কেন ইউক্রেনের জঙ্গি বিমান এমএইচ১৭’র কাছ দিয়ে উড়ছিল?
কেন ইউক্রেনের জঙ্গি বিমান এমএইচ১৭’র কাছ দিয়ে উড়ছিল?
রাশিয়া বলেছে, দেশটির কাছে যে সব তথ্য প্রমাণ আছে তাতে দেখা যাচ্ছে, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ১৭ বিধ্বস্ত হওয়ার আগে তার কাছ দিয়ে ইউক্রেনের একটি জঙ্গি বিমান উড়ছিল। একই সময়ে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের ওই এলাকার ওপর দিয়ে মার্কিন একটি উপগ্রহ অতিক্রম করেছে। রুশ সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফ এ সংক্রান্ত বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে লে. জেনারেল আদ্রেই কারতোপোলোভ আরো জানান, পূর্ব নির্ধারিত পথ থেকে উত্তর দিকে ১৪ কিলোমিটার সরে গিয়েছিল ফ্লাইট এমএইচ১৭। যাত্রীবাহী এ বিমানের তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূর দিয়ে ইউক্রেনের এসইউ-২৫ জঙ্গি বিমান উড়ছিল।
এ ধরণের জঙ্গি বিমানে আকাশ থেকে আকাশে ছোঁড়ার উপযুক্ত আর-৬০ ক্ষেপণাস্ত্র থাকে। এ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ১২ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা যায় তবে পাঁচ কিলোমিটারের লক্ষ্যবস্তুতে এটি নিশ্চিতভাবেই আঘাত হানতে পারে। জঙ্গি বিমানটি যাত্রীবাহী বিমানের একই উচ্চতা দিয়ে একই সময়ে কেন উড়ছিল ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষকে সে প্রশ্নের জবাব দিতে হবে বলে জানান তিনি।
এ দিকে, রুশপন্থি স্বাধীনতাকামীদের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রে এমএইচ১৭ বিধ্বস্ত হয়েছে বলে আমেরিকা যে বক্তব্য দিয়েছে তাও চ্যালেঞ্জ করেন জেনারেল কারতোপোলোভ। মার্কিন কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা এ সংক্রান্ত ছবি প্রকাশের জন্য ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিমনাটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময়ে ওই এলাকার ওপর দিয়ে মার্কিন একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা চালাতে যে ধরণের রাডার ব্যবহার হয় ঘটনার দিন সেগুলো ওই এলাকায় তৎপর ছিল বলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ধরতে পেরেছে। মঙ্গলবার ওই এলাকায় সাতটি রাডার স্টেশন তৎপর ছিল বলে জানান লে. জেনারেল আদ্রেই কারতোপোলোভ। তিনি বলেন, বুধবার তৎপর ছিল আটটি এবং বিমানটি যেদিন বিধ্বস্ত হয় সেদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তৎপর ছিল নয়টি। এমএইচ১৭ ধ্বংসের পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার ওই এলাকায় চারটি রাডার স্টেশন তৎপর ছিল আর শনিবার তৎপর ছিল মাত্র দুইটি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের রুশপন্থি স্বাধীনতাকামীদের ‘বুক’ ক্ষেপণাস্ত্র বা কোনো ধরণের অস্ত্র কিংবা সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে নি রাশিয়া।
রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন