জঙ্গিরা সৌদির অর্থে লালিত পালিত হচ্ছে

টিভি শিয়া: ‘সেফ ডেমোক্রেসি’ নামে আমেরিকার একটি গবেষণা সংস্থা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সৌদি আরব সন্ত্রাসীদের সবচেয়ে বড় সমর্থক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের কাছে এমন কিছু নথিপত্র রয়েছে যাতে প্রমাণিত হয় সৌদি ও কাতার ইরাক ও সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি অর্থ ও প্রচারণাগত সমর্থন দিচ্ছে। গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, সৌদি আরবেরই বহু সন্ত্রাসী ইরাক ও সিরিয়ায় অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে।

এদিকে ব্রিটিশ সাময়িকী গার্ডিয়ান লিখেছে, সৌদি আরব যদিও বাহ্যিকভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার কথা বলে এ পর্যন্ত ১০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে কিন্তু সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন তার এক বইয়ে সৌদি আরবকে সন্ত্রাসীদের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক বলে উল্লেখ করেছেন।

 মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে সৌদি আরবের শত শত নাগরিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত এ কথা উল্লেখ করে রুশ বিশ্লেষক সের্গেই নিকিতিন বলেছেন, এ ব্যাপারে আমেরিকা টু শব্দটিও করছে না। তিনি আরো বলেছেন, সন্ত্রাসীদের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার ক্ষেত্রে সৌদি আরব শীর্ষে রয়েছে এবং দেশটি বছরে কোটি কোটি ডলার খরচ করছে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, স্বয়ং সৌদি কর্মকর্তারাও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি তাদের সমর্থনের বিষয়টি গোপন রাখেননি। সৌদি ন্যাশনাল গার্ড মন্ত্রী যুবরাজ মোতাইয়্যেব বিন আব্দুল্লাহ তিন মাস আগে সিরিয়ায় তৎপর সন্ত্রাসীদেরকে সৌদি সরকারের আর্থিক সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি ওয়াশিংটনে দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছিলেন, রিয়াদ সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে, আল-সাফির সাময়িকী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে পদস্থ সৌদি কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সহযোগিতার কথা উল্লেখ ফাঁস করে দিয়ে লিখেছে, নায়েফ বিন আব্দুল আজিজের মত ব্যক্তিত্বরা সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিচ্ছে। সাময়িকীটি লিখেছে, জিহাদের নামে সৌদি আরবের বিভিন্ন সংস্থা অর্থ সংগ্রহ করছে এবং সেই অর্থ তারা সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের পেছনে ব্যয় করছে। এতে আরো বলা হয়েছে, আন নুসরা গোষ্ঠীর সাবেক আমির ও সৌদি সন্ত্রাসী সুলতান আল আতাউয়িও এ ব্যাপারে বলেছেন, সিরিয়ায় সরকার বিরোধীদের কাছে যে অর্থ পাঠানো হচ্ছে তার পেছনে সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সমর্থন রয়েছে।