ইসরাইল ইরাকি কুর্দিস্তানের স্বাধীনতা চায়
ইসরাইল ইরাকি কুর্দিস্তানের স্বাধীনতা চায়
কুর্দিস্তান থেকে গোপনে ইরাকি জ্বালানি তেল পাওয়ার প্রেক্ষাপটে ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ইরাকের কুর্দিস্তানকে স্বাধীনতা দেয়ার যে দাবি জানিয়েছেন তাকে স্বাগত: জানিয়েছেন কুর্দি সংসদ সদস্যরা।
পিডিকে বা কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য মার্দান খাদর জিবারি ওই দাবির জন্য নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানিয়ে গতকাল (রোববার) বলেছেন, কুর্দিস্তান ও ইসরাইলের শত্রুরা অভিন্ন।
পিডিকে'র অন্য এক নেতা বায়ার তাহির দোস্কিও বলেছেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর ওই দাবি বা আহ্বান তাদেরকে খুশি করেছে, কারণ নেতানিয়াহু কুর্দি ও কুর্দিস্তানকে তার অধিকারগুলো দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, কুর্দিদের স্বাধীনতার দাবির প্রতি আমাদের সমর্থন জানানো উচিত।
কুর্দিস্তানের রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের যোগ্যতা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এর আগে গত শনিবার কুর্দি পিশমার্গ সেনারা কারকুক শহরের সরকারি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে সেখানকার অস্ত্র ও সামরিক সাজ-সরঞ্জাম দখল করে নেয়।
গত শুক্রবার আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারাজানি বলেছেন, কুর্দিস্তান বাগদাদের কাছে তেল-সমৃদ্ধ কারকুক ফিরিয়ে দেবে না।
ইরাকের সরকারি সেনারা যখন আলকায়দার নতুন সংস্করণ আইএসআইএল-এর সঙ্গে যখন চলতি মাসের শুরুর দিকে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তখন কুর্দি সেনারা কারকুক দখল করে নেয়। এর আগে বাগদাদের সঙ্গে এক সমঝোতার আলোকে কুর্দিস্তান বিরোধ-কবলিত কারকুকের ওপর বাগদাদের নিয়ন্ত্রণ মেনে নেবে বলে জানিয়েছিল।
ইরাকি সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল আবদুল আমির আল জাইদি বলেছেন, কুর্দি সেনারা নানা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে দিয়ালা ও কারকুকের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে।
বাগদাদের নুরি আল মালিকির সরকার তুরস্কের কাছে কুর্দিস্তানের তেল বিক্রির বিরোধিতা করে আসছে এবং একে ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে আসছে।
সম্প্রতি কুর্দিস্তান তুরস্কের মাধ্যমে গোপনে ইসরাইলের কাছেও তেল বিক্রি করছে বলে খবর এসেছে।
কুর্দিস্তানের আধা-স্বায়ত্তশাসিত সরকার বলছে, তারা নিজ অঞ্চলের তেল বিক্রির অধিকার রাখে।
ইসরাইলকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে ইরাককে কয়েকভাগে বিভক্ত করার যে পরিকল্পনা সাম্রাজ্যবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছে কুর্দিস্তানের সাম্প্রতিক তৎপরতা ও পশ্চিমা মদদপুষ্ট আইএসআইএল-এর উত্থান তা ত্বরান্বিত করতে পারে বলে অনেক বিশ্লেষক আশঙ্কা করছেন।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন