জাহেলিয়াতের যুগ ও ওহাবিদের মধ্যে সাদৃস্যতা- ২
জাহেলিয়াতের যুগ ও ওহাবিদের মধ্যে সাদৃস্যতা- ২
বর্তমানে এমন কোন দিন নেই যখন আমরা কোন যুদ্ধ বা হত্যার খবর শুনি না। আর উক্ত খবরগুলো শুনি তখন আমাদের সকলে অন্তর কেঁপে উঠে। কেননা বিশ্বে মুসলমানদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ ও তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে ব্যাপকহারে।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকে নিয়ে এমন কোন সময় আসেনি যখন বিশ্বে যুদ্ধ বিগ্রহের খবর পাওয়া যায়নি। আর উক্ত যুদ্ধ সমূহে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয় সাধারণ ও নিরিহ জনগণের।
পরিবার ভেঙ্গে যায়, ছেলে মেয়েরা এতিম হয়ে যায়, নারী হয় বিধবা, আর এভাবে মানব জীবনে ব্যাপক বিপর্যয় নেমে আসে এবং যার খেসারাত তাদেরকে দিতে হয় সারা জীবন ধরে। আর বিগত কয়েক বছর ধরে যে ধ্বংসযজ্ঞগুলো চালানো হচ্ছে তা হচ্ছে বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
আর সবচেয়ে খারাপ বিষয় হচ্ছে যে উক্ত যুদ্ধগুলোর কারণ হিসেবে ইসলামকে দোষি সাব্যস্ত করা হচ্ছে এবং অনেকেই বিষয়টি বিশ্বাস করেছেন।
বিগত কয়েক বছর ধরেই মুসলমানদেশগুলোতে ধারাবাহিকভাবে যুদ্ধ চলছে এবং এর হৃদয় কাঁপানো খবরগুলো প্রচার করা হচ্ছে।
হয়তো আপনারা অনেকেই সেই হিন্দা প্রকৃতির দায়েশী অমানুষের ভিডিওটি দেখেছেন যে একজন মুসলমানের বুক চীরে তার কলিজা বাহির করে চিবাচ্ছে।
আপনারা হয়তো ইযাদি নারীদেরকে দাসী হিসেবে বিক্রয়ের খবরটি শুনেছেন। যাদের পুরুষদেরকে হত্যা করে তাদের নারীদেরকে দাসী বানানো হচ্ছে এবং তাদেরকে যৌন অত্যাচার করার পরে তাদেরকে বিক্রয় করা হচ্ছে এমনও ঘটনা দেখা গেছে যে কোন কোন নারীকে এক প্যাকেট সিগারেটের জন্য বিক্রি করা হয়েছে।
হয়তো আপনারা দেখেছেন যে দায়েশী জঙ্গিরা এক বালকের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় এবং সে বালকটি কিভাবে একজন পুরুষের মাথাকে তার শরীর থেকে আলাদা করে ফেলে। ওহাবি জঙ্গিদের চাকু দিয়ে মানুষের মাথা কাটার নির্মম দৃশ্যটি দেখছেন?
হয়তো আপনারা দেখেছেন যে কিভাবে একজন নারীর মুখের মধ্যে ক্রুশ ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিভাবে একজনকে পাহাড়ের চূড়া থেকে নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়েছে।
একবার এক মা তার সন্তানের খোজে জঙ্গিদের কাছে আসে তারা তাকে তার সন্তানের গোশত রান্না করে খাওয়ায় এবং যখন সে তার সন্তানের খোঁজ চায় তখন তাকে বলা হয় তুমিতো এখন তোমার সন্তানেরই গোশত খেয়েছ!!!
বর্তমান দায়েশ, তালেবান, তাকফিরি, আল কায়েদা, বুকো হারাম মুসলমান নামধারী জঙ্গিরা সারা বিশ্বের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে দিয়েছে।
তাকফিরি জঙ্গিরা সৌদি আরবের সাথে মিলে মুসলমান নিধনের নীল নকশা তৈরী করেছে। তারা শর্ত রেখেছে যে হয় মুসলমানদেরেকে জঙ্গিদের দলে যোগ দিতে হবে অথবা নিজ গলা দিতে হবে।
মুসলমানরা বুঝে পাচ্ছে না তাদের কি করা উচিত? কিন্তু সকলেই এটা বুঝতে পেরেছে যে, ইসলামী শরীয়তের ধ্বংসকারী হচ্ছে ওহাবী, সালাফি এবং সৌদি রাজতন্ত্র।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন