মিশরে সাত ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে যৌন হামলার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মিশরে সাত ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে যৌন হামলার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মারাত্মক হামলার শিকার এক নারীকে হাসপাতালে দেখতে যান জেনারেল সিসি
মিশরে গতমাসে একদল নারীর ওপর যৌন হামলার অপরাধে সাত জনকে যাবজ্জীবন ও অন্য দু’জনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর কায়রোয় তার সমর্থকদের সমাবেশে ওইসব হামলা চালানো হয়।
গত ৩ থেকে ৮ জুনের মধ্যে কায়রোর তাহরির চত্বর ও এর আশপাশে যৌন হামলা ও হয়রানির অন্তত নয়টি ঘটনা ঘটে। ওই কয়েকদিনে সিসির সমর্থকরা দিন-রাত ২৪ ঘন্টা তাহরির স্কয়ারে অবস্থান করে উৎসব পালন করছিল।
ওই যৌন নির্যাতনের ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং এক পর্যায়ে জেনারেল সিসি ৪২ বছর বয়সি এক নির্যাতিতা নারীকে হাসপাতালে দেখতে যান।
নিজের কিশোরী মেয়েকে নিয়ে ওই নারী তাহরির চত্বরে যাওয়ার পর একদল তরুণ তাকে বিবস্ত্র করে ফেলে। এরপর তাকে গরম পানির একটি কন্টেইনারের ওপর তোলা হলে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়। এরপরও ক্ষান্ত হয় নি হামলাকারী যুবকরা। তাকে নীচে ফেলে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায় তারা। পরবর্তীতে ইন্টারনেটে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিবস্ত্র ও রক্তে রঞ্জিত এক নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট সিসি হাসপাতালে গিয়ে ওই নারীর কাছে ক্ষমা চান এবং এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
জেনারেল সিসি এরপর যৌন হামলার ঘটনাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন তৈরির নির্দেশ দেন। এর আগে দেশটির নারী অধিকার আন্দোলনগুলো যৌন হয়রানি প্রতিহত করতে ব্যর্থতার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করে আসছিল। ২০০৩ সালে জাতিসংঘের এক জরিপে দেখা যায়, প্রতি ১০ জন মিশরীয় নারীর নয়জনই কোনো না কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হন।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন