রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আবারো আদালতের সমন
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আবারো আদালতের সমন
কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধীকে আরও একটি মামলায় সমন পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ নামের অধুনালুপ্ত একটি পত্রিকার সম্পদ জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে গত ২৬ জুন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধীকে তলব করে দিল্লির একটি আদালত।
ভারতের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনে প্রচারে গিয়ে মহাত্মা গান্ধী হত্যায় উগ্র হিন্দুত্ববাদি সংগঠন আরএসএসকে দায়ী করেছিলেন রাহুল। এর পরই আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন এক আরএসএস কর্মী। ওই মামলার শুনানি শেষে শুক্রবার ভিওয়ান্ডির আদালত রাহুলকে সমন পাঠায়। ৭ অক্টোবর কংগ্রেস সহ-সভাপতিকে সশরীরে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মহারাষ্ট্রে গিয়ে রাহুল বলেছিলেন, মহাত্মা গান্ধীকে হত্যায় আরএসএস কর্মী যুক্ত ছিল।’ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলও তা উল্লেখ করেছিলেন বলে দাবি করেন রাহুল। রাহুল মহারাষ্ট্র ছাড়ার পরই আদালতে মামলা দায়ের করেন এক আরএসএস কর্মী। আদালত পুলিশ রিপোর্ট তলব করে। পুলিশের দায়ের করা রিপোর্ট দেখে রাহুলকে সমন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।
উল্লেখ্য, গত মাসের শেষেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী-সহ চার কংগ্রেস নেতাকে সমন পাঠিয়েছিল দিল্লির একটি আদালত। ৭ আগস্ট আদালতে হাজিরা দেয়ার কথা তাদের।
১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহেরু ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড'চালু করেন। ২০০৮ সালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এটি প্রকাশ করত অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড। এই কোম্পানিটির ঋণের ভার অধিগ্রহণ করে ইয়াং ইন্ডিয়ানস।
পত্রিকাটির তহবিলে বড়সড় কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে ২০১২ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপি সভাপতি সুব্রমানিয়ন স্বামী। তার দাবি, সোনিয়া ও রাহুল জালিয়াতি করে দিল্লিতে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন। ইয়াং ইন্ডিয়ানস কোম্পানিটি তৈরি করে মাত্র ৫০ লাখ টাকায় অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালসের ১৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি গায়েব করে নিয়েছেন সোনিয়া-রাহুলরা। অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালসকে কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে ৯০ কোটি টাকা ঋণও দেয়া হয়েছিল, যা আয়কর আইনের পরিপম্হী।
সে সময় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঐতিহ্যবাহী ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকাটিকে বাঁচানোর জন্যই বিনা সুদে ৯০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছিল। তাতে বাণিজ্যিক কোনো স্বার্থ ছিল না।
রাহুল গান্ধীও একটি চিঠিতে অভিযোগগুলো অসত্য, ভিত্তিহীন ও সম্মানহানিকর বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি মামলার হুমকিও দিয়েছিলেন। এবার স্বামী মামলা করে দেয়ায় কংগ্রেস নেতৃত্বকে তার জবাব দিতে হবে।
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন