আইএসআইএল ধর্ষিতদের পরিবারের কাছে ধর্ষণের ভিডিও দিল
আইএসআইএল ধর্ষিতদের পরিবারের কাছে ধর্ষণের ভিডিও দিল
হাত-পা বেঁধে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে আইএসআইএল জঙ্গিরা
পশ্চিমা মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক আল-কায়েদার নতুন তাকফিরি সংস্করণ আইএসআইএল ইরাকে নৃশংস গণহত্যা, ধর্ষণ ও শিশু হত্যাসহ নানা পন্থায় মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে।
‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত ঘটনাগুলো রেকর্ড করার জাতীয় আহ্বান’ শীর্ষক একটি মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, গত ১২ ও ১৩ জুন উত্তর-পূর্ব ইরাকে অবস্থিত কারকুক শহরের দক্ষিণে বাশির গ্রাম ও তুজখোরমাতু অঞ্চলের চারটি গ্রামে গণহত্যা ও নানা অপরাধযজ্ঞ চালায় সন্ত্রাসীরা; যা আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন অনুযায়ী সংঘবদ্ধ অপরাধ।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুজখোরমাতু অঞ্চলের বেশিরভাগ পুরুষ পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও নারীরা পালিয়ে যেতে ব্যর্থ হন এবং তারা সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। সন্ত্রাসীরা কয়েকজন নারী, পুরুষ ও কিশোরীকে হত্যা করার পর তাদের লাশকে ল্যাম্পপোস্ট ও পানির ট্যাংকের খুঁটিতে ঝুলিয়ে রাখে। এইসব লাশের মধ্যে ১২ বছরের এক কিশোরীকেও দেখা গেছে।
আইএসআইএল-এর সন্ত্রাসীরা একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়ে সেখানকার সব অধিবাসীকে গলা কেটে হত্যা করে। তাদের মধ্যে ছিল ৫টি দুধের শিশু।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, সন্ত্রাসীরা নারী ও কিশোরীদের ওপর ভয়ানক হামলা চালিয়ে তাদের ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে সেই ভিডিও-চিত্র ধর্ষিতদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে। সংস্থাটি বলেছে, ধর্ষিত নারীর সঠিক পরিসংখ্যান জানা সম্ভব হয় নি, কারণ ঘটনার শিকার পরিবারগুলো সামাজিক সম্মানহানির ভয়ে এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না।
সংস্থাটি এইসব ঘটনা তদন্ত করতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে দাবি জানিয়েছে।
এদিকে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আইএসআইএল-এর সন্ত্রাসীরা ইরাকে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিককে এবং অন্তত আরো কয়েক ডজন বা শতাধিক সুন্নি আলেমকে হত্যা করেছে বলে খবর এসেছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান
নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন