فیلم
ইসলামের বিধান একই আল্লাহর তরফ হতে একই নবির মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে। মোফাসসেরগণ ও হাদিস বর্ণনাকারীগণের অনুধান বিভিন্ন ধরণের হওয়ার কারণে বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন।
আনুহত্যের ক্ষেত্রে আমাদেরকে শুধু ফকিহর নির্দেশকে পালন করতে হবে। কেননা ফকিহ কোরআন ও হাদিস মন্থন করে আহকাম বর্ণনা করে থাকেন।
আলেমগণকে আত্মসংযমী হতে হবে এবং বাড়াবাড়ি হতে দূরে থাকতে হবে। বেশি বেশি আধ্যাত্মিক চর্চা করতে হবে। সমাজে এখতেলাফ সৃষ্টি হতে বিরত থাকতে হবে।
বার খলিফা দ্বরা নিষ্পাপ ইমামগণকে বুঝানো হয়েছে। তাঁরা আল্লাহর তরফ হতে নির্ধারিত হয়েছেন। নবুওয়াতের পর ইমামতের ধারা চালু হয়েছে। সর্বপ্রথম ইমাম হচ্ছেন হজরত আলি (আ.) এবং সর্বশেষ ইমাম হচ্ছেন হজরত মাহদি (আ.)।
রাসুল (সা.) এর বংশ তাঁর মেয়ে ফাতেমা (আ.) এর মাধ্যমে প্রসার লাভ করেছে। হজরত ফাতেমা (আ.) এর দু’সন্তান ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন (আ.) এর মাধ্যমে নবির বংশ সারা পৃথিবীতে বিস্তার লাভ করেছে।
হজরত ফাতেমা (আঃ) সর্বদা পিতার উম্মতের জন্য দোয়া করতেন। তিনি কখনো নিজের জন্য দোয়া করতেন না। কিয়ামতের দিন তিনি শাফাআতের অনুমতি প্রাপ্ত হবেন।
হজরত ফাতেমা (আ.) বিশ্ব নবি হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর মেয়ে। তিনি বেহেশতের নারীদের সরদারিনী। তিনি হচ্ছেন মাসুম বা নিষ্পাপ। তাঁর রওজা মদিনায় রয়েছে কিন্তু কেউ জানেনা যে তাঁর রওজা কোনটি।
হজরত ফাতেমা (আ.) তাঁর পিতার এত খেদমত করতেন যে রাসুলে আকরাম (সা.) বলেছেনঃ ফাতেমা উম্মে আবিহা অর্থাৎ ফাতেমা তার পিতার মা। হজরত ফতেমা (আ.) পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ নারী।
হজরত ফাতেমা (আ.) নিজ হাতে জাতা দিয়ে আটা তৈরী করে রুটি বানাতেন। বাড়িতে কাজের মেয়ে থাকা সত্বেও নিজ হাতে কাজ করতেন। বাড়ির কাজগুলো কাজের মেয়ের সাথে ভাগ করে নিতেন।
হজরত ফাতেমা (আঃ) মাসুম বা নিষ্পাপ। তিনি পৃথিবীর সকল মেয়ের জন্য আদর্শ। তিনি বেহেশতের মহিলাদের সরদারিনি। আমরা তাঁকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করব।