত।
ইমাম হোসাইন (আ.) মাসুম বা নিষ্পাপ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তৃতীয় ইমাম ও রাসুলে আকরাম (সা.) এর নাতি ছিলেন। তিনি বেহেশতের সরদার হবেন।
জিলহজ্জ গাদিরে খোম নামক স্থানে হজরত আলি (আ.) কে ইমাম হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। এর পর আল্লাহর তরফ হতে আয়াত অবতীর্ণ হয় এবং ঘোষণা করা হয় যে
কারবালার যুদ্ধের পূর্বের রাতও ইমাম হোসাইন ও তাঁর সাথীরা এবাদতের মাধ্যমে কাটিয়েছেন। Bএমকি কারবালর মাঠে যুদ্ধের সময়ও ইমাম হোসান (আ.) নামাজের জামাআত প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
ইমাম হোসাইন (আ.) কেন কিয়াম করেছিলেন?
১- ইমাম হুসাইন (আ.) ছিলেন নাজাতদাতা। ২-আশুরার যিয়ারত পাঠ করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। ৩-ইমাম হুসাইন (আ.) ফিতরুস ফেরেস্তার শাফায়াত করেন। ৪- ইমাম হুসাইন (আ.) হচ্ছেন শহীদদের সর্দার
১-আলী (আ.) কে রাসুল (সা.) মুসলমানদের খলিফা নির্বাচন করেন। ২-আলী (আ.) কে সর্বপ্রথম হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব অভিনন্দন জানান। ৩-সকল সাহাবীরা আলী (আ.) এর হাতে বাইয়াত করেন। ৪-গ্বাদীরের বাইয়াত তিনদিন যাবৎ অনুষ্ঠিত হয়।
হজরত আলি (আ.) সকল ক্ষেত্রে সর্ব শ্রেষ্ঠ বীর ছিলেন। তিনি আল্লাহ ব্যতিত কাউকে ভয় পেতেন না। তিনি পবিত্র কাবা শরিফে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং মসজিদে শাহাদত বরণ করেছেন।

পৃষ্ঠাসমূহ