রাজনৈতিক অঙ্গনে ইমাম জাওয়াদ (আ.)’এর ভূমিকা
রাজনৈতিক অঙ্গনে ইমাম জাওয়াদ (আ.)’এর ভূমিকা
এস, এ, এ
আমরা যখন আহলে বাইত (আ.)’এর ইমাম (আ.)দের চরিতের প্রতি দৃষ্টিপাত করি তখন দেখতে পাই যে, তারা তাদের ঐশি জ্ঞান দ্বারা মুসলিম উম্মাহকে ধর্মিয় শিক্ষায় শিক্ষিত এবং তাদেরকে একটি সুশিল সমাজ দানের আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। ইমাম জাওয়াদ (আ.) ও অন্যান্য ইমামদের ন্যায় মুসলিম উম্মাহের সার্বিক উন্নয়ন এবং সুশিল সমাজ গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন।
ইমাম জাওয়াদ (আ.) তাঁর ইমামতের সূচনালগ্নে আহলে বাইত (আ.)’এর অনুসারিরা সামাজিক, রাজনৈতিক ও আকিদাগতভাবে বিভিন্ন সমস্যায় পতিত ছিল। ইমাম জাওয়াদ (আ.) বণি আব্বাসের দুইজন অত্যাচারি খলিফার যুগে জিবন যাপন করতেন।
মামুন যেহেতু ইমাম রেযা (আ.)কে হত্যা করার পরে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হয় সেহেতু সে ইমাম জাওয়াদ (আ.) কে সেই সময়ে হত্যা করতে সাহস পায়নি। সুতরাং খলিফা মামুন বাধ্যে হয়ে তাঁকে তাঁর বাবা ইমাম রেযা (আ.)’এর ন্যায় খেলাফতের নখদর্পনে রাখার চেষ্টা করে। আর তাই সে ইমাম জাওয়াদ (আ.)কে স্থলাভিষিক্ত নিযুক্ত করে। কিন্তু ইমাম জাওয়াদ (আ.) ও তাঁর বাবার ন্যায় শর্ত রাখেন যে, তিনি খেলাফতের কোন কাজেই স্থক্ষেপ করবেন না। আর এভাবে তিনি সে যুগের মানুষদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, খেলাফতের প্রকৃত অধিকারি কে বা কারা। তিনি তাঁর উক্ত পরিকল্পনার মাধ্যেমে খেলাফতের সকল ষড়যন্ত্রের নিল নকশার জালকে ছিড়ে ফেলতে সক্ষম হন।
ইমাম জাওয়াদ (আ.)’এর যুগে “মোঅতাযেলে ফেরকা” মামুনের হুকুমতকে খুব বেশি প্রভাবিত করে। আর তাই মামুনের যুগে অনেকেই মোঅতাযেলে ফেরকার অনুসরণ শুরু করে। মোঅতাযেলে ফেরকার বৈশিষ্ট ছিল যে তারা নিজেদের বুদ্ধি বিবেকের উপরে ভিত্তি করে দ্বিনি বিষয়াবলিকে ব্যাখ্যা করতো এবং তাছাড়া বাকিগুলোকে বাতিল বলে মনে করতো। যেহেতু ইমাম জাওয়াদ (আ.) শৈশবে ইমামতের গুরুত্বপূর্ণ সম্মানে অধিষ্ঠিত হয় সেহেতু তারা ইমাম জাওয়াদ (আ.)’ এর ইমামতকে মেনে নিতে অস্বিকৃতি জানায়। তারা ইমাম জাওয়াদ (আ.)’এর ইমামতের পরিক্ষা নেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের জটিল আহকাম ও প্রশ্নাবলি করতো। ইমাম জাওয়াদ (আ.)ও তাদের উক্ত জটিল প্রশ্নের জবাব দলিল সহকারে দিতেন যেন তাদের কাছে ইমামতের ঐশি জ্ঞান সম্পর্কে সকল প্রকারের সন্দেহ দূরিভুত হয়।
উক্ত যুগে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ছিল তা হচ্ছে জনগণের সাথে খলিফা মামুন এবং মোতাসিম’এর ষড়যন্ত্র এবং বিশ্বাসগত আগ্রাসন। ইতিহাসের বর্ণনামতে মামুন ছিল বণি আব্বাসের অতি ধূর্ত এবং ষড়যন্ত্রকারি খলিফা। সে বিভিন্নভাবে ইমাম জাওয়াদ (আ.)’এর সাথে বিভিন্ন জ্ঞানি ব্যাক্তিদের সাথে তর্কবিতর্ক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সে চেষ্টা করে ইমাম জাওয়াদ (আ.)কে পরাজিত করার মাধ্যমে আহলে বাইত (আ.)’এর অনুসারিদের উপরে চাপ প্রয়োগ করতে। মামুনের যুগে ইমাম জাওয়াদ (আ.) তার অনুসারিদেরকে খেলাফতের ষড়যন্ত্রের কালো থাবা থেকে রক্ষা করেছিলেন। (বিহারুল আনওয়ার, খন্ড ৫০, পৃষ্ঠা ৭৪)
১- উকিল সংস্থার মাধ্যেমে কর্ম সম্পাদন:
ইমাম জাওয়াদ (আ.) খেলাফতের ষড়যন্ত্রকে নস্যাত করার লক্ষ্যে উকিল সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিনিধির মাধ্যমে তাঁর অনুসারিদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন। তিনি মামুন ও মোঅতাসিম’এর খেলাফতকালে তাঁর কার্যক্রমকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে তাঁর অনুসারিদেরকে বিভিন্ন এলাকায় প্রেরণ করতেন এবং এভাবেই তিনি আহলে বাইত (আ.)’এর অনুসারিদেরকে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিপদ থেকে মুক্ত করতেন।
তিনি তাঁর উকিলদেরকে নির্দেশ দিতেন যে, তারা যেন খেলাফতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ অর্জন করে। আর তাই আমরা দেখতে পাই যে, ইমাম জাওয়াদ (আ.)’এর অনুসারিগণ বিভিন্ন শহরের গভর্নর পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং সকল বিষয়াবলির তদারকি করার চেষ্টা করতেন। (তারিখে গায়বাতে ইমামে দাওয়াযদাহুম, পৃষ্ঠা ৭৮- ৭৯)
২- বিভিন্ন ফেরকার অগ্রহনযোগ্যতার প্রমাণ:
ইমাম জাওয়াদ (আ.) তাঁর যুগের বিভিন্ন ফেরকার বাতিল চিন্তাধারার অপনোদনের আপ্রাণ চেষ্টা করতেন এবং তাঁর অনুসারিদেরকেও পথনির্দেশনা দিতেন।
‘মোজাসসামি ফেরকা’ (যারা আল্লাহর দেহ আছে বলে বিশ্বাস করে) ইমাম (আ.) তাঁর অনুসারিদেরকে উক্ত মতাদর্শের লোকদের পিছনে নামাজ পড়তে এমনকি তাদেরকে জাকাত প্রদান করতেও নিষেধ করেন।
‘ওয়াকেফিয়ে ফেরকা’ (যারা ইমাম কাযিম (আ.)কে প্রতিক্ষিত মাহদি বলে মনে করতো) ছিল ইমাম জাওয়াদ (আ.)’এর যুগে আরেকটি ফেরকা।
‘যায়দিয়ে ফেরকা’ উক্ত ফেরকাটি ছিল এমন একটি ফেরকা যাকে আহলে বাইত (আ.) অনুসারিদের সাথে সম্বোধন করা হতো। ইমাম জাওয়াদ (আ.) যায়দিয়ে এবং ওয়াকেফিয়ে ফেরকাকে নাসেবি ফেরকার সাথে তুলনা করেছেন। (হায়াতে ফিকরি সিয়াসি ইমামানে শিয়া, পৃষ্ঠা ৪৯০)
৩- ইমামতকে জ্ঞানগর্ভ আলোচনার মাধ্যমে প্রমাণ:
ইমাম জাওয়াদ (আ.) যখন মাত্র ৬ বছরের ছিলেন তখন মামুন তাঁর বাবা ইমাম রেযা (আ.)কে শহিদ করে। তখন আহলে বাইত (আ.) অনুসারিগণ চিন্তায় পড়ে যায় যে, কে হচ্ছে পরবর্তি ইমাম (আ.)। তখন তারা ইমাম জাওয়াদ (আ.)কে বিভিন্ন প্রশ্ন করে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করে। ইমাম জাওয়াদ (আ.) তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদানের মাধ্যেমে তাঁর ইমামতকে প্রমাণ করেন। (দালায়েলুল ইমামা, পৃষ্ঠা ২০৪)
ইবনে হাজার হেইসামি লিখেছেন: মামুন ইমাম জাওয়াদ (আ.) কে নিজের কন্যার সাথে বিবাহ দেয়। কেননা মামুন জানতো যে তাঁর বয়স কম হলেও তিনি জ্ঞান গরিমার ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যাক্তিদের তুলনায় অনেক উর্দ্ধে।
এছাড়াও আহমাদ বিন খাতিবে বাগদাদি, ইয়াহিয়া বিন আকসাম, ইযযুদদ্দিন ইবনে আসির জুযি, ইবনে তাইমিয়া হাররানি দামেস্কি, ইবনে এমাদ হাম্বালি দামেস্কি তাদের গ্রন্থাবলিতে ইমাম জাওয়াদ (আ.)’এর জ্ঞানের কথা উল্লেখ করেছেন।
কাসিম বিন আব্দুর রহমান গ্রন্থে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন যে, একদা বাগদাদের শহরে দেখতে পেলাম যে, বাগদাদবাসিরা অতি আগ্রহের সাথে এক বিশেষ স্থানের উদ্দেশ্যে ছুটে যাচ্ছে। তারা সকলের আগে নিজেকে সেখানে পৌছানোর চেষ্টা করছিল। অনেকে আবার উচু টিলার উপরে দাড়িয়েছিল। আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম তোমরা কেন দৌড়াচ্ছো? তখন তারা বললো যে তুমি কি জান না যে, ইমাম রেযা (আ.)’এর সন্তান উক্ত পথ দিয়ে আসবে? আমিও তাদের সাথে অপেক্ষায় থাকলাম যে, কে সেই ব্যাক্তি যার সাথে সাক্ষাত করার জন্য বাগদাদবাসিরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে? যখন আমি তাঁকে দেখতে পেলাম তখন আমি মনে মনে বললাম যে আল্লাহ ইমামিদেরকে নিজের রহমত থেকে দূরে রাখুক যারা মনে করে যে তাদের অনুসরণ করা হচ্ছে জনগণের উপরে ওয়াজিব। তখন ইমাম জাওয়াদ আমার দিকে তাকিয়ে আয়াত তেলাওয়াত করেন,
فقالوا ابشراً منّا واحدا نتّبعه انّا اذاً لفی ضلالٍ و سعر
অর্থ: তারা বলেছিলঃ আমরা কি আমাদেরই একজনের অনুসরণ করব? তবে তো আমরা বিপথগামী ও বিকার গ্রস্থরূপে গণ্য হব। (সূরা কামার, আয়াত নং ২৪)
তারপরে তিনি আবার তেলাওয়াত করেন:
أالقی الذّکر علیه من بیننا بل هو کذّاب اسرٌ
অর্থ: আমাদের মধ্যে কি তারই প্রতি উপদেশ নাযিল করা হয়েছে? বরং সে একজন মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক। (সূরা কামার, আয়াত নং ২৫)
আমি যখন দেখলাম যে তিনি আমার অন্তরের খবর পর্যায়ক্রমে বর্ণনা করছেন তখন থেকে আমি তার একনিষ্ঠ অনুসারি হয়ে যায় এবং যায়দি ফেরকাকে পরিত্যাগ করি। আমি বিশ্বাস করি যে তিনিই হচ্ছেন আল্লাহর প্রকৃত রজ্জু। (মুনতাখাবে মিযানুল হিকমা, পৃষ্ঠা ৫১)
৪- ছাত্রদের শিক্ষা দান:
ইমাম জাওয়াদ (আ.)’এর যুগ থেকে নিয়ে ইমাম হাসান আসকারি (আ.)’এর যুগ পর্যন্ত আব্বাসি খেলাফতের লোকজন ইমাম (আ.)গণ এবং তাদের অনুসারিদেরকে সর্বদা নিজেদের নখদর্পনে রাখার চেষ্টা করতো। কিন্তু তারপরেও ইমাম জাওয়াদ (আ.) এত সংঙ্কটপূর্ণ অবস্থা থাকার পরেও তিনি একাধিক ছাত্রদের শিক্ষা দান করেন। আর এভাবে তিনি আল্লাহর ঐশি বাণি, রাসুল (সা.)’এর নবুওয়াত এবং ইমামতের শিক্ষাকে আগামি প্রজন্মের কাছে পৌছে দিতেন।
ইলমে রেজাল এবং গবেষকরা ইমাম জাওয়াদ (আ.)’এর ১১০ জন ছাত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। (রেজালে শেইখ তুসি, পৃষ্ঠা ৩৯৭- ৪০৯)
উক্ত ছাত্রদের মধ্যে ২৬ জণ ছাত্র এমন ছিলেন যে, অনেক লিখনি রয়েছে।
তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আলি ইবনে মাহযিয়ার যার ৩৫টি লিখনি রয়েছে।
মোহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ বিন মেহরান যার ৭ টি লিখনি রয়েছে।
মাবিয়া বিন হাকিম যার ৭ টি লিখনি রয়েছে। (সিরেহ হাদিস দার ইসলাম, পৃষ্ঠা ২৬৬, ২৭৮)
হজরত শাহ আব্দুল আযিম হাসানি (আ.) যিনি ইমাম জাওয়াদ (আ.) থেকে কিছু হাদিস বর্ণনা করেছেন।
এছাড়াও তার আরো কিছু ছাত্র ছিল যেমন: আহমাদ বিন মোহাম্মাদ বিন নাসর বাযান্তি, যাকারিয়া বিন আদম, হুসাইন বিন সাঈদ আহওয়াযি, আহমাদ বিন মোহাম্মাদ বিন বারকি অন্যতম। উক্ত ছাত্রবৃন্দ বিভিন্ন বিদ্যায় এবং বিষয়ে পারদর্শি ছিল।
ইমাম জাওয়াদ (আ.)’এর উক্ত ছাত্ররা সকলেই আহলে বাইত (আ.)’এর অনুসারি ছিলেন না। বরং অনেক ছাত্র এমনও ছিলেন যারা আহলে সুন্নাতের মতাদর্শি ছিলেন যেমন: খতিবে বাগদাদি, আবু বকর আহমাদ বিন সাবেত, আবু ইসহাক সাআলাবি প্রমুখ। আবু ইসহাক সাআলাবি তিনি তার তাফসির এবং হাদিসের বিভিন্ন স্থানে ইমাম জাওয়াদ (আ.) থেকে বর্ণিত হাদিস বর্ণনা করেছেন। (মানাকেবে আলে আবি তালিব, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ৩৮৪)
৫- বিভিন্ন বিষয়ে রেওয়ায়েত বর্ণনা:
১- তৌহিদ। (আত তৌহিদ, পৃষ্ঠা ৮২)
২- তাফসিরে কোরআন।
৩- ফেকাহ সম্পর্কিত রেওয়ায়েত।
৪- দর্শন এবং বিভিন্ন হুকুমের কারণ সম্পর্কিত রেওয়ায়েত।
৬- জ্ঞানগর্ভ আলোচনা:
বণি আব্বাসের খেলাফতকালে তিনি অনেক বিজ্ঞ এবং প্রসিদ্ধ ব্যাক্তিত্বদের সাথে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন এবং ইয়াহিয়া বিন আকসাম, ইবনে আবি দাউদ’এর মতো প্রসিদ্ধ ব্যাক্তিত্বদেরকে তিনি পরাজিত করেছেন। ইমাম জাওয়াদ (আ) প্রথম ইমাম যিনি সবচেয়ে ছোট বয়সে ইমামতের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হন। (হায়াতে ফিকরি ওয়া সিয়াসি ইমামানে শিয়া, পৃষ্ঠা ৪৮৬)
৭- ওহির রক্ষক:
যখন বণি আব্বাসের খেলাফত জনগণ বা অন্যান্যদের প্রশ্নের জবাব দিতে নিজেদের অপারগতার কথাকে স্বিকার করতো তখন তিনি ইসলামের রক্ষার্থে তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতেন।
৮- কোরআনিক দলিল উপসস্থাপন:
ইমাম জাওয়াদ (আ.) শৈশবেই ইমামতকে প্রমাণিত করার জন্য একাধিকবার কোরআন থেকে দলিল উপস্থাপন করেছেন। আল্লামা মাজলিসি থেকে বর্ণিত যে, একদা একজন লোক ইমাম জাওয়াদ (আ.)’এর কাছে আসে এবং তাঁকে বলে যে, হে ইমাম! লোকেরা আপনার ইমামত সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে। তখন ইমাম তাকে জবাবে দাউদ ও সুলাইমান সম্পকির্ত সেই আয়াত যেখানে বলা হয়েছে যে তুমি সুলাইমানকে নিজের স্থলাভিষিক্ত নির্বাচন কর।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন অঙ্গনে কাজ করেছেন যেন মুসলিম উম্মাহ পথভ্রষ্ট না হয়। তিনি শত বাধা থাকার পরেও ইসলামের স্বার্থে আব্বাসিয় খেলাফতের বিভিন্ন বাধাকে উপেক্ষা করে দ্বিনের তাবলিগ করে গেছেন।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন