দায়েশ- ৬

দায়েশ- ৬

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন, শাবান, আমল, শবে বরাত, রমজান, দায়েশ, তাকফিরী, তালেবান, মোতা, মোতা বিবাহ, সেগা করা,দায়েশ, তাকফিরি, তালেবান, ওহাবী
وَلَنَبْلُوَنَّكُمْ بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوفْ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الأَمَوَالِ وَالأنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।
الَّذِينَ إِذَا أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُواْ إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ
যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।
দায়েশ দলটি কি সেই সুফিয়ানী দল যা ইমাম মাহদী (আ.) এর আবির্ভাবের পূর্বে আসার কথা আছে?
শিয়া ও আহলে সুন্নাত’এর আকিদাগত মুসলমানরা সবাই ইমাম মাহদী (আ.) এর আগমণের ব্যাপারে বিশ্বাস পোষণ করেন এবং তারা এটাও জানেন যে তিনি হচ্ছেন হজরত ফাতেমা যাহরা (সা.আ.) এর সন্তানদের মধ্যে হতে। যখন তিনি আবির্ভূত হবেন তখন তিনি সারা দুনিয়াতে শান্তি কায়েম করবেন এবং হজরত ঈসা (আ.) আসবেন এবং তাঁর পিছনে নামজ আদায় করবেন ও তাঁকে সাহায্যে করবেন।
বর্তমান বিশ্বে অনেকেই এজিদকে ভাল বলে প্রমাণের চেষ্টার করছে তার কারণ কি, আবার অনেকে নিজেদেরকে সুফিয়ানী বলে প্রচার করছে তার বা কারণ কি?
তাদের উদ্দেশ্যের মধ্যে মূখ্য উদ্দেশ্যে হচ্ছে ইমাম মাহদী (আ.) এর আবির্ভূত হওয়ার ঘটনা মিথ্যা সাব্যস্ত করা। কারণ তারা জানে যে ইমাম মাহদী (আ.)’ই হচ্ছেখোদার পক্ষ থেকে প্রেরিত এমন একত্রাণ কর্তা যিনি আসবেন এবং দুনিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। আজকের যারা নিজেদেরকে সুফিয়ানী বলে দাবী করছে এবং ইমাম মাহদী (আ.) এর আগমণের পূর্বে সুফিয়ানীদের আগমণ সম্পর্কে বিভিন্ন রেওয়াতে বর্ণিত হয়েছে তা নিয়ে কিছু আলোচনা করব।
ইমাম মাহদী (আ.)’এর আবির্ভাবের আলামত সমূহের মধ্যে অন্যতম আলামত হচ্ছে সুফিয়ানীদের আগমন। ইমাম সাদিক্ব (আ.) বলেছেনঃ ইমাম মাহদী (আ.) এর আবির্ভাবের পূর্বে পাঁচটি ঘটনা অবম্যই পৃথিবীর বুকে ঘটবে যেমনঃ ইয়ামানী, সুফিয়ানীদের আগমণ, আসমানী ডাক, নাসফে যাকিয়াকে হত্যা, বাইদা মাক এলাকার ভুমি ধ্বসে যাবে।
ইরাক হচ্ছে সুফিয়ানীদের লক্ষ্যবস্তুঃ
নোমানী ইমাম বাকের (আ.) থেকে বর্ণনা করেছেন আবক্বা এবং আসহাব এবং হত্যার পরে তারা ইরাক থেকে প্রস্থান করবে। ক্বারক্বিসা নামক স্থানে সুফিয়ানীরা যুদ্ধে লিপ্ত হবে। সেখানে প্রায় এক হাজার অত্যাচারীকে হত্যা করা হবে। তারা কুফার দিকে অগ্রসর হবে এবং কুফা বাসীদেরকে হত্যা করবে এবং ফাঁসিতে ঝুলাবেএবং বন্দি করবে। তখন খোরাসান থেকে কিছু পতাকাধারীদের আগণ হবে যাদের মধ্যে ইমাম মাহদী (আ.) এর সঙ্গিসাথীরাও থাকবে। তখন এক কুফাবাসী কিছু লোকদেরকে নিয়ে কিয়াম করবে এবং হেয়রে নামক পাহাড়ি এলাকায় তাদেরকে সুফিয়ানীদের হাতে মারা যাবে। (আল গ্বিবা, নোমানী, পৃষ্ঠা ২৮০)
ইমাম বাকের (আ.) সুফিয়ানীদের সম্পর্কে আরো বলেনঃ সুফিয়ানীদের সকল ক্রোধ ও ক্ষোভ হবে আমাদের শিয়াদের বিরূদ্ধে। (আল গ্বিবা, নোমানী, পৃষ্ঠা ৩০১)
আমিরুল মুমিনিন আলী (আ.) সুফিয়ানীদের সম্পর্কে বলেছেনঃ সুফিয়ানী দলটি খোরাসান বাসীদেরকে খুঁজে বেড়াবে এ বেড়াবে এবং যেখানে শিয়াদেরকে পাবে তাদেরকে হত্যা করবে। (আক্বদুর দুরার, সালিমী, পৃষ্ঠা ৮৭)
আম্মার ইয়াসীর থেকৈ রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যখন সুফিয়ানীরা কুফাতে প্রবেশ করবে যেহেতু তারা রাতের অন্ধকারে বিচরণ করে বেড়ায় তাদের সামনে যা কিছুই আসবে তারা তা লন্ডভন্ড করে দিবে এবং শিয়াদেরকে হত্যা করবে এবং তারা খোরাসান বাসীদেরকে হত্যা করার জন্য খুজে বেড়াবে। (আল ফেতান, মারুযি, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩০৩, হাদীস নং ৮৮২)
ইরাকে সুফিয়ানীদের পদক্ষেপ সমূহঃ
কুফা শহরে সুফিয়ানীদের আধিপত্য
রাসুল (সা.) কেয়ামতের আলামত সমুহের বর্ণনা করার সময় সুফিয়ানীদের আগমণ ও তাদের কুফাতে আধিপত্যর কথা উল্লেখ করেন।(দালায়েলুল ইমামা, তাবারী, পৃষ্ঠা ৪৬৬, হাদীস নং ৪৫০)
ইমাম আলী (আ.) এর সম্পর্কে বলেনঃ উসমান নামধারী আবু সুফিয়ানের বংশধর ও হিন্দার কলিজাখোর আম্বেসের সন্তান, বিশাল দেহধারী, কুৎসিত, বড় মাথা... ইয়াবেস নামক এলাকায় বিদ্রোহ করবে এং কুফাতে আসবে এবং মেম্বারে আরোহন করবে।(কামাল উদ্দিন, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৬৫১)
ইমাম বাকের (আ.) এ সম্পর্কে বলেছেনঃ শিয়াদের প্রতিক্ষার সমাপ্তি তখনই ঘটবে যখন সুফিয়ানীরা মেম্বারে অরোহন করবে। তখন খোদার হুজ্জাত আবির্ভূত হবেন। (ইসবাতুল ওয়াসী, মাসউদী, পৃষ্ঠা ২২৬)
সুফিয়ানীদের আগমণের কিছু আলামতঃ
১- ইয়ামানীদের বিদ্রোহের পরপরেই সুফিয়ানীর অগমণ ঘটবেঃ ফাযল বিন সাযান ইমাম সাদিক্ব (আ.) থেকে বর্ণনা করেছেন তিনি বলেছেনঃ তিনটি দল খোরাসানী, সুফিয়ানী এবং ইয়ামানী একই বছর, মাস এবং দিনে বিদ্রোহ করবে।(কাশফুল হাক্ব, পৃষ্ঠা ১৭৩, হাদীস নং ২৯)
আরো বর্ণিত হয়েছে সুফিয়ানী এবং খোরাসানী একজন পশ্চিম থেকে এবং অপর দলটি পূর্ব থেকে ঘোড় দৌড়ের ন্যায় কুফাতে প্রবেশ করবে। বণি আব্বাস সহ অন্যান্য গোত্রকে ধ্বংস করবে। (আল গ্বিবা, পৃষ্ঠা ২৫৫)
২- আবক্বার বিদ্রোহঃ একটি দল যারা সমরাস্ত্রে সজ্জিত থাকবে তাদের সাথে যুদ্ধ করবে। সুফিয়ানী বিদ্রোহ করবে এবং তাদের উভয়ের সাথে যুদ্ধ করবে।(আল গ্বিবা, পৃষ্ঠা ২৫৫)
সুফিয়ানীরা তাদের উপরে বিজয় অর্জন করবে। তখন মানসুরিয়ানরা তাদের সৈন্যদের সাথে সানআ থেকে বিদ্রোহ করবে, তাদের কাছে থাকবে হলুদ রঙের পতাকা, রঙ্গিন জামা পরিধান করবে এবং সুফিয়ানীদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং তাদেরকে পুরাতন যুগের ন্যায় হত্যা করবে।
সে সময়ে কুফাতে ১২টি পতাকা সংস্থাপন করা হবে। ইমাম হাসান (আ.) অথবা ইমাম হুসাইন (আ.) এর একজন বংশধর আহবান জানাবে তখন কুফাতে তাকে হত্যা করা হবে। মাওয়ালিদের মধ্যে থেকে একজন কিয়াম করবে তাকেও সুফিয়ানীরা হত্যা করবে।(আল ফেতান, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ২৯১, হাদীস ৮৪৯)
৩- কুফাতে সুফিয়ানীদের গণহত্যাঃ
ইমাম আলী (আ.) সুফিয়ানীদের গণহত্যা সম্পর্কে বলেছেনঃ সুফিয়ানীদের প্রেরিত বাহিনীরা কুফার পূর্ব এলাকার ৭০ হাজার মানুষকে গণহত্যা করবে এবং ৩০০ নারীর পেটকে তারা ফেড়ে দিবে এবং তারা কুফাতে প্রবেশ করার সময় কিছু লোককেও হত্যা করবে।(আক্বদুর দুরার, সালিমী, পৃষ্ঠা ৯২)
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, সুফিয়ানীদের প্রেরিত বাহিনীরা কুফার পূর্ব এলাকা দিয়ে প্রবেশ করবে এবং কি পরিমাণ রক্ত ঝরান হবে, কি পরিমাণ নারীদের পেটকে ফেড়ে দেয়া হবে, কি পরিমাণ সম্পদ লুন্ঠন করা হবে এবং কত নিরপরাধ ব্যাক্তিকে হত্যা করা হবে। (আল ফেতান, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৩০১, হাদীস ৮৭৮)
তিনি খুৎবাতে আরো বলেন যখন সুফিয়ানীরা কুফাতে প্রবেশ করবে তখন তাদের সামনে দিয়ে যে কেউ অতিক্রম করবে তাদেরকে হত্য করা হবে। দামী মাল সমূহকে লুন্ঠন করা হবে বাচ্চাদেরকে বন্দি করে তাদের গলা কাটা হবে। (আল মালাহেম ওয়াল ফেতান, পৃষ্ঠা ৪২৩)
৪- সুফিয়ানীরা শিয়াদের হত্যার করার জন্য খুজে বেড়াবেঃ
ইমাম সাদিক্ব (আ.) বলেনঃ এমন সময় আসবে যে সুফিয়ানীদের পক্ষ থেকে প্রচার করা হবে যে, যদি কেউ কোন শিয়ার মাথা কেটে আসে তাহলে তাকে হাজার দিরহাম পুরুষ্কার দেয়া হবে।তখন প্রতিবেশিরা একে অপরের গলা কেটে আনবে যেন হাজার দিরহাম পুরুষ্কার অর্জন করতে পারে। (আল গ্বিবা, পৃষ্ঠা ৪৫০, হাদীস নং ৪৫৩)
৫- কুফা সুফিয়ানীদের মাধ্যমে ধ্বংস করেঃ
وَإِن مَّن قَرْيَةٍ إِلاَّ نَحْنُ مُهْلِكُوهَا قَبْلَ يَوْمِ الْقِيَامَةِ
এমন কোন জনপদ নেই,যাকে আমি কেয়ামত দিবসের পূর্বে ধ্বংস করব না। (সূরা বণি ইসরাইল, আয়াত নং ৫৮)
কিন্তু কুফা শহর সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তা সুফিয়ানী আম্বেসে’র বংশধরদের মাধ্যমে যারা হবে আবু সুফিয়ানের বংশধর। তাদের মাধ্যমে ধ্বংস করা হবে। (আল বাদউত তারিখ, খন্ড ৪, পৃষ্ঠা ১০৩)
হুযায়ফা থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসুল (সা.) বলেছেনঃ সুফিয়ানীরা কুফাতে হামলা করবে এবং কুফার আশেপাশের এলাকাকে ধ্বংস করে দিবে। (আল কাশফ ওয়াল বায়ান, খন্ড ৮, পৃষ্ঠা ৯৫)
চলবে...

 

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন