মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শিশুরা শিক্ষাবঞ্চিত

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শিশুরা শিক্ষাবঞ্চিত

hussain, mohammad, imam mahdi, সিফফিন, জামালের যুদ্ধ, নারওয়ানের যুদ্ধ, খলিফা, খেলাফত, ইমামত, আলী, সিদ্দীক, ফারুক, মোর্তযা, বদর, ওহদ, খন্দক, খায়বার, বণী Shia, Sunni, Islam, Quran, Karbala, najaf, kufa, mashad, samera, madina, makka, jannatul baqi, kazmain, ali, Fatima, hasan, সাকিফা, বণী সায়াদা, সাহাবী, হিজবুল্লাহ, ইসরাইল, ড্রোন, বিমান, হাসান নাসরুল্লাহ , লেবানন, ইরান,  চীন, মালয়েশিয়া,  স্যাটেলাইট, কুয়ালালামপুর, বেইজিং, ভিয়েতনাম, মার্কিন, গোয়েন্দা, ইরাক, সিরিয়া, মিশর, আল কায়েদা, তাকফিরী, ইখওয়ানুল মুসলেমিন, বাংলাদেশ, ভারত, জিহাদ, ফিলিস্তিন, ইহুদি, গাজা, শহীদ, জিহাদ, ক্ষেপণাস্ত্র, দূতাবাস, সৌদি আরব , কুয়েত, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা, ভিয়েনা, পরমাণু, বাহারাইন, আফগানিস্থান, থাইল্যান্ড, হজরত ফাতিমা, মার্জিয়া, সিদ্দিকা, মোহাদ্দেসা, বাতুল, উম্মে আবিহা, যাহরা, মুবারেকা, যাকিয়া, তাহেরা, রাযিয়া, জিহাদুন নিকাহ, পোপ, পাদ্রি, বাইতুল মোকাদ্দাস, ওহাবী, সালাফি, মুফতি, ড্রোন, পাকিস্থান, এজিদ, মাবিয়া, আবু সুফিয়ান, আলী আকবর, হুসাইন,
মিয়ানমারের একটি প্রাইমারি স্কুল; এ হাসি আর জুটছে না রোহিঙ্গা শিশুদের কপালে
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় প্রতিহিংসা এবং বৈষম্যমূলক আচরণের ধারাবাহিকতায় এখন রোহিঙ্গা শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে অস্বীকার করছে স্থানীয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

দু’বছর আগে মিয়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন (অরাকান) রাজ্যে রোহিঙ্গা বিতাড়নের যে সহিংস কর্মসূচি শুরু হয়েছে তার পরিণতিতে এরইমধ্যে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ-শিশু নিহত হয়েছে, হাজার হাজার ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, কয়েক লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে বা জীবন বাচাঁতে দেশত্যাগ করেছে।

এমন বৈরী পরিস্থিতির মধ্যেও যে সব রোহিঙ্গা পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি আঁকড়ে পড়ে আছেন, তাদের শিশুদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বাধা আসায় রোহিঙ্গা শিশুদের ভবিষ্যত অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে।
জুন মাস থেকে শুরু হওয়া শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অভিভাবকদের জাতীয়তার পরিচয় চাওয়া হচ্ছে। যেহেতু চলতি আদমশুমারীতে জাতীয়তা হিসেবে রোহিঙ্গাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে না সেহেতু তারা পরিচয়হীন। তাই তাদের শিশুরা স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না।

এ প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের জেনারেল সেক্রেটারি জমির উদ্দিন একই রকম বিবরণ দেন।

তিনি রেডিও তেহরানকে আরো জানান, মুসলিম পাড়াগুলিতে বেশিরভাগ মসজিদ এবং মাদ্রসা-মক্তব পুড়িয়ে দেয়ার পর কিছু কিছু এখনো টিকে থাকলেও সেগুলো নিরাপত্তার অজুহাতে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে মুসলমান শিশুরা ধর্মীয় শিক্ষা লাভ থেকেও বঞ্চিত থাকছে।

আন্তর্জাতিক শিশু শিক্ষা তহবিলের হিসাব মতে, মিয়ানমারে প্রথমিক স্কুলে যাওয়ার উপযুক্ত শিশুদের মধ্যে শতকরা ১২ ভাগ এখনো স্কুলে যায় না। তাছাড়া প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হওয়া শিশুদের শতকরা ৭৫ ভাগ পাঁচ বছর মেয়াদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির আগেই ঝরে পড়ে। অনুন্নত মুসলিম এলাকায় অবস্থা আরো খারাপ।

এ অবস্থায় ২০১৫ সালের মধ্যে মিয়ানমারের সব শিশুর জন্য সার্বজনীন শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনের ব্যাপারে অাশঙ্কা প্রকাশ করেছে আর্ন্তাজিক সংস্থা ইউনিসেফ ও ইউএনডিপি।
সূত্রঃ রেডিও তেহরান

 

নতুন কমেন্ট যুক্ত করুন