মিশরে প্রথম মুরসিপন্থি এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর

মিশরে প্রথম মুরসিপন্থি এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর

 মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসি’র সমর্থক এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসির পক্ষে ‘সহিংসতা’র অপরাধে এ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো।
 
মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হানি আব্দেল লতিফ জানিয়েছেন, আজ (শনিবার) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় মাহমুদ রমাদানকে ফাঁসি দেয়া হয়। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে সেনা অভ্যুত্থানে ইসলামপন্থি প্রেসিডেন্ট মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর রমাদান ‘ব্যাপক সহিংসতায়’ জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়।
 
সেনা অভ্যুত্থানে মুরসি ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দি হওয়ার পর রাজধানী কায়রোর নিকটবর্তী একটি থানায় হামলার অভিযোগে গতমাসে এক গণরায়ে ইখওয়ানুল মুসলিমিনের ১৮৩ সমর্থককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
 
সংবাদদাতারা জানিয়েছে, মুরসির পতনের পর তার সমর্থকদের ওপর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার পর ইখওয়ানের কর্মীরা থানায় হামলা চালিয়েছিল।
 
গণবিচারে মুরসির শত শত সমর্থককে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ঘটনাকে জাতিসংঘ ‘সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এসব মৃত্যুদণ্ডের কঠোর সমালোচনা করে বলেছে, অত্যন্ত অস্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মিশরে যেসব মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে তা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি।
 
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবল গণঅভ্যুত্থানে সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের পতন হয়। এরপর দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শেষে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইখওয়ানের প্রার্থী মুরসি বিজয়ী হন। কিন্তু ২০১৩ সালের জুলাই মাসে মার্কিন মদদে এক সেনা অভ্যুত্থানে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল সিসি। ওই বছরের ডিসেম্বরে মিশরের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ইখওয়ানকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন