পুতিনকে কেরি: রুশপন্থিদেরকে অস্ত্র ত্যাগ করতে বলুন

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সংঘর্ষরত রুশপন্থিদেরকে প্রকাশ্যে অস্ত্র ত্যাগ করার আহ্বান জানাতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, রাশিয়াকে প্রমাণ করতে হবে যে, দেশটি সত্যিই ইউক্রেনে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায়; তা না হলে মস্কোকে আরো চড়া মূল্য দিতে হবে।

এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বুধবার রাশিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে নতুন করে সংঘর্ষ হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

এ ছাড়া, ইউক্রেনের পাশ্চাত্যপন্থি প্রেসিডেন্ট পোরোশেঙ্কো বলেছেন, সংঘর্ষ চলতে থাকলে সরকারের সঙ্গে রুশপন্থি অস্ত্রধারীদের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে যেতে পারে। মার্কেল এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ বুধবার এক ঘন্টা ধরে টেলিফোনে পুতিন ও পোরোশেঙ্কোর সঙ্গে কথা বলেন।

টেলিফোনালাপের পর প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ করে সংঘর্ষরত পক্ষগুলো যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে তা বজায় রাখার লক্ষ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে যৌথভাবে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এ টেলিফোন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বুধবার অভিযোগ করে, চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৪ বার তা লঙ্ঘন করে রুশপন্থি অস্ত্রধারীরা। তবে স্বঘোষিত গণপ্রজাতন্ত্রী দোনেস্কের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার বোরোদাই বলেছেন, সরকারি বাহিনী হামলা চালিয়ে যাওয়ার কারণে কার্যত কখনোই যুদ্ধবিরতি বলবৎ হয়নি।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে গত কয়েক মাস ধরে চলা সংঘাত ও অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে সম্প্রতি দেশটির সরকার ও বিদ্রোহীরা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তা লঙ্ঘনের জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে দু’পক্ষ। আর এর ভেতর রাশিয়াকে চোখ রাঙানি দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। মধ্য-এপ্রিল থেকে পূর্ব ইউক্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ৪২০ জন নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের এক হিসাবে জানানো হয়েছে।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান