فیلم

ইমাম জয়নুল আবেদীন (আঃ) হতে প্রচুর মুনাজান এসেছে। এ মুনাজাতগুলোর মধ্য হতে একটি মুনাজান হচ্ছে মুনাজাতে তায়েবীন বা তওবাকারীদের মুনাজাত। এখানে এ মুজাতের প্রথম অংশ তর্জমা ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহ বর্ণিত হলো।
ইমাম হোসাইন (আঃ) হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিদ্র এবং জান্নাতের নেতা। তিনি সর্বদা মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করেছেন। সর্ব শেষে তিনি কারবালায় নিজের প্রাণসহ সবকিছু উৎসর্গ করার মাধ্যমে ইসলামকে রক্ষা করেছেন।
কারবালাই ইমাম হোসাইন (আঃ) নিজের সাথী সন্তানসহ সব কিছু উৎসর্গ করেছেন। তাঁর এ ফেদাকারীর কারণেই ইসলাম আজ পর্যন্ত টিকে আছে।
ইসলাম আসার পূর্ব হতেই মুহাররাম মাসকে হারাম বা নিষিদ্ধ মাস পালন করা হত। অর্থাৎ এ মাসে কেউ কাউরো সাথে যুদ্ধ করত না। ইসলামী শরিয়তও এ মাসকে হারাম মাস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদেরকে পরকালে বেহেশত দান করবেন। সে বেহেশতে অফুরন্ত নিয়ামত থাকবে। বেহেশতের নিয়ামতের বর্ণনা পুরোপুরিভাবে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।
ইমাম হোসাইন (আঃ) কেন কারবালায় গিয়েছিলেন? কে তাঁর নিকট হতে বাইআত চেয়েছিলেন? কেন তাঁকে খিলাফত দেয়া হয়নি?
ইমাম হোসাইন (আঃ) তাঁর নানা হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর দ্বিনকে রক্ষা করার জন্য কিয়াম করেছিলেন। তিনি হচ্ছেন নিষ্পাপ ও বেহেশতের নেতা, বিধায় দুনিয়ার কোন লোভ লালাসা তাঁর ছিল না
হাজিগণ হজ্জে গমন করে এহরাম পরিধান করে। এহরাম পরিধান করা অবস্থায় কোন কিছু হত্যা করতে পারবে না। কাবা শরিফের এলাকায় কোন কিছু হত্যা করতে পারবে না। হজ্জে গমনের মাধ্যমে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাবন করতে শিখে।
মহান আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীর কোন কিছু সৃষ্টির পূর্বেই মহা নবি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইত (আঃ) এর নুরকে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর মাধ্যমেই প্রতিটি মূহুর্তে এ পৃথিবীর সবকিছু ফাইজ গ্রহণ করে থাকে।
মিনাতে হজরত ইব্রাহিম (আঃ) কুরাবানী করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহ তায়ালা তার কুরাবনীর পরিবর্তে মিশাল কুরবানী প্রদান করেন। আর সে কুরবানী হচ্ছে কারবালায় ইমাম হোসাইন (আঃ) এর কুরবানী।
মুহাররাম মাসের চাঁদ উঠার সাথে সাথেই জান্নাতের নেতা ইমাম হোসাইন (আঃ) এর ত্যাগের কথা মনে পড়ে যায়। এজিদ ও তার বাহিনী ইমাম হোসাইন (আঃ) ও তাঁর সাথীদের ওপর যে অত্যাচার করেছে ইতিহাসে তার কোন নজির নেই।
কারবালাই ইমাম হোসাইন (আঃ) নিজের সাথী সন্তানসহ সব কিছু উৎসর্গ করেছেন। তাঁর এ ফেদাকারীর কারণেই ইসলাম আজ পর্যন্ত টিকে আছে।
কারবালায় ইমাম হোসাইন (আঃ) ও তাঁর সাথীদের প্রতি এমন জুলুম করা হয় যে পৃথিবীতে তার কোন নজির খুজে পাওয়া যাবে না। এজিদ ছিল বেদীন ও অত্যন্ত নিষ্ঠুর। ক্ষমতা ব্যতিত তার নিকট কোন কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।
নবি করিম (সাঃ) এর আহলে বাইতের সাথে উমাই্য়্যা বংশের লোকরা শত্রুতা করেছে। তাঁদেরকে শহিদ করেছে। এর কারণ ছিল তাদের ক্ষমতার লোভ ও দুনিয়া পুজারী।
মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেনঃ নিশ্চয় ইমাম হোসাইন হেদায়াতের আলোকবর্তীকা ও মুক্তির তরী। মহানবি হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) ইসলামকে নিয়ে এসেছেন আর ইমাম হোসাইন তাকে স্থায়ীত্ব দান করেছেন।
কারবালাই ইমাম হোসাইন (আঃ) নিজের সাথী সন্তানসহ সব কিছু উৎসর্গ করেছেন। তাঁর এ ফেদাকারীর কারণেই ইসলাম আজ পর্যন্ত টিকে আছে।

পৃষ্ঠাসমূহ