শাওয়াল মাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি
শাওয়াল মাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি
এস, এ, এ
১লা শাওয়াল:
ঈদুল ফিতর:
ঈদুল ফিতর (আরবি: عيد الفطر অর্থাৎ "রোজা ভাঙার দিবস") মুসলমানদের জন্য ঈদুল ফিতর হচ্ছে একটি বড় ধর্মীয় উৎসবের দিন। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলমানেরা এই দিনটি ধর্মীয় কর্তব্যপালনসহ অত্যান্ত আনন্দর সাথে পালন করে থাকে। উক্ত দিনে ইমাম হুসাইন (আ.)এর যিয়ারত পাঠ করা উত্তম। (মান লা ইয়াহযারুহুল ফাক্বিহ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১৭৪)
আমরু ইবনে আসের মৃত্যু:
সন ৪১ হিজরি আমরু ইবনে সাআদ ৯০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে। আমরু ইবনে আসের মায়ের নাম ছিল ‘নাবেগা’ এবং সে ছিল একজন দাসি। আব্দুল্লাহ বিন জাযআন তাকে ক্রয় করে মুক্ত করে দেয়। কিন্তু সে ছিল একজন চারিত্রহিন নারি। বিভিন্ন পুরুষেদের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। যেহেতু অন্যান্য নারিদের তুলনায় তার দাম ছিল কম সেহেতু অধিকাংশ পুরুষেরা তার কাছে যাতায়াত করতো যেমন: আবু লাহাব, উমাইয়া বিন খালাফ, হেশাম বিন মুগাইরা, আবু সুফিয়ান, আস বিন ওয়ায়েল ছিল প্রমুখ। যখন আমরু ইবনে আস জন্মগ্রহণ করে তখন বিভিন্ন পুরুষেরা উক্ত সন্তানের দাবি করে। কিন্তু নাবেগা উক্ত সন্তানকে আস ইবনে ওয়ায়েলের সন্তান বলে দাবি করে। যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে উক্ত সন্তানটি আবু সুফিয়ানের সাথে বেশি সাদৃস্যপূর্ণ তাহলে কেন তুমি বলছ যে সন্তানটি আস ইবনে ওয়ায়েল-এর? তখন সে উত্তরে বলে আবু সুফিয়ান হচ্ছে কৃপণ প্রকৃতির আর আস-এর ব্যায়ের হাত হচ্ছে খোলা। আমরু ইবনে আস ছিল রাসুল (সা.) এবং ইমাম আলি (আ.) এর শত্রু। আর তাই ইসলামের ইতিহাসের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে দেখেতে পাই যে, আমরু ইবনে আস সিফফিনের যুদ্ধে মুসলিম জাহানের খলিফার বিরূদ্ধে বিদ্রোহ ও যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং কোরআনকে বর্শার মাথায় তুলে মুসলমানদেরকে ধোকা দেয়। (আল গাদির, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১২০)
কারকারাতুল কুদর যুদ্ধটি সংঘটিত হয়:
২য় হিজরির উক্ত তারিখে কাকারাতুল কুদর নামক যুদ্ধটি সংঘটিত হয়। উক্ত স্থানটি মদিনা থেকে কিছু দূরে অবস্থিত। একটি পানির উৎসকে কেন্দ্র করে উক্ত নামকরণটি করা হয়। উক্ত যুদ্ধের কারণ হচ্ছে কেউ রাসুল (সা.)কে অবগত করে যে বণি সালিম এবং বণি গাতফান গোত্রের লোকজন কাকারাতুল কুদর নামক স্থানে একত্রিত হয়েছে যেন রাতে মদিনাবাসিদের উপরে অতর্কিত হামলা করতে পারে। অতপর রাসুল (সা.) হজরত আলি (আ.) এর নেতৃত্বে ২০০ জন সেনা প্রেরণ করেন। যখন ইমাম আলি (আ.) সেখানে পৌছান তখন তিনি দেখেন যে, তার সেখান থেকে পলায়ণ করেছে। ইমাম আলি (আ.) সেখানে তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু তারা আর কেউ ফিরে আসেনা। অবশেষে উক্ত ঘটনা থেকে যুদ্ধ ছাড়াই ৫০০ উট গনিমত স্বরূপ মুসলমানদের দখলে আসে। রাসুল (সা.) উক্ত উট সমূহের মধ্যে হতে খুমসের উট সমূহকে আলাদা করে নেন এবং অবশিষ্ট উট সমূহকে সাহাবিদের মাঝে বন্টন করে দেন।
৩য় শাওয়াল:
আব্বাসিয় খলিফা মোতাওয়াক্কেলের মৃত্যুদিবস:
সন ২৪৭ হিজরিতে বুধবার রাতে আব্বাসিয় খলিফা মোতাওয়াক্কেলকে তার সন্তান মুনতাসিরের নির্দেশে হত্যা করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৪১ বছর। তার খেলাফতকাল ছিল ১৪ বছর ১০ মাস। মোতাওয়াক্কেল একদা এক অনুষ্ঠানে ইমাম আলি (আ.) এর ব্যাক্তিত্বের প্রতি অবমাননা করে তখন তার সন্তান মুন্তাসির তার কয়েকজন বিশ্বস্ত দাশকে তার পিতাকে হত্যা করার নির্দেশ দেয়। যখন মোতাওয়াক্কেল মদের নেশায় মত্ত ছিল তখন উক্ত দাশরা তার উপরে অতর্কিত হামলা করে এবং তাকে চাকুর আঘাতে হত্যা করে। (তারিখে বাগদাদ, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১১৯)
৪ঠা শাওয়াল:
হুনাইনের যুদ্ধ:
মক্কা বিজয়ের ১৫ দিন পরেই হুনাইনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। উক্ত যুদ্ধে মক্কার মুসলিম সৈন্যদের সংখ্যা ছিল মোট ১২ হাজার অন্মধ্যে মক্কা থেকে ছিল ২ হাজার এবং মদিনার থেকে ছিল ১০ হাজার। উক্ত যুদ্ধে প্রায় ৪ জন মুসলমান শাহাদত বরণ করেন এবং মুশরিকরা প্রায় ৩০০ জন মারা যায়। হুনাইনের যুদ্ধ শুরু হওয়ার তারিখ সম্পর্কেও ইতিহাসে বিভিন্ন মতামত বর্ণিত হয়েছে যেমন: উক্ত যুদ্ধটি রমজান মাসে সংঘটিত হয় অন্য মত অনুযায়ি ৩, ৫, ১০, ১১, ১৫ই শাওয়ালে সংঘটিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। (মুসতাদরাকে সাফিনা, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ৬৫, তারিখে ইবনে খালদুন, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৪৬ )
৫ই শাওয়াল:
সিফফিন যুদ্ধের উদ্দেশ্যে ইমাম আলি (আ.)এর যাত্রা:
সন ৩৬ হিজরিতে ইমাম আলি (আ.) সিফফিন যুদ্ধের উদ্দেশ্যে রওনা হন এবং আবু মাসউদ উকবা বিন আমের আনসারিকে কুফাতে নিজের স্থলাভিসিক্ত হিসাবে রেখে যান। (তাতেম্মাতুল মুনতাহা, পৃষ্ঠা ২৩)
কুফাতে মুসলিম ইবনে আকিলের আগমণ:
সন ৬০ হিজরিতে হজরত মুসলিম ইবনে আকিল (আ.) কুফাতে প্রবেশ করেন। যখন কুফাবাসিরা তার সাথে দেখা করার জন্য ভিড় জমায় তখন তিনি ইমাম হুসাইন (আ.) এর প্রেরিত চিঠিটি সকলের মাঝে পাঠ করে শোনান। অতঃপর ১৮ হাজার কুফাবাসি তার কাছে বাইয়াত করে। হজরত মুসলিম উক্ত ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ইমাম হুসাইন (আ.) কে চিঠি লিখেন এবং তাঁকে কুফায় আসার জন্য এবং কুফাবাসিদের উষ্ণ অভর্থনা সম্পর্কে অবগত করেন।(আহকাকুল হাক্ব, খন্ড ২৩, পৃষ্ঠা ৬৪৯)
৬ই শাওয়াল:
হুসাইন বিন রুহের উদ্দেশ্যে ইমাম মাহদি (আ.)এর চিঠি:
সন ৩০৫ হিজরি রোজ রবিবার ইমাম মাহদি (আ.) তাঁর স্বল্প মেয়াদি অন্তর্ধানকালে “হুসাইন বিন রূহ” এর উদ্দেশ্যে প্রথম স্বিকৃতিনামা প্রেরণ করেন। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৫১, পৃষ্ঠা ৩৫৬)
৮ই শাওয়াল:
জান্নাতুল বাকি কবরস্থানকে নিয়ে ওহাবিদের ষড়যন্ত্র:
সন ১৩৪৩ হিজরির উক্ত দিনে ওহাবিদের নির্দেশে মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানকে ভেঙ্গে ফেলা হয়। অথচ উক্ত কবরস্থানে অনেক জলিলুল কদর সাহিবি, আয়েম্মা (আ.) এবং উম্মুল মুমিনিনদেরকে দাফনস্থ করা হয়েছে। তাদের সম্মানের প্রতি ভ্রুক্ষেপ না করে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ স্বিদ্ধি করার লক্ষ্যে জান্নাতুল বাকির সকল পবিত্র কবর সমূহকে ভেঙ্গে নিশ্চিহ্ন করার মতো ষড়যন্ত্র চালানো হয়। (মুসতাদরাকে সাফিনাতুল বিহার, খন্ড ৬, পৃষ্ঠা ৬৫- ৬৬)
১৪ই শাওয়াল:
আব্দুল মালেক বিন মারওয়ানের মৃত্যুদিবস:
সন ৮৬ হিজরির উক্ত তারিখে আব্দুল মালেক বিন মারওয়ান দামেস্কে মারা যায়। খেলাফত অর্জনের পূর্বে সে মসজিদের খাদেম ছিল এবং কোরআনের তেলাওয়াত করতো আর এ কারণে তাকে ‘হামামাতুল মসজিদ’ (মসজিদের কবুতর) বলে আখ্যায়িত করা হতো। কিন্তু যখন সে খেলাফতের পদ পায় তখন সে বলে মসজিদ এবং কোরআনকে বিদায় জানিয়ে বলে আজ থেকে তোমার ও আমার মাঝে দূরত্ব শুরু হয়ে গেল!! (তাতেম্মাতুল মুনতাহা, পৃষ্ঠা ১০৫)
১৫ই শাওয়াল:
হজরত হামযা (রা.) এর শাহাদত:
সন ৩য় হিজরির উক্ত তারিখে ওহদের যুদ্ধে হজরত হামযা (রা.) শাহাদত বরণ করেন। রাসুল (সা.) এর হিজরতের ২০ মাস পরে উক্ত যুদ্ধটি সংঘটিত হয়। ইতিহাসে বর্ণিত হয়েছে যে, উক্ত যুদ্ধে এক হাজার মুসলমান অংশগ্রহণ করে। কিন্তু পথিমধ্যে ৩০০ জন ফিরে যায়। উক্ত যুদ্ধে শত্রুদের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার। উক্ত যুদ্ধে ২২ অথবা ২৩ অথবা ২৭ জন কাফের মারা যায় এবং মুসলমান শহিদদের সংখ্যা ছিল ৭০ জন। উক্ত যুদ্ধে রাসুল (সা) গুরুতরভাবে আহত হন। (তৌযিহুল মাকাসেদ, পৃষ্ঠা ২৭)
সূর্যের প্রত্যাবর্তন:
সন ৭ অথবা ৮ হিজরির উক্ত তারিখে হজরত আলি (আ.) এর জন্য সূর্যকে প্রত্যাবর্তন করার নির্দেশ দেয়া হয়। সূর্যের প্রত্যাবর্তনের ঘটনাটি দুইবার হজরত আলি (আ.)কে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়। একবার রাসুল (সা.) এর যুগে কোবা মসজিদের কাছে এবং দ্বিতিয়বার রাসুল (সা.) এর ওফাতের পরে বাবেল-এ হিল্লা নামক স্থানে। (আল গ্বাদির, খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ১২৬- ১৪১)
বণি কায়নুকার যুদ্ধ:
রাসুল (সা.)এর হিজরতের ২০ মাস পরে উক্ত যুদ্ধটি সংঘটিত হয়।(মানাকেবে আলে আবি তালিব,খন্ড ১, পৃষ্ঠা ২৪২)
হজরত আবুল কাসিম আব্দুল আযিম হাসানি (আ.)এর শাহাদত বরণ:
সন ২৫২ অথবা ২৫৫ হিজরি হজরত আবুল কাসিম আব্দুল আযিম হাসানি (আ.) উক্ত দিনে শাহাদত বরণ করেন। শাহাদত বরণের পূর্বে তিনি রেই নামক শহরে অবস্থান করছিলেন। তিনি এমনভাবে জিবন যাপন করতেন যে, কেউ উপলব্ধি করেন পারেনি যে, তিনি কে ছিলেন? যখন তিনি মারা যান এবং তাঁকে গোসল দেয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তখন তাঁর কাপড়ের ভিতর থেকে তাঁর বংশধারা পরিচিতি সম্পর্কিত একটি কাগজ পাওয়া যায়। তখন সকলে বুঝতে পারে যে, তিনি ছিলেন আবুল কাসিম আব্দুল আযিম হাসানি (আ.)। (রিয়াহিনুশ শারিয়া, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩৩২)
১৬ই শাওয়াল
হামরাউল আসাদের যুদ্ধ:
সন ৩ হিজরির উক্ত তারিখে মদিনার পাশে হামরাউল আসাদ নামক স্থানে উক্ত যুদ্ধটি সংঘটিত হয়। ওহদের যুদ্ধের পরে মুসলমানরা যখন মদিনায় ফিরে আসে তখন কুরাইশের কাফেররা মদিনায় হামলা করার ষড়যন্ত্র করে। তখন ওহদের যুদ্ধের সাহাবিদের যারা আহত হয়েছিল তাদেরকে পুণরায় যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য নির্দেশ দান করা হয়। অতঃপর সকলেই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয় এবং যুদ্ধের পতাকা হজরত আলি (আ.) এর হাতে দেয়া হয়।যদিও আলি (আ.) সারা শরির তরবারি ও বর্শার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত ছিল। কিন্তু তারপরেও তিনি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হন। মুসলমান সৈন্যরা যুদ্ধের উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে তিনদিন অবস্থান করে কিন্তু কাফেরদের আগমণের কোন চিহ্ন পরিলক্ষিত না হওয়ার কারণে মুসলমানরা আবার মদিনায় ফিরে আসে।
১৭ই শাওয়াল:
আহযাবের যুদ্ধ:
সন ৫ হিজরির উক্ত তারিখে খন্দক বা আহযাবের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। উক্ত যুদ্ধে আমরু ইবনে আব্দাউদকে হজরত আলি (আ.) হত্যা করেন। উক্ত যুদ্ধে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার তন্মধ্যে শহিদ হয় মাত্র ৬ জন এবং কাফেরদের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার তবে ইতিহাসে কাফেরদের মৃতের সংখ্যাকে উল্লেখ করা হয়নি। উক্ত যুদ্ধে মদিনার অভ্যন্তরে এবং মদিনার বাহিরে পরিখা খনন করা হয়। মুশরিকরা ২৫ দিন মদিনাকে অবরোধ করে রেখেছিল। কিন্তু কোনভাবেই তারা মদিনায় প্রবেশ করতে পারেনি। উমর ইবনে আব্দাউদ মুসলমানদেরকে যুদ্ধের জন্য আহবান জানায় কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে কেউ তার সাথে যুদ্ধ করতে রাজি হয়নি। অবশেষে ইমাম আলি (আ.) এর বারবার অনুরোধের কারণে রাসুল (সা.) তাকে যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দান করেন। অতঃপর একক যুদ্ধ চলাকালিন ইমাম আলি (আ.) তাকে তরবারির আঘাতে হত্যা করেন। আর এভাবে আবারও ইমাম আলি (আ.) ইসলামকে বিজয়ের আলোতে আলোকিত করেন। (কাশফুল গুম্মা, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ১৫০)
আবা সালত হারওয়ি (রহ.)এর মৃত্যুদিবস:
২০৭ হিজরিতে আবা সালত হারওয়ির মৃত্যু দিবস। তিনি ছিলেন ইমাম রেযা (আ.) এর একজন বিশ্বস্ত সাহাবি। তিনি হারুনের কারাগার থেকে মুক্তি লাভের পরে মারা যান। (মুসতাদরাকে সাফিতুল বিহার, খন্ড ৫, পৃষ্ঠা ২২৪)
২০শে শাওয়াল:
ইমাম কাযিম (আ.)কে বন্দি করা হয়:
উক্ত তারিখে আব্বাসিয় খলিফা হারুন মদিনায় যিয়ারতের অজুহাত নিয়ে আসে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সে তার আগমণের উদ্দেশ্যে ছিল ইমাম কাযিম (আ.)কে বন্দি করে তাঁকে মদিনা থেকে বাসরাতে নিয়ে যাওয়া। আর তাই সে ইমাম (আ.)কে হজ্বের জন্য বাগদাদে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে তাঁকে বাসরাতে নিয়ে যায়। ইমাম কাযিম (আ.)কে প্রথমে ঈসা ইবনে জাফরের কাছে এক বছর বন্দি করে রাখে অতঃপর তাকে বাগদাদে সিন্দি বিন শাহাকের কাছে বন্দি করে রাখে। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৪৮, পৃষ্ঠা ২০৬)
২৫শে শাওয়াল:
ইমাম জাফর সাদিক (আ.)এর শাহাদত:
এক বর্ণনা অনুযায়ি সন ১৪৮ হিজরির উক্ত তারিখে ইমাম জাফর সাদিক (আ.) শাহাদত বরণ করেন। এছাড়াও ইতিহাসে তার শাহাদত দিবস সংক্রান্ত অন্যান্য মতও বর্ণিত হয়েছে যেমন: ১৫ই রজব, ১৫ই শাওয়াল এবং ২৫শে শাওয়াল। ইমাম জাফর সাদিক (আ.) এর শাহাদতের কারণ হচ্ছে তাকে খলিফা মনসুর আঙ্গুরের বিষ মাখিয়ে দেয় এবং উক্ত আঙ্গুর তাকে জোরপূর্বক খাওয়ানো হয় আর উক্ত বিষের প্রভাবের কারণে তিনি শাহাদত বরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৬৩ বছর। (এলামুল ওয়ারা, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৫১৪)
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন