সৌদি আরব নামকরা মানবাধিকার কর্মীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিল
সৌদি আরব নামকরা মানবাধিকার কর্মীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিল
সৌদি আরব দেশটির এক নামকরা মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষকে 'অপমান' করার কথিত অভিযোগে ওয়ালিদ আবুল খায়ের নামের ওই আইনজীবীকে এ শাস্তি দেয়া হয়।
আবুল খায়েরের স্বজনরা টুইটার বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন। এতে আরো বলা হয়েছে, আবুল খায়েরের বিদেশ ভ্রমণেরে ওপর ১৫ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি তাকে ৫৪ হাজার ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। আবুল খায়েরের স্ত্রী সামার বাদাভি জানিয়েছেন, তার স্বামী 'আদালত বৈধ নয়' উল্লেখ করে এ রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আপিল করতে অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অবিলম্বে আবুল খায়েরকে মুক্তি দেয়ার জানিয়ে তাকে ‘বিবেকের বন্দি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। তার বিচার প্রসঙ্গে অ্যামনেস্টির মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার উপ পরিচালক সাঈদ বুমেদোহা বলেছেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভিন্নমত প্রকাশকারীদের সৌদি কর্তৃপক্ষ কী ভাবে মুখবন্ধ করে দেয় এটি হলো তার উদ্বেগজনক উদাহরণ ।
কথিত রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গত এপ্রিলের ১৬ তারিখে রিয়াদের একটি আদালত আবুল খায়েরকে আটকের নির্দেশ দেয়। আবুল খায়ের সে সময় জামিনে ছিলেন। দু’বছর আগে সৌদি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে একটি আবেদনপত্রে সই দেয়ায় তাকে ‘বিচার বিভাগকে কথিত অবমাননার’ অভিযোগ গত অক্টোবরে সৌদি আরেকটি আদালত তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল।
অব্যাহতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে কঠোর আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে সৌদি আরবের আলে সৌদ শাসক গোষ্ঠী।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন