নবি এবং ইমাম (আ.)দের মাজার যিয়ারতের উত্তম শিষ্টাচার
নবি এবং ইমাম (আ.)দের মাজার যিয়ারতের উত্তম শিষ্টাচার
এস, এ, এ
মুমিনের সাথে সাক্ষাত করতে যাওয়া সম্পর্কে ইসলামে বিভিন্ন বিধিবিধান বর্ণিত হয়েছে। অনুরূপভাবে মাসুম (আ.)দের মাজার যিযারতের জন্য যেখানে ফেরেস্তারা পালাবদল করে আসে। অবশ্যই তাঁদের মাজার যিয়ারতের জন্য কিছু শিষ্টাচার সমূহও ইসলামে বর্ণিত হয়েছে। উক্ত শিষ্টাচার সমূহ হচ্ছে নিন্মরূপ:
১- প্রত্যেক ইমাম (আ.)দের মাজার যিয়ারতের জন্য উত্তম হচ্ছে গোসল করা।
২- পবিত্র অবস্থায় মাজারে যাওয়া।
৩- পবিত্র ও পরিষ্কার কাপড় পরিধাণ করা।
৪- যিয়ারতে যাওয়ার সময় ছোট ছোট ধাপ ফেলে শান্ত মনে মাজারের দিকে অগ্রসর হওয়া।
৫- মাজারে পৌঁছে মাথা নত করে বিনয়ের সাথে কবরের দিকে অগ্রসর হতে হবে।
৬- সুগন্ধি ব্যাবহার করা (ইমাম হুসাইন (আ.) এর মাজার ব্যাতিত)।
৭- মাজারে প্রবেশের সময় আল্লাহর যিকর এবং দুরুদ শরিফ উচ্চারণে মাধ্যমে নিজেকে নিমগ্ন রাখা।
৮- মাজারের দরজায় দাঁড়িয়ে অনুমতিনামা পাঠ করা।
৯- মাজারের দরজায় চুম্বন করা।
১০- ডান পা দ্বারা মাজারে প্রবেশ করা।
১১- যারির কাছে নিজেকে পৌছানো এবং নিজেকে তার সাথে স্পর্শ করা।
১২- ইমাম (আ.)দের কবর যিয়ারতের সময় উত্তম হচ্ছে কিবলার বিপরিমুখি এবং কবরমুখি অবস্থায় দাঁড়ানো।
১৩- দাঁড়ানো অবস্থায় যিয়ারতনামা পাঠ করা।
১৪- কবর যিয়ারতের পরে উত্তম হচ্ছে তাকবির উচ্চারণ করা।
১৫- ইমাম (আ.)দের থেকে বর্ণিত যিয়ারত পাঠ করা।
১৬- যিয়ারতের ২ রাকাত নামাজ পাঠ করা।
১৭- উচ্চস্বরে যিয়ারত পাঠ না করা যেন তা অপরের জন্য কষ্টদায়ক না হয়।
১৮- বিদায়কালিন সময়ের বিশেষ যিয়ারত পাঠ করা।
১৯- মাজারে আল্লাহর কাছে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা।
২০- যিয়ারত করার পর আত্মা পরিতৃপ্ত হলে মাজার থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসা।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন